(Source: Poll of Polls)
'পারিশ্রমিক লাগবে না, গাড়ি পাঠিয়ে দিও', দেবকে বলেছিলেন সৌমিত্র
দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চারস প্রযোজিত 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী' মুক্তি পাচ্ছে ১০ তারিখে। কিন্তু বড়পর্দায় নয়। ছোট ও বয়স্কদের কথা মাথায় রেখে বিগ বাজেটের এই ছবি মুক্তি পাচ্ছে টেলিভিশন ও ওটিটিতে
কলকাতা: 'দেব মানেই চমক', পাঁচতারা হোটেলে মঞ্চে উঠে এই কথাই প্রথমে বললেন তারকা অভিনেতা। তারপরেই সেই ঘোষণা। দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চারস প্রযোজিত 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী' মুক্তি পাচ্ছে ১০ তারিখে। কিন্তু বড়পর্দায় নয়। ছোট ও বয়স্কদের কথা মাথায় রেখে বিগ বাজেটের এই ছবি মুক্তি পাচ্ছে টেলিভিশন ও ওটিটিতে।
আজ মুক্তি পেল 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী' ছবির তৃতীয় গান। আর সেই সঙ্গেই এই ঘোষণা করলেন ছবির প্রযোজক দেব। সেইসঙ্গে এও জানালেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে হলগুলি খোলা হয়েছে ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে। কিন্তু এই ছবির উদ্দেশ্য তো মানুষের কাছে পৌঁছনো। অতএব, পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ওটিটিকেই বাছলেন দেব। এই সিদ্ধান্ত ঠিক কে নিল? এক প্রযোজক নাকি সাংসদ দেব? এবিপি লাইভের প্রশ্নে দেব বললেন, 'অবশ্যই প্রযোজক দেব। কারণ আমায় আমার ছবিকে বাঁচাতে হবে। ছবি তৈরিতে প্রচুর টাকা লেগেছে। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে হল খুলছে। মানুষ এখনও ভাবছেন সিনেমাহলে যাওয়া নিরাপদ কি না। আমি একসঙ্গে ৪টে ছবির প্রযোজনা করতে পারব না। আর এখন এটাই প্রচলন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্ভেলের মত প্রযোজনা সংস্থা ওটিটিতে ছবি রিলিজ করছে। মুম্বইয়ের তাবড় তাবড় অভিনেতার ছবি মুক্তি পাচ্ছে স্যাটেলাইটে অথবা ওটিটিতে। বাংলায় এই প্রথমবার আমরা বাংলা ছবির স্যাটেলাইট রিলিজ করছি। তবে যখন এই ছবিটা তৈরি করেছিলাম, ওটিটির কথা ভাবিনি। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করল। আমাদের বিকল্প একটা কিছু ভাবতে হত। আর টেলিভিশন রিলিজের বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না।'
দেবের সিদ্ধান্ত দিয়েই শুরু। আগামীদিনেও কি বাংলা ছবি ওটিটি মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস দেখাবে? দেব বলছেন, 'আমি জানি না। আমি কেবল আমার ছবির দায়িত্ব নিতে পারি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার মনে হয়েছে সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছে 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী'-কে পৌঁছে দেওয়ার এটাই একমাত্র উপায়। খারাপ লাগছে ছবিটা সিনেমাহলে রিলিজ হচ্ছে না। বড়পর্দায় ছবি দেখার মজা সবসময় অন্যরকম। আগামীকাল কী ঘটবে আমরা কেউ জানি না। ছোটরা এখন সিনেমাহলে আসছে না। ভয় পাচ্ছেন বয়স্করাও। সব মিলিয়ে এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হল।'
ছবি শুরু হচ্ছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কন্ঠস্বর দিয়ে। কেমন ছিল 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী'-র সঙ্গে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যুক্ত করার অভিজ্ঞতা? দেব বলছেন, 'এর আগে ওনার সঙ্গে সাঁঝবাতিতে কাজ করেছিলাম। সেই থেকেই সৌমিত্র স্যরের কাছাকাছি আসা। সেই সাহস নিয়েই ওনার কাছে চিত্রনাট্য নিয়ে গিয়েছিলাম। যদি উনি ভাষ্যপাঠটা করেন। মাত্র ৩ মিনিটেই রাজি হয়ে গিয়েছিলেন উনি। টাকার কথা বললে উত্তর দিয়েছিলেন, 'ধ্যুর এর জন্য টাকা নেব কী! তুমি ভালো কাজ করছো। খালি সময় বলে দিও আর গাড়ি পাঠিয়ে দিও। আমি পৌঁছে যাব।' দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চারসের কাছে এটা একটা বড় পাওনা। উনি যেদিন চলে গেলেন, তার কয়েকটা দিন আগেই আমাদের ফোনে কথা হয়েছিল। লকডাউনের মধ্যে উনি একটা বায়োগ্রাফির শ্যুটিং করছিলেন। আমার দেখে খারাপ লাগত। মনে হত এইসময় কেন উনি কাজ করছেন। দু একবার বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। বলেওছিলাম। এখনও আমার ভাবলে খারাপ লাগে। উনি চিরকাল আমাদের কাজের মধ্যেই বেঁচে থাকবেন।'