পুজো এলেই পাড়ার প্যান্ডেলে আড্ডা আর ফুচকা খাওয়া মনে পড়ে: অর্পিতা
এবিপি লাইভের সঙ্গে নতুন মিউজিক্যাল ড্রামা 'মাই নেম ইজ জান' নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ছোটবেলার দুর্গাপুজোর স্মৃতি উঠে এল অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়-এর কথায়।

কলকাতা: সদ্য কলকাতার দুটো শো শেষ করে দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন তিনি। সামনেই পুজো। ৪ দিনের মধ্যে এক থেকে দু'দিন অবশ্যই মুম্বইতে কাটান তিনি। কিন্তু এখনও সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে ছোটবেলার পুজো। পাড়ার প্যান্ডেলে বন্ধুদের সঙ্গে গোল হয়ে বসে আড্ডা দেওয়া। অভিনেত্রী হওয়ার পর আর পাড়ার পুজোর ফুচকা খাওয়া হয় না তাঁর। এবিপি লাইভের সঙ্গে নতুন মিউজিক্যাল ড্রামা 'মাই নেম ইজ জান' নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ছোটবেলার দুর্গাপুজোর স্মৃতি উঠে এল অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়-এর কথায়।
ছোটবেলার পুজোর সবকটা দিনই কাটত পাড়ার প্যান্ডেলে। অর্পিতা বলছেন, 'ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি বলতে সবার আগে মনে পড়ে পাড়ার প্যান্ডেলে সবাই চেয়ার পেতে গোল হয়ে বসতাম। পুজোর কটা দিন সব বন্ধুদের আড্ডা দেওয়ার পছন্দের জায়গা ছিল ওটাই। আর তার সঙ্গে থাকত মুখরোচক খাবার। কখনও আলুকাবলি, কখনও ফুচকা, কখনও আবার চটপটি। সেই সঙ্গে একটা প্রতিযোগীতা চলত, কতজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়...' কথা থামিয়ে হেসে ফেললেন অর্পিতা। তারপর বললেন, 'তখন বয়সটাই ওইরকম। এখনও আমার ছোটবেলার পুজো বলতে ওই গল্প করা, ফুচকা খাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে খুনসুটি করার স্মৃতিগুলোই মনে পড়ে। ওই সময়টাকে খুব মিস করি। এখন ছোটবেলার মত করে দুর্গাপুজোয় আর মজা করতে পারি না।'
কেবল ছোটবেলা নয়, মুম্বইয়ে বাড়ির পুজোতেও গুরুদায়িত্ব সামলাতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। অর্পিতা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২ বছর মুম্বইয়ের পুজোয় যেতে পারছি না। তবে প্রত্যেকবারই পুজোর ৪টে দিনের মধ্যে ১ থেকে ২ দিন মুম্বইয়ের বাড়ির পুজোয় থাকার চেষ্টা করি। প্রত্যেক বছর হয়ত কাজের চাপে পারি না। তবে ওখানকার পুজোর আমেজটা একেবারে আলাদা।'
মঞ্চে গওহর খানের ভূমিকায় অর্পিতার অভিনয় মন কেড়েছে আট থেকে আশির। নাচ, অভিনয় এবং গান, সব মিলিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে দর্শককে মঞ্চ থেকে চোখ সরাতে দেননি অর্পিতা একাই। তাঁর কথায়, শিল্পী হয়ে এই প্রথম একটা সুযোগ পেলাম যেখানে আমি আমার বহু বছরের শিক্ষা, নাচ, গান ও অভিনয়, তিনটেই একসঙ্গে দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে পারলাম। এইরকম সুযোগ আসতেই আমি সম্মতি দিতে ২ বার ভাবিনি। তবে তখনও বুঝতে পারিনি আমায় একা সব কিছু করে হবে। খুব কঠিন ছিল গোটা সফরটা। তবে গওহর খান আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আর সবে তো শুরু, আগামীদিনে শুধু দেশে কেন, বিদেশেও 'মাই নেম ইজ জান' উপস্থাপনার পরিকল্পনা রয়েছে।'






















