![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
পায়ে ফোস্কা, নতুন জুতো হাতে নিয়েই ঠাকুর দেখতাম প্রতিবার: ধ্রুব
ছোটবেলা থেকেই একটা গর্ব নিয়ে বড় হয়ে উঠেছেন তিনি। কিসের? 'আমরা সেই পাড়ায় থাকি, যে পাড়ার দুর্গাপুজো কলকাতার প্রথম বারোয়ারি।'
![পায়ে ফোস্কা, নতুন জুতো হাতে নিয়েই ঠাকুর দেখতাম প্রতিবার: ধ্রুব ABP Exclusive: Director and scriptwriter Dhrubo Banerjee shares his childhood memory of Durga Puja with ABP Live পায়ে ফোস্কা, নতুন জুতো হাতে নিয়েই ঠাকুর দেখতাম প্রতিবার: ধ্রুব](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/10/04/4cf947ff6ea6d290907b14ac7246ba85_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: ছোটবেলা থেকেই একটা গর্ব নিয়ে বড় হয়ে উঠেছেন তিনি। কিসের? 'আমরা সেই পাড়ায় থাকি, যে পাড়ার দুর্গাপুজো কলকাতার প্রথম বারোয়ারি।' এখনও অষ্টমীতে গঙ্গার ঘাটে গিয়ে অঞ্জলি দেওয়া চাইই চাই। নাহলে যেন পুজোটা সম্পূর্ণই হয় না ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবিপি লাইভের সঙ্গে ছোটবেলার পুজোর গল্পে মজলেন পরিচালক।
২১ বছর ধরে পাড়ার পুজোয় থাকতে পারেননি পরিচালক। কাজের সূত্রে কলকাতার বাইরে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। কেমন ছিল তাঁর ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি? ধ্রুব বলছেন, 'আমার আদি বাড়ি ভবানীপুর। বলরাম ঘাট রোড। সেখানে সনাতন ধর্মোৎসাহীনি সভা ছিল। আমাদের দুর্গাপুজো হচ্ছে কলকাতার প্রথম বারোয়ারি। ছোটবেলা থেকে এই অদ্ভুত গর্ব নিয়ে বড় হয়ে উঠেছি আমরা। আটচালার সাবেকি প্রতিমা হত প্রতিবার। এখনও অষ্টমীতে গঙ্গার ঘাটে গিয়ে অঞ্জলি না দিলে মনে হয় পুজোটাই সম্পূর্ণ হল না।'
নিজে যুক্ত থাকতেন কলকাতার প্রথম বারোয়ারি দুর্গাপুজোর সঙ্গে? ধ্রুব বলছেন, 'আমি নিজে খুব একটা জড়িত থাকতাম না পুজোর সঙ্গে। আমাদের আনন্দ ছিল মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দেখা, কার কটা নতুন জামা হল সেই নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করা। কোথায় গিয়ে ঠাকুরের ভোগ খাব সেটা ঠিক করতাম। তখন হেঁটে হেঁটে ঠাকুর দেখতাম। জানতাম, নতুন জুতো পরলে পায়ে ফোস্কা পড়বেই। তারপরেও নতুন জুতোটা তুলে রাখতাম পুজোয় পরব বলেই। ফোস্কা পড়ত, সেই নতুন জুতো হাতেই ঘুরে বেড়াতাম সারাদিন। এই বোকামি গুলোরও একটা আলাদা আনন্দ ছিল। ফিরে দেখলে মনে হয়, ওটা সোনালি সময় ছিল জীবনের।'
এই প্রথমবার পুজোয় নতুন ছবি মুক্তি পাচ্ছে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 'গোলন্দাজ'। সেই ছবি নিয়ে উদ্দীপনা দেখে আপ্লুত খোদ পরিচালকও। করোনা পরিস্থিতির আগে শ্যুটিং, তারপর লম্বা বিরতি। পরিচালক বলছেন, 'সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। আমি কিন্তু ২টো বছর এই ছবিটাকে নিয়েই থেকেছি। পুজো আনন্দের, আর 'গোলন্দাজ'-ও আনন্দের ছবি। আমি চাই এই ছবিটা সবার অনুপ্রেরণা হোক। করোনা পরিস্থিতির পর রুপোলি পর্দা ঘুরে দাঁড়াক 'গোলন্দাজ'-এর হাত ধরেই।'
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)