Abhijeet Bhattacharya Exclusive: আমার প্রথম প্লেব্যাকের পর মিউজিক রুমেই পার্টি দিয়েছিলেন পঞ্চমদা: অভিজিৎ
'আনন্দ অউর আনন্দ' ছবিতে রেকর্ডিং সেরে ফিরেছি সবে। রাত্রিবেলা মিউজিক রুমেই একটা ছোট্ট একটা পার্টির আয়োজন করেছিলেন পঞ্চমদা। কখনও পঞ্চমদার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারিনি। শ্রদ্ধায় চোখ নেমে যেত এমনই। সেই পঞ্চমদাই পার্টিতে আমার জন্য নিজের হাতে স্কচ বানিয়ে এনেছিলেন সেদিন। ওই মুহূর্তটা আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে.. থাকবে চিরকাল।' তাঁর হাত ধরেই প্রথম বড় কাজ.. পরিচিতি। ২৭ জুন তারিখটা এলেই যেন পুরনো সমস্ত স্মৃতি ভীড় করে সঙ্গীতশিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্যের মনে।
কলকাতা: 'আনন্দ অউর আনন্দ' ছবিতে রেকর্ডিং সেরে ফিরেছি সবে। রাত্রিবেলা মিউজিক রুমেই একটা ছোট্ট একটা পার্টির আয়োজন করেছিলেন পঞ্চমদা। কখনও পঞ্চমদার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারিনি। শ্রদ্ধায় চোখ নেমে যেত এমনই। সেই পঞ্চমদাই পার্টিতে আমার জন্য নিজের হাতে স্কচ বানিয়ে এনেছিলেন সেদিন। ওই মুহূর্তটা আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে.. থাকবে চিরকাল।' তাঁর হাত ধরেই প্রথম বড় কাজ.. পরিচিতি। ২৭ জুন তারিখটা এলেই যেন পুরনো সমস্ত স্মৃতি ভীড় করে সঙ্গীতশিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্যের মনে।
খুব অল্পদিন আর ডি বর্মণের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। মুম্বই থেকে মোবাইল ফোনে অভিজিৎ বললেন, 'খুব কমদিন পঞ্চমদার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি আমি। সেইসময় আমার আত্ববিশ্বাসের অভাব ছিল। আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন পঞ্চমদা। পরবর্তীকালে অনেকের থেকে শুনেছি, উনি আমার বিষয়ে বলতেন, 'ও অনেক দূর যাবে, ভালো কাজ করবে'। পঞ্চমদার চোখ দিয়েই যেন আমি নিজেকে, নিজের কাজতে চিনতে পারি। 'আনন্দ অউর আনন্দ' ছবিতে কাজের সুযোগ উনিই প্রথম করে দিয়েছিলেন আমায়। তখন আমি উত্তেজনায় ফুটছি। রেকর্ডিং যেদিন শেষ হল, আমার জন্য মিউজিক রুমেই একটা পার্টির আয়োজন করেছিলেন।'
গানের মধ্যে অদ্ভুতভাবে বিভিন্ন বাদ্য়যন্ত্রের প্রয়োগ করতে পারতেন আর ডি বর্মণ। অভিজিৎ বলছেন, 'পঞ্চমদা বাঁশিকে এমন করে ব্যবহার করতেন, কেউ শুনলে বুঝতেই পারবে না ওটা বাঁশি। ভাববে অন্য কোনও একটা মিষ্টি যন্ত্র বাজছে। পিঠের ওপর জল রেখে সেটার থেকেও যে মিউজিক তৈরি করা যায়, তার ওঁর কাছেই প্রথম দেখেছি। এত প্রতিভাবান একজন মানুষ, অথচ নিজে কখনও গান গাইতে চাইতেন না। ওনার সঙ্গীতশিল্পী সত্ত্বাটাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতেন না উনি। সঙ্গীত পরিচালনাই ওঁর ধ্যান-জ্ঞান। আরও একটা অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল ওর, প্রতিভা খুঁজে নেওয়া। উনি জানতেন কীভাবে প্রশিক্ষণ দিলে কোনও শিল্পীর প্রতিভা প্রকাশ পাবে। সবাই এটা পারে না।'
আর ডি বর্মণকে মধ্যগগনে যেমন দেখেছেন, পরবর্তীকালেও তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন অভিজিৎ। আক্ষেপের সুরে বললেন, 'শেষের দিকে পঞ্চমদার কাছে সবই ছিল, শুধু কাজ ছিল না। একটা সময়ে দেখেছি ওনার জন্য ১০ জন ম্যানেজার ফোন করে সমস্ত ব্যবস্থা করে দিতেন। আবার এমন সময়ও গিয়েছে যখন পঞ্চমদা নিজেই ফোন করে জেনে নিতেন, কোথায় কবে রেকর্ডিং। সেইসময় পঞ্চমদা ফাঁকা থাকলে আমি ওনার সঙ্গে গিয়ে সময় কাটাতাম। পঞ্চমদা কিছুটা এড়িয়ে যেতে চাইতেন। বলতেন, 'নতুনদের সঙ্গে তুমি এখন এত ভালো কাজ করছো অভিজিৎ। আমার কাছে আসবার আর প্রয়োজন নেই। পঞ্চমদা নিজে কোনওদিন উপলব্দিই করতে পারলেন না উনি কত বড়মাপের একজন শিল্পী। আর আমি, চিরকাল ওনার মুখের থেকে বেশি পায়ের দিকে তাকিয়ে কথা বলতাম। পঞ্চমদার চোখে চোখ রেখে কথা বলার যোগত্য অর্জন করতে পারিনি কখনও।'