মায়ের কাছে মার খেয়েও পাড়ার প্যান্ডেলে রাত জাগতাম: শাশ্বত
চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে বিসর্জন, নিয়ম করে হাজির থাকতেন পাড়ার পুজোয়। প্যান্ডেলে রাত জাগার জন্য মায়ের কাছে মার পর্যন্ত খেয়েছেন তিনি।
কলকাতা: চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে বিসর্জন, নিয়ম করে হাজির থাকতেন পাড়ার পুজোয়। প্যান্ডেলে রাত জাগার জন্য মায়ের কাছে মার পর্যন্ত খেয়েছেন তিনি। তারকা পুত্র বলে কখনও পুজোর আনন্দে ভাটা পড়েনি শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের। এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছোটবেলার পুজোর গল্প শোনালেন শুভেন্দু-পুত্র।
পুজো মানেই পাড়ার মণ্ডপে রাত জাগা। শাশ্বত বলছেন, 'চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে বিসর্জন, গোটা পুজোর আনন্দটাই ছিল পাড়ার মণ্ডপকে ঘিরে। ঠাকুর আনতে যাওয়ার একটা আলাদা উত্তেজনা ছিল। আর তারপর রাত জাগা। সেই নিয়ে রোজ বাড়িতে অশান্তি হত। বাবা ঠাণ্ডা চোখে তাকাতেন, আর মায়ের কাছে তো মার পর্যন্ত খেয়েছি। তবে ওসবের তোয়াক্কা করতাম না। ঠাকুর সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে যাওয়ার পর মঞ্চে যেটুকু জায়গা ফাঁকা থাকে সেইখানে কখনও কেউ শুয়েছে কি না জানি না। ওইখানে, ঠাকুরের পায়ের কাছে শুয়ে মুখ উঁচু করে প্রতিমাকে দেখার অদ্ভুত একটা অনুভূতি আছে। ভাসানে যাওয়া নিয়েও তুলকালাম ঝগড়া করতাম বাড়িতে। মা-বাবা বলতেন, ঘাট অবধি যেতে হবে না। ঠাকুর পাড়ায় ঘোরানোর পর নেমে যাবে। কিন্তু আমি ঘাট অবধি যাবই।' একটু থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন শাশ্বত। তারপর আবার বললেন, 'এখন আর পুজোর সঙ্গে সেইভাবে যুক্ত থাকা হয় না। তবে পুজো সবসময় আনন্দের।'
করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ যেন ভুলতে বসেছে পুজোয় দল বেঁধে ঠাকুর দেখতে যাওয়া, জমায়েত করে আড্ডা...। সাক্ষাৎকার শেষে সেই সতর্কবার্তা শোনা গেল শাশ্বতর গলাতেও। বললেন, 'যাঁরা পুজোয় আনন্দ করবেন, দয়া করে একটু মাস্কটা পরবেন। ঠাকুর দেখার সময় বা অপরিচিত লোকের কাছাকাছি এলে মাস্ক পড়ুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। পুজোর আগেই যা অবস্থা দেখছি, হঠাৎ যদি সরকার কোনও কড়াকড়ি করে দেয় তবে ঠাকুর দেখাটাই বন্ধ হয়ে যাবে। অবশ্যই সরকার আপনাদের ভালোর কথা ভেবেই পদক্ষেপ নেবে। সুরক্ষিত থাকলে পুজোটা আমরা উপভোগ করতে পারব।'