Aishwarya Rai Bachchan: ঐশ্বর্যার নামে কলেজ, ঘোষণা করেছিলেন অমিতাভ, দু'দশক পরও গাঁথা হয়নি একটি ইঁট
Amitabh Bachchan: ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল সাতপাকে বাঁধা পড়েন ঐশ্বর্যা এবং অভিষেক।
মুম্বই: মায়ানগরীর 'ফার্স্ট ফ্যামিলি' বলা হয় বচ্চনদের। অমিতাভ বচ্চন যদি বটবৃক্ষ হন, তাঁকে চারিদিক থেকে ঘিরে রয়েছেন জয়া বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। অভিনয়ে না এলেও, মায়ানগরীতে যথেষ্ট প্রভাব এবং প্রতিপত্তি রয়েছে শ্বেতা বচ্চনেরও। সেই বচ্চন পরিবারে ফাটলের খবর আসতে শুরু করে গত বছর থেকেই। ঐশ্বর্যার সঙ্গে বাকিদের বনিবনা হয়নি বলে খবর আসে সেই সময়। পরিবারের কেউ সেই নিয়ে মুখ খোলেননি, গুঞ্জন বলে উড়িয়েও দেননি খবরকে। সেই আবেহ আরও একটি পুরনো ঘটনা সামনে উঠে আসছে। (Aishwarya Rai Bachchan)
২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল সাতপাকে বাঁধা পড়েন ঐশ্বর্যা এবং অভিষেক। ২০০৮ সালে উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকিতে পুত্রবধূ ঐশ্বর্যার নামে একটি কলেজ খোলার ঘোষণা করেন অমিতাভ। ঐশ্বর্যার নামে ডিগ্রি কলেজ খুলতে ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করে আসেন তিনি। ঐশ্বর্যা খোদ উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন অভিষেক, জয়া, সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিংহ যাদব, অমর সিংহও। (Amitabh Bachchan)
এর পর ২০১২ সালে প্রস্তাবিত ওই স্কুলের নামও পরিবর্তন করা হয়। 'ঐশ্বর্যা বচ্চন গার্লস ইন্টার কলেজ ফর হায়ার সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস' নাম রাখা হয়। কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু করতে ৫ লক্ষ টাকার চেক লিখে দেন অমিতাভ। শোনা যায়, 'নিষ্ঠা ফাউন্ডেশন' নামের একটি সংস্থাকে কলেজ নির্মাণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন অমিতাভ, যার প্রেসিডেন্ট জয়া। কিন্তু 'নিষ্ঠা ফাউন্ডেশন' ওই কলেজের নির্মাণ করেনি। পরবর্তীতে অমিতাভের 'সেবা সংস্থানে'র দিকে আঙুল তোলে তারা।
আরও পড়ুন: Jisshu Sengupta: সৃজিতের 'ঊমা', যীশু-কন্যা সারার মুকুটে সাফল্য়ের নতুন পালক
সেই থেকে প্রায় দু'-দশক কাটতে চলেছে। এখনও বরাবাঁকির মানুষ জন কলেজের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন। আজ পর্যন্ত একটি ইঁটও গাঁথা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। কোনও উপায় না দেখে গ্রামের এক বাসিন্দা নিজের পকেট থেকে ১০ হাজার স্কোয়্যার মিটার জায়গা দান করেন কলেজ নির্মাণের জন্য। গ্রামবাসীরাও চাঁদা তুলতে শুরু করেন। সেই টাকায় বচ্চনদের জমির পাশেই কলেজ গড়ে ওঠে। কেন অমিতাভ ওই কলেজ নির্মাণের কাজ থেকে সরে আসেন, আজও খোলসা হয়নি।
অমিতাভ, জয়া বা ঐশ্বর্যা, কেউই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি আজ পর্যন্ত। তবে কয়েক মাস আগেই তাঁদের সংসারে ফাটল ধরেছে বলে খবর সামনে আসে। অমিতাভ মুম্বইয়ে নিজের প্রাসাদোপম একটি বাংলো মেয়ের নামে লিখে দিয়েছেন বলে জানা যায়। সেই সিদ্ধান্তে নাকি অখুশি ছিলেন ঐশ্বর্যা! এমনকি ঐশ্বর্যা এবং অভিষেক আলাদা থাকতে শুরু করেছেন বলেও শোনা যায়। সেই নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও আগের মতো বচ্চনদের খুব একটা একসঙ্গে দেখা যায় না। কোথাও একসঙ্গে গেলেও, দূরত্ব বোঝা যায় স্পষ্ট।