Hooliganism: 'হুলিগানিজম' করতে গিয়ে চলমান সময়কেই গানে বাঁধলেন অনির্বাণ, দেবরাজ, শুভদীপরা
Anirban Bhattacharya: 'হুলিগানিজম'-এর অনুষ্ঠান একগুচ্ছ নতুন গান দিয়ে সাজানো। কোনও কোনও গান রূপক আবার কোনও গান সরাসরিই বর্তমান সময়ের ছবিটা তুলে ধরে স্পষ্টভাবে

কলকাতা: 'হুলিগানিজম' কথাটার আক্ষরিক অর্থ গুণ্ডামি বা রাহাজানি। তবে বাংলায় সদ্য এমন এক 'হুলিগানিজম' চালু হয়েছে, যেখানে সামিল হতে টিকিট কাটছেন সাধারণ মানুষ। গুণ্ডামি করে নয়, তাঁরা নাকি, 'গান দিয়ে হুল ফোটান'। দর্শকাসনে অধিকাংশই তরুণ তরুণীদের দল। কেউ কেউ আবার গিটার নিয়েই চলে এসেছেন গান শুনতে। তবে নতুন প্রজন্মের পাশাপাশি দেখা মিলল মধ্যবসয়ীদেরও। মঞ্চের 'হুলিগান'-রা অবশ্য গান সাজিয়েছিলেন সব বয়সের জন্যই। সেই গানে যেমন ছিলেন ইলন মাস্ক, তেমনই ছিল 'উন্নয়ন', তেমনই আবার ছিল 'মায়েদের জন্য গান'। শুক্র সন্ধ্যায় জি ডি বিড়লা সভাঘরে স্যাটায়ার, সার্কাজম আর প্যারোডির আদর্শ মিশেল ঘটালেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, দেবরাজ ভট্টাচার্য, শুভদীপ গুহ, সুশ্রুত গোস্বামী, প্রীতম দেব সরকার, প্রীতম দাস, সোমেশ্বর ভট্টাচার্য, নীলাংশুক দত্ত ও কৃষানু ঘোষ।
বাংলার নতুন ব্যান্ড 'হুলিগানিজম'-এর এখনও পর্যন্ত মাত্র ১টি গানই মুক্তি পেয়েছে। 'মেলার গান'। সেই গান শ্রোতাদের যে মনে ধরেছে, সেটার ফের একবার প্রমাণ পাওয়া গেল জি ডি বিড়লা সভাঘরে। মঞ্চে একের পর এক গান গেয়ে চলেছেন অনির্বাণ, দেবরাজ আর শুভদীপ। তাঁদের গানে, কথায় দর্শকেরা কখনও হেসে সম্মতি জানাচ্ছেন গানের কথার সঙ্গে, কখনও প্রশংসায় হাততালি দিয়ে উঠছেন। যেখানে দর্শক আর শিল্পীর মধ্যে পর্দার কোনও আড়াল থাকে না, সেখানে ভাললাগার আদান প্রদান হতে পারে খুব সহজেই। মঞ্চে গান গাইতে গাইতে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলছেন অনির্বাণ। কখনও কখনও দেবরাজও। তবে 'মেলার গান'-এর সময় উচ্ছ্বাস ছিল সবচেয়ে বেশি। যেহেতু ইতিমধ্যেই গানটা শ্রোতাদের চেনা, তাই তারাই গলা মেলাতে পারলেন দিব্যি। এমনকি অনুষ্ঠানের শেষ গানের সময়ও দর্শকাসন থেকে আর একবার 'মেলার গান' গাওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল।
'হুলিগানিজম'-এর অনুষ্ঠান একগুচ্ছ নতুন গান দিয়ে সাজানো। কোনও কোনও গান রূপক আবার কোনও গান সরাসরিই বর্তমান সময়ের ছবিটা তুলে ধরে স্পষ্টভাবে। অনির্বাণই যে এই শো-এর চালিকাশক্তি, সেটা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। কথায়, গানে, সাবলীল ভঙ্গিমায় দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। দেবরাজের গলায় যে দরদ রয়েছে, সেটা দর্শকদের কানে লেগে থাকে। আলাদা করে প্রশংসার দাবি রাখেন শুভদীপ। তিনি এই দলের সম্পদ। বাঁশিতে সুশ্রুত আর বেহালায় প্রীতম বাজিমাৎ করে দিয়েছেন গানের আবহ তৈরিতে।
তবে অনুষ্ঠানের প্রত্যেক শিল্পী যখন তাঁদের আলো জ্বলা টুপি মঞ্চে নামিয়ে রেখে উইংসের আড়ালে চলে গেলেন, তখনও আসন ছেড়ে ওঠেননি দর্শকেরা। তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন আরও কিছু চমকের। দর্শকদের প্রত্যাশার এই দায়িত্ব এগিয়ে যাওয়ার পথে মাথায় রাখতে হবে 'হুলিগানিজম'-কে।






















