Anurager Chowa: এই আড়ি, এই ভাব, সেটেই চলে পড়াশোনা.. ক্যামেরার বাইরে সোনা-রূপার গল্প শোনালেন দীপা
Bengali Serial: সেটে নাকি বই-খাতা নিয়ে আসে সৃষ্টি আর মিশিতা। অভিনয় করতে করতে, স্বস্তিকাও যেন জড়িয়ে গিয়েছেন এই দুই খুদের সঙ্গে। সারাদিন শটের ব্যস্ততা ছাড়া, সেটে কী করে মিশিতা আর সৃষ্টি?
কলকাতা: সেটে যেমন বড়রা রয়েছেন, বন্ধুরা রয়েছে, তেমনই রয়েছে দুই খুদে। তাদের নিয়েই এখন কার্যত মেতে থাকে গোটা ধারাবাহিকের সেট। সোনা ও আর রূপা। পর্দায় এই দুই মেয়েকে ঘিরেই এখন ওঠাপড়া চলছে দীপা আর সূর্যর জীবনে। ধারাবাহিক 'অনুরাগের ছোঁয়া' (Anurager Chowa)-র সেটে কেমন সময় কাটে দুই শিশুশিল্পী মিশিতা রায়চৌধুরী ও সৃষ্টি মুজমদারের? এবিপি লাইভের সঙ্গে সেই গল্পই ভাগ করে নিলেন সোনা আর রূপার অনস্ক্রিন মা ওরফে ধারাবাহিকের নায়িকা স্বস্তিকা ঘোষ (Swastika Ghosh)।
সেটে নাকি বই-খাতা নিয়ে আসে সৃষ্টি আর মিশিতা। অভিনয় করতে করতে, স্বস্তিকাও যেন জড়িয়ে গিয়েছেন এই দুই খুদের সঙ্গে। সারাদিন শটের ব্যস্ততা ছাড়া, সেটে কী করে মিশিতা আর সৃষ্টি? স্বস্তিকা বলছেন, 'ওরা সেটে বই খাতা নিয়ে আসে। শটের মাঝে মাঝে পড়াশোনা করে নয়। এমনই ওদের পরীক্ষা থাকলে আমরাও পড়াশোনায় টুকটাক সাহায্য করে দিই। শট থেকে একটু ছাড়া পেতে ওরা চেষ্টা করে সপ্তাহে অন্তত ৩টে দিন স্কুল যেতে। পড়াশোনার দিক থেকে ভীষণ মনোযোগী ওরা। আমরা ওদের বয়স থেকে অভিনয় করলে, কী করতাম জানি না।'
তবে শুধু পড়াশোনা নয়, পর্দার বাইরেও যেন স্বস্তিকা মা হয়ে উঠেছেন মিশিতা আর সৃষ্টির। একটু হেসে পর্দার দীপা বললেন, 'ওরা দুজনে ভীষণ দুষ্টু। সারাক্ষণ সেটে খুনসুটি, মজা করেই চলেছে। শট শুরু হলে ঝগড়া করছে আবার শট শেষ হলেই গলায় গলায় বন্ধুত্ব। মাঝে মাঝে আবার খুব বেশি দৌরাত্ম করে ফেলে। তখন আমি চেষ্টা করি বোঝানোর। বকেও ফেলি মাঝে মাঝে। যদি ওদের প্রশ্ন করা হয়, সেটে কে বেশি বকে, নিশ্চয়ই দুজনে আমার দিকেই আঙুল তুলবে।'
সেটে এখন স্বস্তিকার বেশিরভাগ সময় কাটে সৃষ্টি আর মিশিতার সঙ্গে। অভিনেত্রী বলছেন, 'এখন সেটে বেশিরভাগ সময়টা আমার দুই অনস্ক্রিন মেয়ের সঙ্গেই কাটে। এমনও দিন গিয়েছে বাকি সবার ছুটি। আমি কেবল ওদের নিয়ে শট দিচ্ছি। আমার কথা এখন একটু শোনে ওরা।'
এখন ধারাবাহিক ৫ দিনের বদলে ৭ দিনই সম্প্রচারিত হয়। ফলে কাজের চাপ বেড়েছে। তবে স্বস্তিকাকে বেশ আত্মপ্রত্যয়ী শোনাল। বললেন, 'আমি অবশ্য ব্যস্ত থাকতেই ভালবাসি। যখন ছুটি পেতাম টানা ৩ দিন করে, মনে আছে একটা দিন একটু বিশ্রাম নিয়েই ধারাবাহিকে আমাদের ছোটদের টিমটা বেরিয়ে পড়লাম। দুপুর বা রাতের খাওয়া-দাওয়ার পরিকল্পনা করে। এখন অবশ্য কাজের চাপ বেড়েছে, ফলে তেমন করে ছুটি আর পাওয়া যাচ্ছে না।'
Jeetu Nabanita: জিতু-নবনীতার সম্পর্কে ফাটলের নেপথ্যে শ্রাবন্তী?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন