Arijit Singh with Aindrila Sharma: 'সারাদিন নির্দ্বিধায় ঐন্দ্রিলার চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করি অরিজিৎ সিংহের সঙ্গে', লিখছেন সব্যসাচী
Aindrila Sharma Update: যখন সব্যসাচী আর ঐন্দ্রিলার পরিবারের সবাই দাঁতে দাঁত চেপে এক অসম লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন, সেইসময়ে ঐন্দ্রিলার পরিবারের, সব্যসচীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অরিজিৎ সিংহ স্বয়ং
কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্ধে থেকেই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma)-র পাশে দাঁড়িয়েছেন অরিজিৎ সিংহ (Arijit Singha)। আর শুক্রবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সেই খবর শীলমোহর দিলেন সব্যসাচী স্বয়ং। তবে আর্থিক নয়, সব্যসাচী জানান, তাঁকে আশার আলো দেখিয়েছেন অরিজিৎ সিংহ, তথ্য দিয়েছেন, নিয়মিত তাঁর সঙ্গে আলোচনাও করেন চিকিৎসা নিয়ে।
অরিজিৎ যেন সবসময়েই আলাদা, ব্যতিক্রমী। যখন সব্যসাচী আর ঐন্দ্রিলার পরিবারের সবাই দাঁতে দাঁত চেপে এক অসম লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন, যখন সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গিয়েছিল ঐন্দ্রিলার ভুয়ো মৃত্যুর খবরে, সেইসময়ে ঐন্দ্রিলার পরিবারের, সব্যসচীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অরিজিৎ সিংহ স্বয়ং। সব্যসাচী লিখছেন, 'গত দুদিনের এত নেগেটিভিটির মাঝে একটা মাত্র মানুষ আমায় কিছু তথ্য দিয়ে প্রথম আলোর দিশা দেখায়, যার সাথে সারাদিন নির্দ্বিধায় চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করি, তিনি অরিজিৎ সিং।'
আরও পড়ুন: Aindrila Sharma Update: মিরাকল হয়! অবস্থার উন্নতি, ভেন্টিলেশন থেকে বেরোতে চেষ্টা করছেন ঐন্দ্রিলা
এই পোস্টেই সব্যসাচী লিখেছেন, ঐন্দ্রিলার পরিবার কারও থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য নেয়নি এবং কোনও অর্থসাহায্য চাওয়াও হয়নি। তিনি লিখেছেন, পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ীই চিকিৎসা হবে। তবে অরিজিৎ সিংহ যে ঐন্দ্রিলার পাশে রয়েছেন, এই কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্ট করেই লিখেছেন সব্যসাচী।
আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নাতিদীর্ঘ পোস্ট করে গত কয়েকদিনের বিস্তৃত বিবরণ দেন সব্যসাচী। হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক, ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের অবস্থার আচমকা অবনতি, গুজব, সবই ছত্রে ছত্রে ধরা রইল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। সব্যসাচীর বিবরণ পড়তে পড়তে অনুভব করা যায়, গত কয়েকদিনের টালমাটাল পরিস্থিতি। যেদিন ঐন্দ্রিলার হার্ট অ্যাটাক হয়, সেদিন রাতে চিকিৎসকেরা একপ্রকার জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন। হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসছিল ঐন্দ্রিলার, এক এক করে কমছিল হার্ট বিট। সারাদিন ঐন্দ্রিলার হাত আঁকড়ে ধরে বসেছিলেন সব্যসাচী।
সব্যসাচী লিখছেন, 'ঠিক রাত আটটায় যখন আমি বিমর্ষমুখে নিচে দাঁড়িয়ে, হঠাৎ হাত নড়ে ওঠে ঐন্দ্রিলার। খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি হার্টরেট এক লাফে ৯১, রক্তচাপ বেড়ে ১৩০/৮০, শরীর ক্রমশ গরম হচ্ছে। কে বলে মিরাকেল হয় না? কে বলে ও চলে গেছে? একপ্রকার অনন্ত শূন্য থেকে এক ধাক্কায় ছিটকে ফিরে এল মেয়েটা। গেছে বললেই ও যাবে না কি, যেতে দিলে তো যাবে।'
ঐন্দ্রিলা স্বাস্থ্যের খবর দিতে গিয়ে সব্যসাচী লেখেন, 'এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলা একপ্রকার সাপোর্ট ছাড়াই আছে, এমন কি ভেন্টিলেশন থেকেও বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আগে ক্লিনিক্যালি সুস্থ হোক, নিউরোর কথা পরে ভাববো।'