কিন্তু শ্রীদেবীর সঙ্গে দূরত্বের প্রাচীর কোনওদিনই ভাঙেনি।
2/12
যদিও অর্জুন বাবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন।
3/12
বনি কপূরের প্রথম স্ত্রীর মোনার দুটি সন্তান। অর্জুন আর তাঁর বোন অনশুলা।
4/12
আজ সেই শ্রীদেবীর মরদেহ নিয়ে আসার পথে গাড়িতে বসে কি চোখ জলে ভরে আসছিল অর্জুনের? হাত দিয়ে তা ঢাকার চেষ্টা করছেন তিনি?
5/12
বিস্ফোরক অর্জুন আরও বলেছিলেন, আমার জীবনে শ্রীদেবী, ওঁর দুই মেয়ের কোনও জায়গাই নেই। আমার কাছে শ্রীদেবী স্রেফ বাবার স্ত্রী, তার বেশি কিছু নন।
6/12
গত বছরের মে মাসে একটি ইন্টারভিউতে অর্জুন বলেছিলেন, আমি কখনই জাহ্নবী বা খুশির সঙ্গে দেখা করি না, কোনও সম্পর্কই নেই ওদের সঙ্গে। নিশ্চয়ই জানেন, জাহ্নবী, খুশি বনির দ্বিতীয় পক্ষের অর্থাত শ্রীদেবীর মেয়ে।
7/12
অর্জুনের তখন ১১ বছর বয়স, যখন বনি কপূর শ্রীদেবীকে বিয়ে করার জন্য তাঁর মা মোনা কপূরকে ডিভোর্স দেন। তখন থেকেই শ্রীদেবী সম্পর্কে অর্জুনের মনে শুধু বিদ্বেষই জমেছে। কিন্তু আজ যখন শ্রীদেবীই আর নেই, তখন কী হবে আর সেই বিদ্বেষ পুষে রেখে! বাবার এই যন্ত্রনার সময় তাঁর পাশে তাই অর্জুন।
8/12
লোকে বলে, সময় বড় ফ্যাক্টর। অনেক কিছুই সে মন থেকে ভুলিয়ে দেয়। ঘৃণা, বিদ্বেষ, অসূয়া বোধ সবই ধুয়েমুছে সাফ করে দেয় সময়। কিন্তু ২২ বছর ধরে শ্রীদেবীর প্রতি অর্জুন যে ক্ষোভ বুকে বয়ে চলেছেন, তা কি সাফ হয়ে গেল?
9/12
কিন্তু শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর সেই অর্জুনই বাবার সঙ্গে দুবাই গেলেন। শ্রীদেবীর দেহ সেখান থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে নিয়ে আসা, গোটা পর্বে বাবার পাশেই ছিলেন তিনি।
10/12
নিজের রূপ, অভিনয়ের জাদুতে ভক্তদের মজিয়ে রাখলেও শ্রীদেবীর জীবনে বরাবর ছিল কিছু শূন্যতাও। যেমন স্বামী বনি কপূরের প্রথম পক্ষের ছেলে অর্জুন কপূরের মন জয় করতে পারেননি তিনি। কোনওদিনই অর্জুন তাঁকে মেনে নিতে পারেননি। অর্জুনের মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেই শ্রীদেবীকে বিয়ে করেছিলেন বনি।
11/12
গতকাল রাতে বিমানবন্দর থেকে লোখন্ডওয়ালার গ্রিন একর্স বাসভবনে তাঁর নিথর দেহ নিয়ে যাওয়ার সময়ই শহরটা যেন রাস্তায় নেমে এসেছিল।
12/12
শ্রীদেবী চলে গেলেন। কাঁদিয়ে দিয়ে গেলেন অসংখ্য অনুরাগী, ভক্তকে।