Zubeen Garg: জুবিন গর্গ তো 'অমর', ভোটার তালিকা থেকে প্রয়াত গায়কের নাম মুছলেন না বিএলও
Zubeen Garg Updates: প্রিয় জুবিন দা-কে ভুলতে চাইছেন না কেউই। জুবিন ও তাঁর পরিবার যে এলাকায় ভোট দেয়, সেই এলাকার বিএলও মহম্মদ তাফিজ উদ্দিন। তিনি নাম মুছে দেননি।

গুয়াহাটি: SIR প্রক্রিয়া চলছে গোটা দেশজুড়ে। মৃত ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কাজ চলছে। কিন্তু প্রয়াত জুবিন গর্গের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল না। আসামের মানুষের হৃদয় এখনও বিরাজ করছেন জুবিন গর্গ। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে গিয়ে বিএলও প্রয়াত বিখ্যাত গায়কের নাম তালিকা থেকে বাদ দিলেন না।
সাধারণত, ভোটারের মৃত্যু হলে সংশোধিত ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়াই নিয়ম হয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে এটি সাধারণ কোনও ব্য়ক্তির নাম নয়, নামটা জুবিন গর্গ, সেখানে নিয়মের ঘেরাটোপে পড়তে চান না গোটা আসমবাসী। তাই প্রিয় জুবিন দা-কে ভুলতে চাইছেন না কেউই। জুবিন ও তাঁর পরিবার যে এলাকায় ভোট দেয়, সেই এলাকার বিএলও মহম্মদ তাফিজ উদ্দিন। তিনি জুবিনের নাম নজরে আসতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ''আসামবাসীর মনে জুবিন গর্গ শুধু এক শিল্পী নন, তিনি আমাদের প্রাণ, আমাদের গলার স্বর। তাঁকে মৃত হিসেবে চিহ্নিত করতে মন সায় দিচ্ছিল না। তালিকা যাচাই করতে গিয়ে আবেগ সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছিল।'' ভোটার তালিকায় গায়কের ছবির পাশে তিনি লিখে দেন ''তুমি অমর হয়ে থাকো এবং শান্তিতে ঘুমাও।''
কিছুদিন আগেই অসম বিধানসভায় দাঁড়িয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছিলেন গায়কের মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়। বরং পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে তাঁকে।। তিনি বলেন, "প্রাথমিক তদন্তের পরই অসম পুলিশ বুঝে যায় যে (জুবিনের মৃত্যু) সরাসরি খুন। প্রথম দিন থেকেই ওটা খুন ছিল। অভিযুক্ত শ্যামকানু মহন্ত, সিদ্ধার্থ শর্মা, অমৃতপ্রভ মহন্ত এবং শেখর জ্যোতি গোস্বামী খুনের মামলায় জেলে রয়েছেন। জুবিনের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িে আছে। তাই জুবিন গর্গের খুনের তদন্ত করছি আমরা।"
জুবিনের মৃত্যুকে গোড়া থেকেই 'খুন' বলে দাবি করে আসছেন হিমন্ত। কেন তাঁর মনে এমন বদ্ধমূল ধারণা জন্মায়, তাও ব্যাখ্যা করেন তিনি। বলেন, "ওঁর মৃত্যুর পর পরই মনে হচ্ছিল, কিছু একটা অঙ্ক মিলছে না। তাই অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, খুন ও গাফলতিতে মৃত্য়ুর ধারায় এফআইআর দায়ের করি আমরা। গোড়া থেকেই অসম পুলিশ নিশ্চিত ছিল যে, ওটা খুন। তাই দু'দিনের মধ্যে অসম সরকার আদালতকে তা জানায়।"
অসম বিধানসভায় জুবিনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ উঠলে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেন হিমন্ত। তিনি বলেন, "একজন খুন করে জুবিনকে। বাকিরা তাকে সাহায্য় করে। খুনের মামলায় চার-পাঁচজনকে ধরা হয়েছে।"






















