Salman Rushdie: মঞ্চে উঠে সলমন রুশদির ওপর হামলা, হাদি মাতারকে সাজা শোনাল আদালত
Salman Rushdie: যে ধারায় হাজি মাতারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, সেই মামলায় সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সাজা বরাদ্দ ছিল

কলকাতা: অবশেষে ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক সলমন রুশদি-র (Salman Rushdie) ওপর হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্তের সাজা ঘোষণা হল। এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল ২৭ বছরের হাদি মাতারকে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পরে, অবশেষে এই ঘটনায়, সাজা শোনানো হল। হাদি মাতারের ২৫ বছরের জেলের সাজা হল। আমেরিকার নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে তাঁর বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। সে সময়ই ‘দোষী’ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল হাজিকে। শাস্তি ঘোষণা করা হল শুক্রবার।
যে ধারায় হাজি মাতারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, সেই মামলায় সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সাজা বরাদ্দ ছিল। আমেরিকার একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন সলমন রুশদির উপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল নিউ জার্সির বাসিন্দা হাদি মাতার। মঞ্চে উঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন সলমন রুশদিকে। ছুরির আঘাতে মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েছিলেন বুকারজয়ী ব্রিটিশ লেখক। বেশ কিছু দিন তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। পরে সুস্থ হয়ে উঠলেও হামলার ফলে একটি চোখে দৃষ্টি হারিয়েছেন ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর লেখক। অকেজো হয়ে গিয়েছে একটি হাতও। বলাই বাহুল্য, এই ক্ষতি গুরুতর।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দু’বছর কারাবন্দি ছিল এই হাদি মাতার। এরপরে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হাদির বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল নিউ ইয়র্কের একটি কাউন্টি আদালতে। যেই জায়গায় সলমন রুশদির উপর হামলা হয়েছিল, সেই জায়গা থেকে এই আদালত খুব বেশি দূরে নয়। মঞ্চে সে দিন রুশদির সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন হেনরি রিস। তাঁকেও আঘাত করেছিলেন যুবক। সেই ঘটনার জন্যই এই আদালতে হাদি মাতার দোষী প্রমাণিত হয়েছেন।
বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন এই মামলায় সলমন রুশদি স্বয়ং সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। নাতিনি আদালতে হামলার সেই দিনের সমস্ত ঘটনা সবিস্তারে জানিয়েছিলেন। রুশদি বর্ণনা অনুযায়ী, অনুষ্ঠান চলাকালীন আচমকা এক যুবককে তাঁর দিকে পাগলের মতো ছুটে আসতে দেখেন তিনি। ওই যুবকের চোখগুলি ছিল ‘অন্ধকার’ এবং ‘হিংস্র’। প্রথমে রুশদি ভেবেছিলেন, তাঁকে ঘুষি মারা হয়েছে। পরে বুঝতে পারেন, তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মোট ১৫ বার তাঁকে কোপ মারা হয় বলে আদালতকে রুশদি জানান। প্রায় তিন সপ্তাহ বিচারপ্রক্রিয়া চলার পরে হাদিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। শাস্তি ঘোষণা হল তারও তিন মাস পরে।
প্রসঙ্গত, ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্য়াস লেখার পরে অনেকবার খুনের হুমকি পেয়েছিলেন রুশদি। তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছিল মৃত্যু পরোয়ানাও। তাঁকে আত্মগোপন করেও থাকতে হয়েছিল একটা সময়ে।






















