Saif Ali Khan: কেন্দ্র নাকি রাজ্য, দায় কার? সেফ আলি খানের ওপর হামলায় বাংলাদেশ-যোগ নিয়ে তৃণমূল বিজেপি তরজা
Saif Ali Khan Attack: বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলছেন, 'আজ বাংলাদেশিরা এখান দিয়ে ঢুকে রেশন কার্ড, আধার কার্ড সব করে নিয়ে সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ছে এবং দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কাজকর্ম করছে।'

মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, পূর্ণেন্দু সিংহ, কলকাতা: বান্দ্রার বাড়িতে সেফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের চিকেনস্ নেক হয়ে ভারতে ঢুকে মহারাষ্ট্রে আস্তানা গেড়েছিল ওই দুষ্কৃতী। আর এই তথ্যকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক শিবির।
এই ঘটনায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলছেন, 'আজ বাংলাদেশিরা এখান দিয়ে ঢুকে রেশন কার্ড, আধার কার্ড সব করে নিয়ে সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ছে এবং দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কাজকর্ম করছে।' অন্যদিকে এই বিষয়ে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলছেন, 'দেশের যে কোনও প্রান্তেই কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ুক যারা অবৈধভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে, তার মূল ব্যর্থতা সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের। কারণ সীমান্ত পাহাড়া দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। তারা ব্যর্থ। দ্বিতীয়ত সেন্ট্রাল আইবি, অশুভ শক্তির গতিবিধি দেখা যাদের কাজ, কেন্দ্রীয় এজেন্সি, তারাও ব্যর্থ।'
মূল অভিযুক্ত হিসেবে মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদ নামে এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশের নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর বান্দ্রার সেই ঘটনায় ভরা মাঘেও রাজনীতির গনগনে উত্তাপ ছড়িয়েছে বাংলায়। মুম্বই পুলিশ সূত্রে দাবি, বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়ি করিডর, অর্থাৎ চিকেনস নেক হয়ে ৭-৮ মাস আগে ভারতে ঢোকে শরিফুল। দিলীপ ঘোষ এই বিষয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়ে বলছেন, 'এখানকার পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইচ্ছা করে বাংলাদেশিদের ঢুকতে দিচ্ছে। কিছু বললেই BSF-এর দোষ দেয়। সারা দেশ থেকে বাংলাদেশি তাড়ানোর যে অভিযান শুরু হয়ে গেছে, রোহিঙ্গারা নিজেরা পালাচ্ছে বাংলাদেশে আবার। বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজ্যের পুলিশ ধরে তাদের পুশব্যাক করছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কোনও হেলদোল নেই। কারণ এদের ভোটার বানিয়ে রাখা হয়েছে ভোট পাওয়ার জন্য দেশের সুরক্ষাকে বিসর্জন দিয়ে।'
অন্যদিকে, পুরমন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম বলছেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের অপদার্থতা। বর্ডার সিল করতে পারছে না। ওই দেশটা হয়ে গেছে কান্ট্রি অফ হুলিগ্যানিজম। হুলিগানরা এখন ওই দেশ চালাচ্ছে। সুতরাং আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। নিশ্চিতভাবে শুধু সেফ আলি খান নয়, যাতে সাধারণ মানুষের উপর কোনওরকমভাবে আপদবিপদ না আসে, অত্যাচার না আসে, অপরাধীরা যাতে সাহস না পায়, সেই জায়গা পুলিশকে, সে মহারাষ্ট্র পুলিশ হোক বা যে পুলিশই হোক, তাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। সব থেকে বেশি হল, BSF-কে আরও কড়া হতে হবে।'
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে এদিন নিশানা করেছেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। 'পশ্চিমবঙ্গকে একটা বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এটাতে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত আছে। পশ্চিমবঙ্গে পুরো কারখানা চলছে, বাংলাদেশিকে ঢোকাবার কারখানা। সম্পূর্ণভাবে রাজ্য সরকারের উদাসীনতা নয়, রাজ্য সরকারের সক্রিয় মদতে আজ এই ধরনের জঙ্গি কার্যকলাপ বিভিন্ন জায়গায় ঘটাচ্ছে এই বাংলাদেশিরা।' সব মিলিয়ে সেফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় অনুপ্রবেশ ইস্যুতে আরও চড়ল বঙ্গ রাজনীতির পারদ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
