Grihoprobesh: ১ কোটির ক্লাবে 'গৃহপ্রবেশ', পরিচালক বলছেন, 'সাফল্যে উচ্ছ্বাস নয়, ভয় করে'
Grihoprobesh Earning: ইন্দ্রদীপ কি প্রত্যাশা করেছিলেন যে 'গৃহপ্রবেশ' দর্শকদের এতটা ভালবাসা পাবেন?

কলকাতা: মুক্তির পর থেকেই এই সিনেমা দর্শকদের মধ্যে যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছিল। দর্শক হল ভরাচ্ছিলেন এই ছবি দেখার জন্য। গত ১৩ জুন মুক্তি পেয়েছিল ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত পরিচালিত ছবি 'গৃহপ্রবেশ'। আর আজ, টিম 'গৃহপ্রবেশ'-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ছবি ইতিমধ্যেই পা রেখেছে কোটির ক্লাবে। ১ কোটি টাকা আয় করে ফেলেছে এই ছবি। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, জিতু কমল, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সোহিনী সেনগুপ্ত ও একগুচ্ছ জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে এই ছবিতে। তবে শুধু তারকা সমাগম নয়, এই সাফল্যের মুকুট এই ছবির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটা মানুষের মাথাতেই তুলে দিতে চান পরিচালক ইন্দ্রদীপ। এবিপি লাইভ বাংলার সঙ্গে তিনি ভাগ করে নিলেন তাঁর মনের কথা।
দ্বিতীয় সপ্তাহেই 'গৃহপ্রবেশ' পা রেখেছে কোটির ক্লাবে। ইন্দ্রদীপ বলছেন, 'এই সিনেমার যতটা সাফল্য, যতটা গুণ, তা সবই বাংলা ছবির দর্শকদের সাফল্য, দর্শকদের গুণ। বাংলা সিনেমা যাঁরা পছন্দ করেন, দেখেন, এটা তাঁদের সাফল্য। কোনও সিনেমা ১ কোটি, ২ কোটি বা ৩ কোটির ব্যবসা করলে সামগ্রীকভাবে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির ভাল হবে। ২০১৭ থেকে আমরা একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। ২০২৪ থেকে আবার সিনেমা হিট হতে শুরু করেছে। 'বহুরূপী', 'খাদান' থেকে আবার বাংলা সিনেমা উঠতে শুরু করেছে। ২০২৪ সালটাও আমাদের একটু বিঘ্নের মধ্যএ দিয়ে কেটেছে বিভিন্ন কারণে। তবু মানুষ বারে বারে প্রমাণ করে দিয়েছেন, ছবি ভাল হলে তাঁরা প্রেক্ষাগৃহে এসে সিনেমা দেখেন। আমরা যেন মানুষকে না ভুল বুঝি। আমরা ঠিক জিনিসটা দিলেই মানুষ আসবেন। আমি একবার পেরেছি বলে, আমি যে বার বার পারব সেটাও নয়। এরপরে 'ধূমকেতু' আসছে, 'ডিয়ার মা' আসছে.. আমার মনে হয় এই সিনেমাগুলোর ক্ষেত্রেও একইভাবে মানুষ হল ভরাবেন। বড়পর্দার মজাটা বড়পর্দাতেই।'
ইন্দ্রদীপ কি প্রত্যাশা করেছিলেন যে 'গৃহপ্রবেশ' দর্শকদের এতটা ভালবাসা পাবেন? ইন্দ্রদীপ বলছেন, 'আমি তো সুপারস্টার, মেগাস্টার নই। আমি খুব ভালবাসার জায়গা থেকে ছবিটা বানিয়েছি। ৩৩ বছর যা যা কাজ করেছি, চেষ্টা করেছি কাজের প্রতি সৎ থাকতে আর প্যাশনটা ধরে রাখতে। বাকিটা সময়ের ওপর ছেড়ে দিই। পৃথিবীর সিনেমার ইতিহাসে অনেক দুর্দান্ত সিনেমা মানুষ প্রথমে গ্রহণ করেননি, অনেক পরে এসে গ্রহণ করেছেন। এটা মানুষের ওপরেই ছেড়ে দিতে হয়। এত ভেবে লাভ নেই। আমার হাতে কেবল রয়েছে সিনেমার মতো করে সিনেমার গল্প বলা। শেষমেষ বলি, আমার শিল্পীরা এইরকম পারফর্ম না করতেন, শুধু শুভশ্রী, জিতু, কৌশিকদা, সোহিনী, রুদ্রনীল.. কাকে ছেড়ে কার কথা বলব.. আমার ডিওপি, এডিটর, আর্ট ডিরেক্টর, আমার প্রোডাকশন কট্রোলা, আমার এডি, সোমনাথ কুণ্ডু.. এবার সবাই এক একজন শিল্পী... সবাই মিলে একটা সিনেমা বানানো হয়। এমনকি আমার পিআর, মার্কেটিং টিম, আমার যে ডিস্ট্রিবিউশন করেছে... সবাই.. আমি হয়তো ক্যাপ্টেন, কিন্তু আমি একা কিছু পারি না। সবার ওপরে আমি একটা জিনিসকে মানি, সেটা হল সময়। আমি শ্রোতাকে মানি। তবে আমি সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হই না, আমার ভয় হয়। সাফল্য দর্শকদের মনে প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেয়। মনে হয়, পরের বার এই প্রত্যাশা রাখতে পারব তো? এটা অনেকটা কথা রাখার মতো..'






















