Godzilla vs Kong: আসছে 'গডজিলা ভার্সেস কং' ছবির সিক্যুয়েল
২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া 'কং স্কাল আইল্যান্ড' ছবিরও বেশ খানিকটা শ্যুটিং হয়েছিল কুইন্সল্যান্ডে। আর এই ছবিগুলির শ্যুটিং হওয়ার জন্য কুইন্সল্যান্ড সরকার বা সেখানকার নাগরিকদের কিছুটা লাভও হয়েছিল আর্থিকভাবে।
সিডনি: ২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া ব্লকবাস্টার হিট ছবি 'গডজিলা ভার্সেস কং'-এর (Godzilla vs Kong) সিক্যুয়েল শুরু করতে চলেছেন ছবির নির্মাতারা। চলতি বছরই শুরু হতে চলেছে এই ছবির সিক্যুয়েলের শ্যুটিং। এমনটাই জানা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়াপ কুইন্সল্যান্ডের সরকারি এজেন্সি মারফত। এই ছবির সিক্যুয়েলের অনেকটা অংশই শ্যুট করা হবে গোল্ডকোস্ট এবং কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণ দিকে। এই ছবির পরিচালনা কে করবেন, তা এখনও জানা না গেলেও 'গডজিলা ভার্সেস কং' ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন অ্যাডাম উইংগার্ড। তিনি সম্প্রতি বলেন, 'গডজিলা ভার্সেস কং-এর সিক্যুয়েল তৈরি করতে পারলে খুব ভালো লাগবে। কারণ, এই ছবির অনেক কিছু এখনও দেখার বাকি রয়েছে দর্শকদের। এই পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার আগের ইতিহাসও দেখানো যেতে পারে। তাই এই ছবির সিক্যুয়েল হলে, আমরা সেই ছবিতে বেশ খানিকটা রহস্য তো রাখবই। আর সিক্যুয়েল তৈরি হওয়াটা এই জন্য অত্যন্ত জরুরি যে, আগের ছবিতে কিছু প্রশ্ন রয়ে গিয়েছিল।'
আরও পড়ুন - Sushmita Sen: দূরত্ব কি তবে ঘুচল? ফের একসঙ্গে ক্যামেরাবন্দি সুস্মিতা-রোহমান
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া 'কং স্কাল আইল্যান্ড' ছবিরও বেশ খানিকটা শ্যুটিং হয়েছিল কুইন্সল্যান্ডে। আর এই ছবিগুলির শ্যুটিং হওয়ার জন্য কুইন্সল্যান্ড সরকার বা সেখানকার নাগরিকদের কিছুটা লাভও হয়েছিল আর্থিকভাবে। কীরকম? কুইন্সল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য প্রায় ৫০৫জন মানুষ কাজ পাবেন। এছাড়াও সাড়ে সাতশো জন ছবির এক্সট্রা হিসেবে কাজ করবেন। স্থানীয় কয়েকজন অভিনেতাদেরও কাজের সুযোগ দেওয়া হবে এই ছবিতে। এত সুযোগ সুবিধা দিয়ে কেন 'ইয়ং রক', 'জো ভার্সেস ক্যারল', 'থার্টিন লাইভস', 'টিকিট টু প্যারাডাইস'-এর মতো এত ছবির প্রযোজক পরিচালকরা কুইন্সল্যান্ডে শ্যুটিং করতে যাচ্ছেন? ছবির নির্মাতারা এই প্রসঙ্গে বলছেন, 'অস্ট্রেলিয়ার প্রকৃতি এবং পরিবেশে এত বৈচিত্র যে এখানে শ্যুটিং করার লোভ সামলানো যায় না। পাশাপাশি এখানে শ্যুটিং করার জন্য পাওয়া যায় প্রথম শ্রেণীর সুবিধা। আর শ্যুটিংয়ের মতো কাজে প্রচুর মানুষের দরকার হয়। এখানে দক্ষ মানুষের অভাব নেই। থাকল পড়ে নৈসর্গিক দৃশ্য। তাতে অস্ট্রেলিয়ার জবাব নেই।'