Goutam Halder on Social Media Troll: 'এই সমালোচনার ফলে আমার ও থিয়েটারের পরম প্রাপ্তি ঘটেছে বলে মনে করি', প্রতিক্রিয়া নাট্যকর্মী গৌতম হালদারের
Goutam Halder Reaction: 'দর্শকের যাতে ভাল লাগে সেই মতো করেই করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কয়েকজনকে যে আমার কাজ ভাল লাগাতে পারিনি, তাঁদের বলব যে আমি নিশ্চয়ই পরেরবার ভাবব।'
কলকাতা: সম্প্রতি জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় গানের অনুষ্ঠান 'সা রে গা মা পা'-র (Sa Re Ga Ma Pa) মঞ্চে জয় গোস্বামীর লেখা 'মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়' (যা 'বেণীমাধব' নামে বহুল পরিচিত) গেয়ে পারফর্ম করেন জনপ্রিয় নাট্যকার গৌতম হালদার (Goutam Halder)। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট হতেই সমালোচনা ও কটাক্ষের ঝড়। শিল্পীর পাশেও দাঁড়িয়েছেন অনেকেই, তবে কুমন্তব্যের বন্যায় রীতিমতো ভাইরাল সেই ভিডিও। এই বিষয়ে কী প্রতিক্রিয়া নাট্যশিল্পী গৌতম হালদারের? ট্রোলারদের (Social Media Trolls) কী বলতে চান? সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যদিও দূরেই থাকেন তিনি, তবে জানেন, দেখেছেন সবটাই। শিল্পীর কথায়, 'এখানে আমার একটা পরম প্রাপ্তিই ঘটেছে'। এবিপি লাইভকে (ABP Live) ফোনে কী প্রতিক্রিয়া দিলেন গৌতম হালদার?
তাঁর 'বেণীমাধব' ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, ট্রোলারদের উদ্দেশ্যে কী প্রতিক্রিয়া গৌতম হালদারের?
জনপ্রিয় নাট্যকর্মী গৌতম হালদারের কথায়, 'আমি তো নিজে এগুলো দেখি না, কিছু কিছু দেখেছি অন্যদের থেকে। যা চোখে পড়ছে তা দেখে দুটো ব্যাপার বুঝতে পারলাম, কারও কারও উপস্থাপনাটা ভাল লাগেনি। আবার অনেকেই আছেন যাঁদের ভাল লেগেছে খুব। এছাড়া একদল মানুষ, যাঁরা কমেন্ট করেন না বা কমেন্ট করার সময়ও নেই, তাঁদের কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়ায় একেবারে হইহই করে বলেছেন ভাল লেগেছে। তাঁরা একেবারেই সাধারণ মানুষ, যাঁদের এই কমেন্ট করার সময়ই নেই। এছাড়া দেখলাম যে যাঁরা আমার কাজটা ভাল বলছেন তাঁরাও অনেক সময়ই আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। যাঁরা পছন্দ করেছেন তাঁদের একটা কথাই বলব যে আপনারা আমার প্রণাম নেবেন, কষ্ট পাবেন না। নিন্দা ও প্রশংসা দুটোই জীবনে সমানভাবে গ্রহণ করে নিতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়। নিস্পৃহ থাকতে পারি না আমরা কিন্তু সেটা থাকতে পারলেই বোধ হয় সবচেয়ে ভাল হয় বিশেষ করে আমরা যাঁরা শিল্পের কাজ করি তাঁদের ক্ষেত্রে। দর্শকের যাতে ভাল লাগে সেই মতো করেই করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কয়েকজনকে যে আমার কাজ ভাল লাগাতে পারিনি, তাঁদের বলব যে আমি নিশ্চয়ই পরেরবার ভাবব। আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে কীভাবে এই উপস্থাপনা ভাল লাগানো যায় সেটা ভাবব নিশ্চয়ই। ভাবার চেষ্টাও করছি যে কোথায় কী অসুবিধা হল। দুই পক্ষের মানুষকেই আমার প্রণাম, আমি পরেরবার আবার চেষ্টা করব।'
একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, 'এই অনুষ্ঠানটা আমি গত ২৫ বছর ধরে করে আসছি বিভিন্ন জায়গায়। এর পরের পারফর্ম্যান্স হবে আগামী ৬ অক্টোবর, মধুসূদন মঞ্চে। এই পারফর্ম্যান্স অনেকে সারারাত জেগেও দেখেছেন, বহু মানুষ দেখেছেন, এবং তাঁদের থেকে অভূতপূর্ব প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। দেশ-বিদেশের মানুষ প্রশংসা করেছেন। এই একটা নির্দিষ্ট ঘটনায় (জি বাংলার 'সারেগামাপা'র মঞ্চে গৌতম হালদারের 'বেণীমাধব' উপস্থাপনা) এরকম প্রতিক্রিয়া পেলাম, কাদের এবং কেন এমন লাগল সেটা বোঝার চেষ্টা করছি। আবারও বলছি তাঁদের উদ্দেশ্যে, 'প্লিজ রাগ করবেন না'।' সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন গৌতম হালদার? স্পষ্ট জবাব, 'না আমি একেবারেই ব্যবহার করি না সোশ্যাল মিডিয়া।'
সবশেষে যদিও শিল্পীর মন্তব্য, 'আমার এখানে প্রাপ্তিটা কী জানেন? আমি তো থিয়েটার করি, সেটা একটা প্রচারের আলোয় কম থাকা শিল্প। সেই থিয়েটার করা মানুষের একটা কাজ যে এত মানুষ দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে, যাঁদের ভাল লাগেনি তাঁদের মন্তব্যের যে প্রতিবাদ করছেন এত মানুষ, এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আমি অনেক প্রশংসা পেয়েছি, অনেক নিন্দাও শুনেছি এত বছরে। কিন্তু এত স্বতঃস্ফূর্তভাবে এত মানুষ যে প্রশংসা করেছেন, আমাকে হোয়াটস্যাপে অনেকে লিঙ্ক পাঠাচ্ছেন। অনেকে তো বিশ্লেষণ করেছেন উপস্থাপনার বিভিন্ন অংশ, সেটা দেখেই বলছি যে এটা আমার পরম প্রাপ্তি। এক অর্থে কিন্তু আমার পরম প্রাপ্তিই হয়েছে এই সমালোচনার ফলে, এবং আমি মনে করি থিয়েটারেরও বড় প্রাপ্তি এটা।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।