Imran Khan: 'বলিউডে মেধা দেখে কাস্টিং হয় না, বাজেট বুঝে হয়', বিস্ফোরক ইমরান খান!
Imran Khan News: সম্প্রতি একটি পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, তিনি 'মাট্রু কি বিজলি কা মণ্ডোলা' ছবির জন্য় প্রথম পছন্দ ছিলেন না

কলকাতা: দীর্ঘদিন থেকেই রুপোলি পর্দা থেকে দূরে রয়েছেন ইমরান খান (Imran Khan), অনুরাগীরাও প্রত্যাশা করে রয়েছেন, কবে অভিনেতাকে রুপোলি পর্দায় দেখা যাবে। তবে বলিউডে কাস্টিং নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন ইমরান খান। সদ্যই জানা গিয়েছে, 'হ্যাপি প্যাটেল' ছবির হাত ধরে বলিউডে ফিরতে চলেছেন ইমরান খান। তবে সম্প্রতি বলিউডের কাস্টিং নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা। অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি নাকি 'মাট্রু কি বিজলি কা মণ্ডোলা' -র জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন না।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, তিনি 'মাট্রু কি বিজলি কা মণ্ডোলা' ছবির জন্য় প্রথম পছন্দ ছিলেন না। তাঁকে কাস্ট করা ছিল একটা অংশ। ২০১৩ সালের কথা মনে করে ইমরান খান বলেন, তাঁকে ওই সিনেমায় কাস্ট করা ছিল একটা কৌশলের অংশ। এই সিনেমায় নাকি প্রথম অজয় দেবগণকে কাস্ট করার কথা ছিল। কিন্তু অজয় দেবগণ এই সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ান পরবর্তীকালে। সেই সময়ে পরিচালক ইমরানকে নিয়েছিলেন কারণ ছবির বাজেটের জন্য তিনিই ঠিক ছিলেন। ইমরান বলেছেন, 'আসলে কোন অভিনেতা সিনেমার চরিত্রটির জন্য সঠিক, সেটা ভেবে কাস্টিং করা হয় না। কাস্টিং করা হয় ছবির বাজেটের কথা ভেবে। এখানে ছবির কাস্টিং চরিত্রের কথা ভেবে করা হয় না। ছবির বাজেট কতটা, সিনেমার জন্য কোন অভিনেতাকে নিলে সিনেমার বাজেট আরও কম হবে, সেই সমস্ত কিছু ভেবে কাস্টিং করা হয়। পাশাপাশি হিসেব করা হয়, সিনেমাটি কত টাকা রোজগার করতে পারে।' ইমরান খান বলেছেন, তিনি ২৫ বছর বয়সেই সাফল্য পেয়েছিলেন। ২৫ বছর বসয়েই তিনি সাত থেকে ১০ কোটি টাকা রোজগার করতেন। তবে কেরিয়ারের একেবারে শুরুতে তিনি ৫ লক্ষ টাকা কাজেও রাজি হয়ে যেতেন।
এর আগে, একবার নিজের অবসাদ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ইমরান খান। '২০১৯ সালে আমার বিবাহ বিচ্ছেদের পরে, ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। শারিরীক এবং মানসিকভাবে, সেটা ছিল আমার কঠিনতম সময়। ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না সেই সময়টাকে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজা বা স্নান করাটাকেও মনে হত বিশাল কাজ। এতটাই শারিরীকভাবে ক্ষমতা কমে গিয়েছিল আমার। জীবনে কোনও লক্ষ্য ছিল না। কেন বেঁচে রয়েছি, কী করছি, কিছুই যেন ঠিক করতে পারতাম না। বিছানা থেকে উঠতে পারতাম না আমি। ভাল পোশাক পরতে পারতাম না, ইচ্ছাও হত না। দিনের পর দিন শোয়ার পোশাক পরেই থাকতাম সারাটা দিন। বাড়ির ভিতর থেকে দরজার বেল বন্ধ করতে রাখতাম যাতে কেউ এলে ডাকতে না পারে। কারও সঙ্গে দেখা করতাম না, দরজা বন্ধ করে বসে থাকতাম, এক্কেবারে একা।'






















