Jeetu Kamal Exclusive: 'অভিনেতা না হলে ক্রিকেটার হতাম, ওটাই আমার প্রথম ভালবাসা'
ABP Live Exclusive: এই এত লাইটস, ক্যামেরা, লুক সেট, সংলাপ, সিনেমা, সিরিয়ালের দুনিয়ায় যদি তিনি না আসতেন তাহলে? পেশায় যদি অভিনেতা না হতেন তাহলে কোন রূপে দেখতে পছন্দ করতেন নিজেকে জিতু?
কলকাতা: এখন তিনি খবরের শিরোনামে। আগামী ছবিতে তাঁর লুক ভাইরাল। ছবি মুক্তির আর দিন কয়েক বাকি। চরমে ব্যস্ততা। তিনি অভিনেতা জিতু কামাল (Jeetu Kamal)। অনীক দত্ত পরিচালিত 'অপরাজিত' (Aparajito) ছবির অপরাজিত রায়। সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) আদলে তৈরি তাঁর চরিত্রে নিজেকে নিখুঁত করে তুলতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছেন। তাঁর পরিশ্রমের বাহবা চারিদিকে। কিন্তু এই এত লাইটস, ক্যামেরা, লুক সেট, সংলাপ, সিনেমা, সিরিয়ালের দুনিয়ায় যদি তিনি না আসতেন তাহলে? পেশায় যদি অভিনেতা না হতেন তাহলে কোন রূপে দেখতে পছন্দ করতেন নিজেকে জিতু? এবিপি লাইভের 'যদি অভিনেতা না হতাম' সিরিজে নিজের পছন্দ নিয়ে কথা বললেন অভিনেতা জিতু কামাল।
জিতুর স্বপ্ন
'অভিনেতা না হলে ক্রিকেটার হতাম।' অকপটে জবাব জিতুর। 'আমি ক্রিকেটার হয়ে বাঁচতে পছন্দ করতাম। আমি বলি তো, আমার নামের নিচে অভিনেতার বদলে যদি ক্রিকেটার লেখা থাকত, তাহলে আমি বেশি খুশি হতাম। ক্রিকেট আমার প্যাশন ছিল, আমার ভালবাসা ছিল। অভিনয় জগতে আসার পর এটাকে ভালবেসেছি। তার মানে তো প্রথম ভালবাসাকে ভুলে যেতে পারি না। তা তো হতে পারে না। আমি শিব ভক্ত। শিবের স্ত্রী সতী। তিনি প্রাণত্যাগ করার পর পার্বতী আসেন। তাই বলে কি সতীকে ভুলে যাওয়া যায়?'
তাহলে ক্রিকেটকেই নিজের পেশা হিসাবে বাছলেন না কেন জিতু? 'সেই সময় টোয়েন্টি-টোয়েন্টির যুগ ছিল না। যাঁরা আমাকে চেনেন তাঁরা জানেন, ২২ বলে ৬৮ রান, ২২ বলে ৭৮ রান, এই ধরনের খেলায় আমি বিশ্বাস করি। এখন এই ধরনের খেলাকে অ্যাপ্রিসিয়েট করা হয়। কিন্তু আগে তো তা হত না,' বলছেন অভিনেতা। ফলে ক্রিকেটে কেরিয়ায় গড়ার বিশেষ চেষ্টা আর করেননি তিনি।
তবে শুধু ক্রিকেটই নয়। আরও একাধিক হবি ছিল তাঁর। আঁকা, সাঁতার তার মধ্যে অন্যতম। 'আমি সার্টিফায়েড স্যুইমার। অর্থাৎ স্পোর্টসকে ঘিরেই আমার নেশা। সেটাকে পেশা হিসেবে নেওয়া হয়নি, সেটা আমার নিয়তি।'
আরও পড়ুন: Srijit Mukherjee Exclusive: 'ক্যামেরার পিছনে অ্যাকশন না বললে, ক্রীড়া সাংবাদিক হতাম'
'অপরাজিত' জিতু কামাল
'অপরাজিত' ছবিতে নিজেকে তৈরির করার ব্যাপারে অভিনেতা বলেছিলেন, 'আমি অনীক দার কাছে সময় কাটাই। তিনি বকে ধমকে, ভালবেসে শিখিয়েছেন প্রচুর। সারাদিন, সত্যজিৎ রায়ের মতো একই ধরনের জামাকাপড় পরে, সারাদিন ওঁর মতো কথাবার্তা, চলাফেরা, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, সিগারেট ধরার আদল সব অভ্যাস করতাম। একটা বড় শারীরিক বদল ঘটাই আমি। দাঁতের সেটিং পুরো বদলে ফেলি, যেটা কেউ জানে না। আমার রাতে ঘুম হত না। ওই কণ্ঠস্বর সারাক্ষণ ভাসতে থাকত। গায়ে কাঁটা দিত। মনে হত যেন সারাদিন দেখতে পাচ্ছি মানুষটাকে।'
'অপরাজিত' মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৩ মে।