Bollywood Updates: বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা কপিল শর্মার সহ-অভিনেতার
আর্থিক সমস্যা হোক কিংবা ব্যক্তিগত সমস্যা। মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা লেগেই রয়েছে বলিউডে। মাত্র বছর খানেক আগেই সবাইকে চমকে দিয়ে মৃত্যু হয় বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের।
মুম্বই: ফের বলিউডে আত্মহত্যার চেষ্টার খবর। এবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার (Attempt To Suicide) চেষ্টা করলেন জনপ্রিয় কমেডিয়ান কপিল শর্মার (Kapil Sharma) সহ-অভিনেতা। জানা গিয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। এমন ঘটনার কারণ হিসেবে আর্থিক সঙ্কটের কথাই উঠে এসেছে।
আর্থিক সমস্যা হোক কিংবা ব্যক্তিগত সমস্যা। মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা লেগেই রয়েছে বলিউডে। মাত্র বছর খানেক আগেই সবাইকে চমকে দিয়ে মৃত্যু হয় বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল যে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এর আগেও বহু বলিউড তারকার আত্মহত্যার খবরে চমকেছে অনুরাগী থেকে সাধারণ মানুষ। কখনও 'বালিকা বধূ' খ্যাত প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মহত্যার ঘটনা সামনে এসেছে তো কখনও অন্য কোনও তারকা কোনও না কোনও কারণে নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো রাস্তা বেছে নিয়েছেন। এবার তেমনই ঘটনা ঘটাতে গিয়েছিলেন কপিল শর্মার সহ-অভিনেতা।
আরও পড়ুন - Actor Dev Update: কবে মুক্তি পাবে 'ধূমকেতু'? জানিয়ে দিলেন দেব
বিভিন্ন সূত্রে খবর, গত ২৭ ডিসেম্বর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কপিল শর্মার সহ-অভিনেতা তীর্থানন্দ রাও (Tirthanand Rao)। কপিল শর্মার জনপ্রিয় কমেডি শো 'কমেডি সার্কাস কে আজুবে'তে অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। জানা গিয়েছে, আর্থিক সমস্যা এবং পারিবারিক সমস্যার কারণেই জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।
একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা তীর্থানন্দ রাও বলেন, 'আমার সঙ্গে আমার পরিবারের সদস্যদের বছরের পর বছর ধরে কোনও কথাবার্তা হয় না। আমরা একই কমপ্লেক্সে থাকি। তারপরও কোনও কথাবার্তা হয় না। আমি বিষ খেয়েছিলাম এবং আমার শারীরিক অবস্থাও বেশ গুরুতর ছিল। আমি অনেকদিন ধরেই আর্থিক সমস্যা ভুগছি। তার মধ্যে আমার পরিবারের সদস্যরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না। যখন আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখনও আমার মা কিংবা আমার ভাই একবারের জন্যও আমাকে দেখতে আসেননিয একই কমপ্লেক্সে থাকার পরও তাঁরা আমার সঙ্গে কথা বলেন না। আমার চিকিৎসার জন্য তাঁরা এক পয়সাও খরচ করেননি। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর আমাকে একা বাড়িতে কাটাতে হয়। এর থেকে খারাপ আর কী হতে পারে!'