Kaushik Ganguly Exclusive: 'উজান সুযোগ দিলে ওর লেখা চিত্রনাট্যে কাজ করতে চাই'
Kaushik Ganguly on his son: ছোটবেলা থেকেই উজান নাকি খুব শান্তশিষ্ট, কার্যত লক্ষ্মী ছেলেই। কৌশিক বলছেন, 'উজানের সঙ্গে সত্যিই লক্ষ্মী ছেলে কথাটা খাটে।'
কলকাতা: রাত পোহালেই ছবি মুক্তি। প্রথমবার পর্দায় নিজের পরিচালনায় ছেলেকে দেখবেন তিনি। ফ্লোরে অ্যাকশন কাট বলার সময় হয়তো এক মুহূর্তের জন্য বাবা-ছেলের সম্পর্ক ছাপিয়ে গিয়েছে কাজ, কিন্তু কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের (Kaushik Ganguly) মন জুড়ে ছোটবেলার স্মৃতির 'উজান'। তার ঘরের দেওয়ালে ছবি আঁকা থেকে শুরু করে বর্তমানের অজানা দিক.. 'লক্ষ্মী ছেলে' (Lokkhi Chele) উজান গঙ্গোপাধ্যায় (Ujaan Ganguly)-কে নিয়ে এবিপি লাইভের কাছে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন 'লক্ষ্মী ছেলে' পরিচালক, থুড়ি, বাবা কৌশিক।
ছোটবেলা থেকেই উজান নাকি খুব শান্তশিষ্ট, কার্যত লক্ষ্মী ছেলেই। কৌশিক বলছেন, 'উজানের সঙ্গে সত্যিই লক্ষ্মী ছেলে কথাটা খাটে। ছোটবেলায় ওকে দোলনায় বসিয়ে নিয়ে আমি আর চূর্ণী সারাদিন কাজ করে যেতাম। উজান চুপ করে বাইরের গাছের দিকে তাকিয়ে বসে থাকত। অথবা হাঁ করে বসে থাকত একটা খবরের কাগজ বা বই নিয়ে.. তথনও পড়তেই শেখেনি ও। আমরা ভাবতাম, কী এত দেখে! ও কি কবি হবে? সময় পেরল, উজান আস্তে আস্তে বড় হল, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ গেল। থিয়েটার করলেও প্রথমদিকে পর্দায় অভিনয় করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেনি উজান। বরং ওর লেখার প্রতি ভীষণ ঝোঁক। উজানের লেখার হাত খুব পরিণত, রীতিমতো লেখালেখি করে এখন।' কখনও ছেলের লেখা চিত্রনাট্যে কাজ করবেন? হাসতে হাসতে কৌশিক বললেন, 'যদি ও আমায় সুযোগ দেয়, নিশ্চয়ই। তবে আমাদের বাড়িতে সবাই ভীষণ স্বাধীন। উজান জানে আমি কী ধরনের ছবি বানাই। ওর যদি মনে হয় ওর লেখা চিত্রনাট্য থেকে আমি ছবি তৈরি করতে পারব তবেই ও সেটা আমায় দেবে। যদি মনে হয় ওর সৃজিতমামা (Srijit Mukherjee) ভালো ছবি করবেন তাহলে তাকেই দেবে।'
আরও পড়ুন: Kaushik Ganguly Exclusive: 'এত অভিনেতাকে পরিচালনা করছি, ছেলেকে কখনও অ্যাকশন-কাট বলতে পারব না?'
বর্তমান থেকে ফিরে, ফের স্মৃতিতে ডুব দিলেন কৌশিক। বললেন, 'ছোটবেলার উজানের ঘরে আমরা ওকে একটা স্বাধীনতা দিয়েছিলাম। সেটা হল, ওর শোওয়ার ঘরের দেওয়ালে ও রঙ দিয়ে যা খুশি আঁকত। ওর শিশুমনের কল্পনায় কখনও দুটো দাগ হয়ে উঠত লাঠি নিয়ে যাওয়া এক দাদু, কখনও আবার অন্য কিছু। আমিও যোগ দিতাম। ফুটে উঠত মুফাসা.. আরও কত কি কার্টুন চরিত্র। উজান বড় না হওয়া পর্যন্ত ওই ঘরের দেওয়াল রঙ করা হয়নি। যখন উজান বড় হল.. বাড়ি রঙ হল.. আমাদের কি মনখারাপ। কত আঁকা, কত ছোটবেলার টুকরো ঢাকা পড়ল রঙের তলায়।'
একসময় বাড়ির দেওয়ালে যে ছেলে আঁকত, সেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে দুঁদে অভিনেতার মতো অভিনয় করছে। কৌশিক বলছেন, 'বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উজান ছেলের থেকে অনেক বেশি বন্ধু হয়ে উঠেছিল আমাদের কাছে। 'লক্ষ্মী ছেলে'-র ফ্লোরে যখন আমি, চূর্ণি, উজান তিনজনেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি, সেই বন্ধুত্ব যেন আরও গাড় হল। 'লক্ষ্মী ছেলে'-র হাত ধরেই আমি আর চূর্ণি উজানের হাতে বন্ধুত্বের ডিগ্রিটা তুলে দিলাম।'