ছোটবেলায় 'তথাস্তু ভগবান'-কে বিশ্বাস করতেন কোয়েল মল্লিক!
ছোটবেলায় 'তথাস্তু ভগবান'-কে বিশ্বাস করতেন কোয়েল মল্লিক!
কলকাতা: তথাস্তু বললেই মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে! শিশুমন কল্পনা করে নিয়েছিল, তাহলে নিশ্চয় তথাস্তু বলে কোনও ভগবান আছেন। তার কাছেই আর্জি জানানো যাক।
ছোটবেলার দুর্গাপুজো মানেই ঠাকুর দেখা, নাগরদোলা, ফুচকা, বন্ধু..আরও কত কি! পুজো বলতেই আট থেকে আশির বাঙালি ভাসে আবেগে। ব্যতিক্রমী নন তারকারাও। দুর্গাপুজোর আর ১০০ দিনও বাকি নেই। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসলেন টলি কুইন কোয়েল মল্লিক। অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ছোটবেলার ছোট ছোট মজার ঘটনা। স্মৃতি উস্কে ভাগ করলেন, ছোটবেলার মজার বিশ্বাস থেকে শুরু করে টুকরো টুকরো মজার স্মৃতি।
শেয়ার করে ভিডিওতে কোয়েল বলছেন, 'ছোটবেলায় আমি একজন ভগবানকে খুব মেনে চলতাম। তথাস্তু ভগবান। জানি না কোথা থেকে এই ধারণাটা মনে গেঁথে গিয়েছিল। হয়ত ছোট থেকে রামায়ণ, মহাভারত দেখে বড় হয়েছি। সেখানে দেখতাম তথাস্তু বললেই সমস্ত ইচ্ছাপূরণ হয়ে যায়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছিল, তথাস্তু বলে কোনও ভগবান রয়েছেন।'
বাকি সমস্ত বাচ্চাদের মত, পুজোর সময় ঠাকুরের কাছে কী কী চাইবেন তার তালিকা বানাতেন কোয়েল। বলছেন, 'একবার আমার এক শিক্ষিকার কাছে খুব বকুনি খেয়েছিলাম। নিজেরই দোষে। কিন্তু তারপর কিছুদিন তিনি স্কুলে আসেননি। খুব মন খারাপ হয়েছিল। সেইদিন শিক্ষা পেয়েছিলাম, রাগ করেও কখনও কোনও মানুষের খারাপ চাইতে নেই।'
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোটবেলার পূজোর স্মৃতি নিয়ে আরও একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন কোয়েল। সেখানে তিনি তুলে ধরেন ছোটবেলায় ভাইবোনেদের সঙ্গে নর্দার্ন পার্কে পুজো দেখার স্মৃতি। বাড়ির সবার থেকে ছোট বলে অনেকসময় দল থেকে বাদ পড়তেন কোয়েল। সেই নিয়ে খুব অভিমান হত নায়িকার। তবে বাড়ির বড় দাদা-দিদিদের সঙ্গে প্রতিবছর নর্দার্ন পার্কে ঠাকুর দেখা চাইই-চাই। একবার এমনই এক পুজোর দিনে কোয়েলকে ফেলে সবাই চলে গিয়েছিল নর্দার্ন পার্কে ঠাকুর দেখতে। বাড়িতে দাদা দিদিদের না দেখে প্রচণ্ড অভিমান হয় কোয়েলের। অভিনেত্রী প্রবল বায়না জোড়েন তখন। রক্ষাকর্তা হয়ে এগিয়ে আসেন কোয়েলের 'মেজকা'। কথা দেন, নর্দার্ন পার্কে ফুচকা খেতে নিয়ে যাবেন কোয়েলকে। বড় কারও সঙ্গে যেতে হবে ভেবে একটু মনমরা হলেও, ফুচকার লোভ সামলাতে পারেন না কোয়েল। শেষমেষ নর্দার্ন পার্কে গিয়ে একরকম কান্না চেপে ফুচকা খেতে শুরু করেন কোয়েল। তাঁর কথায়, '২৫টা ফুচকা খাওয়ার পর মেজকা বলে তুই আর খাবি? মেজকা ভয় পাচ্ছিল এরপর শরীর খারাপ করবে কি না। কিন্তু আমি কাঁদতে কাঁদতে না আমি আরও খাব, আরও খাব বলতে বলতে ৫০টা ফুচকা খেয়ে ফেলি সেদিন। কেউ বিশ্বাস করবে না.. কিন্তু সত্যিই ৫০ টা ফুচকা খেয়েছিলাম।' এরপর হাসতে হাসতে অভিনেত্রী যোগ করেন, ফুচকা খেতে কখনও লজ্জা পান না তিনি। ছোটবেলায় সেইদিন যেমন লজ্জা পাওয়া উচিত হলেও পাননি।