Kolkata Chalantika: 'দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাজিকের মতো মিলে গেল গল্পেরা' 'কলকাতা চলন্তিকা'-র অনুভূতি বললেন পি সি সরকার
P C Sarcar on Kolkata Chalantika: সদ্য 'কলকাতা চলন্তিকা' ছবিটি দেখেছেন তিনি। পি সি সরকার জুনিয়র বলছেন, 'আমার সময় আর বর্তমান সময়ের মধ্যে প্রজন্মের মধ্যে পার্থক্য বেড়ে গিয়েছে'
কলকাতা: ছবির কথা বলতে গিয়ে তিনি প্রথমে দুই যুগের কথা বললেন। নিজেকে পরিচয় দিলেন সেকালের মানুষ হিসেবে। কখনও তাঁর গলা বুজে এল আবেগে, আবার কখনও বললেন ছবি চলাকালীন নিজের অনুভূতির কথা। 'কলকাতা চলন্তিকা' (Kolkata Chalantika) দেখে নিজের মনের কথা ভাগ করে নিলেন পি সি সরকার জুনিয়র (P C Sarcar Junior) ওরফে প্রদীপ চন্দ্র সরকার (Pradin Chandra Sarcar)।
সদ্য 'কলকাতা চলন্তিকা' ছবিটি দেখেছেন তিনি। পি সি সরকার জুনিয়র বলছেন, 'আমার সময় আর বর্তমান সময়ের মধ্যে প্রজন্মের মধ্যে পার্থক্য বেড়ে গিয়েছে। আমি সেকালের লোক আর ছবিটা একালের। যুগ পেরিয়ে আসতে কিছুটা সময় লেগে গেল। কিন্তু সেটার পথ সোজা করে দিল এই ছবিটা। প্রথমার্ধ দেখে মনে হচ্ছিল এতগুলো গল্প, প্রত্যেকটা প্রত্যেকের থেকে আলাদা, তারা একসঙ্গে কী করে আসবে? কিন্তু ছবির শেষে দেখলাম গল্পটা ম্যাজিকের মতোই সম্পূর্ণ। পাভেল মন ছোঁয়ার মতো একটা ছবি বানিয়েছে। কলকাতাকে যেন এই ছবির মধ্যে দিয়ে নতুনভাবে ফিরে পেলাম।'
আরও পড়ুন: Teachers Day: ছোটপর্দার শিক্ষক দিবস, স্বাগতার বাড়িতে জড়ো হলেন সব্যসাচী, রুদ্রজিতরা
এর আগে এই ছবি দেখে অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য্য বলেছিলেন, ' পাভেল আমার অত্যন্ত পছন্দের পরিচালক। ওর সঙ্গে আমি ২টো কাজও করেছি। আলাদা করে কারও অভিনয়ের কথা বলব না। প্রত্যেকেই খুব ভালো অভিনয় করেছেন। কিন্তু পাভেল এই ছবিতে ওর নিজের ছক ভেঙে বেরিয়ে এসেছে। 'অসুর' এবং 'রসগোল্লা' দেখে পাভেলের কাজ সম্পর্কে দর্শকদের মনে একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল। প্রত্যেক পরিচালকেরই একটা বিশেষ কাজের ধারা, গল্প বলার পদ্ধতি থাকে। এই ছবিতে পাভেল একটা সাহসীকতার কাজ করেছে। কিন্তু 'কলকাতা চলন্তিকা'-র মধ্যে দিয়ে দর্শকদের সামনে অন্যভাবে নিজেকে ও নিজের কাজকে তুলে ধরতে চেয়েছে। সেটা দর্শকদের ভালো লাগতে পারে বা নাও লাগতে পারে। কিন্তু সেটা ছবি দেখে সবাই নির্ধারণ করবেন। আমার একমাত্র অনুরোধ, ছবিটা দেখেই ভালো খারাপ বিচার করবেন।'
সালটা ২০১৬। রোজকার ছন্দে ব্যস্ত শহর কলকাতা। তার রোজকার প্রেম-ভালবাসা-বিদ্রোহ-ঝগড়া-গৃহস্থালীর নিয়মে হঠাৎ ছন্দপতন। ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান পোস্তা উড়ালপুলের একাংশ। চারিদিকে আর্তনাদ, চিৎকার, স্বজনহারাদের চোখের জলে ভাসে শহর। হাহাকারের সেই দিনের ক্ষত আজও দগদগে শহর কলকাতার বুকে। টিভির পর্দায় যে ভয়াবহ দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছিল তিলোত্তমা, ৬ বছর পেরিয়ে কেমন আছে সেই জায়গা, কেমন আছে কলকাতা? এখনও কি সে আগের মতোই 'চলন্তিকা'? এই বিষয়বস্তু নিয়েই তৈরি হয়েছে ছবিটি।