মাত্র ১০ মিনিটে গান তৈরি করে রেকর্ডিং! বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে কাজ করার গল্প শোনালেন কুমার শানু
কুমার শানু অবাক হয়ে দেখলেন, তিনি গান গাইতে এসেছেন অথচ গানের মুখরাটুকু ছাড়া তৈরি নেই কিছুই। তারপর?
কলকাতা: বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে গান রেকর্ডিং। যথাসময়ে স্টুডিওতে হাজির হলেন কুমার শানু। তখনও বাপ্পি লাহিড়ী এসে পৌঁছলেন তার পরেই। কুমার শানু অবাক হয়ে দেখলেন, তিনি গান গাইতে এসেছেন অথচ গানের মুখরাটুকু ছাড়া তৈরি নেই কিছুই। তারপর? সঙ্গীতে মঞ্চে বিচারক হিসাবে বসে বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন কুমার শানু।
সুপার সিঙ্গার এর মঞ্চে বিচারক হিসাবে রয়েছেন কুমার শানু। তিনি ছাড়াও সঙ্গীতের এই রিয়্যালিটি শো-এর বিচারক সোনু নিগম ও কৌশিকী চক্রবর্তী। এখানে উদযাপন হচ্ছে বাপ্পি লাহিড়ী স্পেশাল এপিসোড। আর সেখানেই এসে কুমার শানু শোনালেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। সঙ্গীতশিল্পী বলছেন, 'বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে গান রেকর্ডিং। যথাসময়ে স্টুডিওতে হাজির হয়েছি আমি। ১০ মিনিটের মধ্যেই বাপ্পিদা চলে এলেন। এসেই কলাকুশলীদের প্রশন করলেন, ট্র্যাক তৈরি আছে? তাঁরা উত্তর দিল, কেবল মুখরাটুকুই তাঁদের দিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। তাই সেটুকুর ট্রাক তৈরি হয়েছে। আমি তো শুনে অবাক। গান গাইতে এসেছি অথচ গানই তৈরি নেই! আমি বললাম, বাপ্পিদা, গান তৈরি হলে আমি আসব না হয়। সেটা ওনাকে বলাতে বাপ্পিদা বললেন, 'না শানু, তুই গেলে তোকে আর পাওয়া যাবে না। আমায় ১০ মিনিট দে। ওখানে বসে সত্যিই ১০ মিনিটে উনি অন্তরা বানিয়ে ফেললেন। তারপর একটা কর্ডের ওপর গেয়ে গানটা রেকর্ড করে দিলেন। তারপর আমায় গান শেখাতে শুরু করলেন। এইভাবেই কাজ করতেন বাপ্পি লাহিড়ী।'
অন্যদিকে এই প্রথম কোনও বাংলা রিয়্যালিটি শোতে বিচারকের ভূমিকা পালন করছেন সোনু নিগম। ধীরে ধীরে বাংলা বুঝতে শিখছেন সোনু। যীশু বলেছিলেন, 'একদিন শ্যুটিং চলার সময় আমায় সোনুজীর স্ত্রী এসে বলেছিলেন, 'আমি ওকে কখনও এত বাংলা বলতে শুনিনি''। হাসতে হাসতে শানু যোগ করলেন, প্রথম ২ দিন নাকি সেটে চুপচাপ ছিলেন সোনু। বোঝার চেষ্টা করছিলেন সবাই কী বলছে। তারপর ধীরে ধীরে নিজেই বুঝতে পারছেন। আর কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে শানুর থেকেই মানে জেনে নিচ্ছেন।
আর সোনু? তাঁর নিজের কাছে কলকাতার কোন জিনিসটা সবচেয়ে প্রিয়? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে সোনু বলেছিলেন, 'এখানকার মন্দির আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর গঙ্গার ধার। ভোরবেলা উঠে মন্দিরে পুজো দিতে যাই বা গঙ্গার ধারে দাঁড়িয়ে থাকি। সকালের গঙ্গা মন ভালো করে দেয়। একটা অদ্ভুত প্রশান্তি কাজ করে।' সেইসঙ্গে কলকাতার খাবারের কথাও উল্লেখ করতে ভুললেন না সোনু। বললেন, 'কলকাতার মিষ্টি আমার ভীষণ প্রিয়। তবে সবচেয়ে ভালো লাগে মিষ্টি দই।' রসিকতা করে সেই তালিকায় কষা মাংস আর মাছকে জুড়ে দিয়েছিলেন যীশু।