Mehtab Hossain: মেহতাব হোসেনের জীবন নিয়ে তৈরি হচ্ছে বায়োপিক
Mehtab Hossain Biopic: ধাগা প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে তৈরি হচ্ছে মেহতাব হোসেনের বায়োপিক 'মেহতাব'। প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন শুভঙ্কর মিত্র। ছবিটির পরিচালনা করবেন বাপ্পা
কলকাতা: ফুটবল মাঠের গল্প এবার রূপোলি পর্দায়। ক্রিকেটের ২২ গজে এই চল অবশ্য নতুন নয়। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (Mahendra Singh Dhoni) থেকে শুরু করে ঝুলন গোস্বামী (Jhulan Goswami), মিতালি রাজ (Mitali Raj) রূপোলি পর্দায় উঠে এসেছে তাঁদের লড়াইয়ের গল্প। আর এবার ফুটবল মাঠের অন্যতম তারকা মেহতাব হোসেনের (Mehtab Hossain) জীবনের গল্প উঠে আসবে পর্দায়।
ধাগা প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে তৈরি হচ্ছে মেহতাব হোসেনের বায়োপিক 'মেহতাব'। প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন শুভঙ্কর মিত্র। ছবিটির পরিচালনা করবেন বাপ্পা। ইস্টবেঙ্গলের মাঠে প্রকাশ করা হল এই ছবির প্রথম লুক। ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে মেহতাব। আগামী বছর এই বায়োপিক মুক্তি পাওয়ার কথা। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে প্রাঞ্জল দাস। তবে এই ছবিতে কারা কারা থাকবে সেবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: Alta Phoring: বাস্তবের 'ফড়িং'-দের স্বপ্নের উড়ান দিতে আয়োজিত হল জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা
বাংলার ফুটবলারকে নিয়ে প্রথম বায়োপিক। কেমন লাগছে মেহতাবের? ফুটবলার বলছেন, 'আমি খুবই উত্তেজিত এবং আপ্লুত। পরিচালককে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার কাছে নেই। বাংলায় ফুটবল হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মরা খেলতে আসে না বা খেলা শুরু করলেও তা দীর্ঘমেয়াদি হয় না। আমি সত্যিই ভাগ্যবান যে আমার বায়োপিক তৈরি হয়েছে। আমার যা অতীত, সেই জায়গা থেকে একজন খেলোয়াড় হয়ে ওঠা খুব জরুরি ছিল। আমার জীবন নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। ক্লাবে থাকা থেকে শুরু করে ক্লাব থেকে চলে যাওয়া.. মেহতাব মানেই বিতর্ক। সেই সমস্ত গল্প উঠে আসবে পর্দায়। কেন আমি মোহনবাগানে গিয়েছিলাম বা যেতে বাধ্য হয়েছিলাম, সেই ঘটনা মানুষ জানলেও তাঁর পিছনের গল্পটা কেউ জানে না। আশা করি এই ছবি দেখে মানুষ জানতে পারবে। আমি চিরকালই ভীষণ নিয়মানুবর্তি। কিন্তু মাঝে আমার জীবনের একটা অধ্যায় আসে যেখানে আমি পার্টি করতাম, নাইট ক্লাবে যেতাম। কিন্তু তারপর আমার জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়। মানুষ আমায় একটা নতুন রূপে দেখে। সেই সমস্ত গল্প উঠে আসবে রূপোলি পর্দায়। আশা করি মানুষের ভালো লাগবে।'
আরও পড়ুন: Alta Phoring: বাস্তবের 'ফড়িং'-দের স্বপ্নের উড়ান দিতে আয়োজিত হল জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা
পরিচালক বলছেন, 'এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এমন একটা বিষয়ে নিয়ে ছবি খুবই চ্যালেঞ্জিং। কারণ বাংলা তথা ভারতের ফুটবলের এখন যা পরিস্থিতি, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই ছবির একটা গুরুত্ব আছে। এই ছবির উদ্দেশ্য ফুটবলপ্রেমী মানুষদের উৎসাহ দেওয়া। যারা লড়াই করছে ফুটবল নিয়ে, তাঁদের কথা ভেবেই তৈরি হবে 'মেহতাব' । বাংলা বা বাঙালি মানেই তো ফুটবল। আর তাই যখন ছবি বানাব বলে সিদ্ধান্ত নিই, ফুটবল ছাড়া অন্যকিছু মাথাতেই আসেনি। আমি নিজেই ফুটবল নিয়ে বড় হয়েছি। আর তাই এই অনুভূতি আমি বুঝি। ছবিটা ভালো বানানোর একটা খিদে রয়েছে আমার। এছাড়াও, মোহনবাগান, মহামেডান, কেরালা ব্লাস্টার্স ও ইস্টবেঙ্গলের সমস্ত দর্শক আমাদের এই ছবির পাশে থাকবে বলেই আশা করছি। মেহতাব সবার ভালোবাসার নাম। ফুটবল নিয়ে ওঠাপড়ার আর এক নাম মেহতাব হোসেন। এই চ্যালেঞ্জ টা নিতে খুব ভালো লাগছে। অনেকদিনের একটা স্বপ্ন যেটা সফল হতে দেখে বেশ ভালো লাগছে।