Mithun Chakraborty: খেতে দিতেন না, বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন! বাবাকে মনে হল ভিলেন: মিঠুন চক্রবর্তী
Mithun Chakraborty on Shontaan: সদ্যই হাতে চোট পেয়েছিলেন তিনি, এখন কেমন আছেন? মিঠুন চক্রবর্তী বলছেন, 'হাত এখনও পুরোপুরি ঠিক হয়নি। তবে ৭০-৮০ শতাংশ ভাল আছি।'
কলকাতা: রাত পোহালেই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ছবি, তবে এই মুহূর্তে কলকাতায় নেই তিনি। রয়েছেন বেঙ্গালুরুর বাড়িতে। সেখানে সাক্ষাৎকারের আর্জি পৌঁছতেই. এক গাল হাসি নিয়ে তাঁর প্রথম কথা, 'বড্ড বিরক্ত করছিস কিন্তু তোরা'! কিন্তু এই একটাই মুহূর্ত.. সঙ্গে সঙ্গে চায়ের কাপে এক চুমুক দিয়ে ঠিক করে নিলেন টুপিটা। জুম কলের ওপারে বসেই প্রশ্ন করলেন, 'সাক্ষাৎকার চলাকালীন চা খেতে পারি তো?' 'সমস্যা নেই' জানাতেই চায়ে আরেক চুমুক দিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বললেন, 'শুরু করা যাক...'
সদ্যই হাতে চোট পেয়েছিলেন তিনি, এখন কেমন আছেন? মিঠুন চক্রবর্তী বলছেন, 'হাত এখনও পুরোপুরি ঠিক হয়নি। তবে ৭০-৮০ শতাংশ ভাল আছি।'
রাজের সঙ্গে প্রথম সিনেমা, 'সন্তান', কেন রাজি হলেন এই ছবিটা করতে? মিঠুন বলছেন, 'আমি এখন সেই সিনেমাই করব যেটা আমায় কাতুকুতু দেবে, একটু উত্তেজিত করে। রাজের সঙ্গে কাজ করার আমারও ইচ্ছা ছিল। ও এর আগে আমার সঙ্গে ডান্স বাংলা ডান্স-এ কাজ করেছে। ছবি পরিচালক হিসেবে ও খুব ভাল। গল্পটা শোনার পরে মনে হল, আজকের দিনে এটা খুবই প্রযোজ্য। আগে আমরা বুঝতে পারতাম, মা-বাবা রয়েছেন, একটা একান্নবর্তী পরিবার রয়েছে.. মাসি, মামা, তার ছেলে মেয়ে সব একসঙ্গে থেকেছি। সেটা থেকে হল শুধু বাবা-মা আর ছেলে মেয়ে। এখন তো দেখছি ছেলে মেয়েও বেরিয়ে যাচ্ছে, কেবল মা-বাবাই রয়ে যাচ্ছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে মনে হল এই বার্তা দেওয়াটা খুব যুক্তিযুক্ত যে যতটুকু সামর্থ্য, সেটা দিয়ে বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াও। বাবা-মাকে ভুলে যেও না। আজ আমি যা কিছু.. সবটাই আমার বাবা-মায়ের জন্য। কিন্তু তাই বলে কি আমি বাবার মার খাইনি? প্রচুর মার খেয়েছি। বাবা আমায় বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। খেতে দেননি। তখন মনে হত বাবা ভিলেন। সেই সময়ে আমার রাজনৈতিক যোগাযোগের জন্যই শাসন করতেন। খাবার সময়ে বাবা দাঁড়িয়ে থাকতেন পাছে মা আমায় লুকিয়ে খাবার দিয়ে দেয়। তারপরে এমন একটা সময় এল, উনি আমায় বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু এখন যখন বসে বসে ভাবি, যদি উনি না করতেন, তাহলে কী আমি মিঠুন চক্রবর্তী হতাম? হতাম না। হয়তো ওখানেই ঘুরে বেড়াতাম, ওখানেই মরে যেতাম। কিন্তু যখন বাবা-মা মুম্বইতে এলেন, তখন বাবাকেও দেখেছি, মাকেও দেখেছি... চোখে জল। আমরা তো সবসময়েই ভাড়া বাড়িতে থেকেছি.. প্রথমবার নিজেদের বাড়ি.. সেই মুহূর্তটা আমি কোনোদিনও ভুলতে পারব না। কিন্তু আজকের দিনে এই গল্পটা এই জন্যই প্রযোজ্য যে যতটুকু সামর্থ্য ততটুকু দিয়ে বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াও। আমি বলছি না, সব বাবাই ঠিক, সব মাই ঠিক। তবুও, লুকিয়ে লুকিয়ে হলেও তাঁদের পাশে দাঁড়াও।'
এখন মনে হয়, বাবা মায়ের জন্য আরও একটু কিছু করতে পারতেন? মিঠুন বলছেন, 'নাহ.. আমি যথাসাধ্য করেছি আমার বাবা মায়ের জন্য। ওঁরা শেষদিন পর্যন্ত আমার সঙ্গেই ছিলেন। অনেক সময়ে আমার কষ্টও হয়েছে, কিন্তু আমি বুঝতে দিইনি। আমি সবসময় তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছি।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।