Nalinikanta: সম্পর্কের জালে খুনের রহস্য, মুক্তি পেল রজতাভ দত্তর নতুন সিরিজের চরিত্রদের লুক
Nalinikanta Update: ক্লিক (Klikk) ওটিটি প্ল্যাটফর্মের নতুন ওয়েব সিরিজ নলিনীকান্ত-র নতুন পোস্টারে মুক্তি পেল মুখ্য তারকাদের ছবি। পরিচালনায় সৌমিক চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা: জোড়া ভ্রু, মুখে বাঁকা হাসি... পোস্টারে তাঁর লুক নজর কেড়েছিল আগেই। আর এবার মুক্তি পেল সিরিজের বাকি চরিত্রদের লুক। ক্লিক (Klikk) ওটিটি প্ল্যাটফর্মের নতুন ওয়েব সিরিজ নলিনীকান্ত (Nalinikanta)-র নতুন পোস্টারে মুক্তি পেল মুখ্য তারকাদের ছবি। পরিচালনায় সৌমিক চট্টোপাধ্যায়।
গল্পের প্রেক্ষাপট কিছুটা এমন, কলকাতার নামকরা প্রসাধনী শল্যচিকিৎসক ডাঃ আদিত্য সেন। স্ত্রী শর্মিলা এবং তাঁর ১৫তম বিবাহবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে আসে আদিত্যর বন্ধু শেখর। আদিত্যর এই বন্ধু পেশায় একজন উকিল।
বিবাহবার্ষিকীর পার্টিতে যখন সবাই আনন্দে মেতে রয়েছে, সেই সময়ই আদিত্যর ফোনে এক নম্বর থেকে বারবার ফোন আসতে থাকে। যে ফোন করছে সে আদিত্যর রোগী নিশা। আর তা চোখ এড়ায়নি শর্মিলার। বেশ কিছুদিন ধরেই শর্মিলা বুঝতে পারছিলেন আদিত্য আর নিশার মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
যদিও আদিত্য এই সম্পর্কের কথা মুখে স্বীকার করেনি। কিন্তু অস্বীকার করলেও খুব একটা লাভ হয়নি। বিবাহবার্ষিকীর পার্টিতেই নিশার ফোনকে কেন্দ্র করে আদিত্য আর শর্মিলার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। শর্মিলা রীতিমতো অপমান করে আদিত্যকে। পার্টিতে সেই ঘটনা সকলের চোখ এড়িয়ে গেলেও চোখ এড়ায়নি শেখরের।
বিবাহবার্ষিকীর পার্টি মিটতেই শর্মিলাকে খুনের ছক কষে আদিত্য। সেমিনারের জন্য তার মুম্বই যাওয়ার কথা। আর সেমিনারের জন্য যেদিন মুম্বই যাওয়ার কথা সেইদিনই শর্মিলাকে খুন করে আদিত্য। খুনের পর সম্পূর্ণ ঘটনা এবং ফ্ল্যাটটাকে এমনভাবে সাজায় যে যাতে মনে হয় যে, ফ্ল্যাটে ডাকাতি করতে এসেছিল বেশ কিছু দুষ্কৃতী। আর তাদের হাতেই খুন হয়েছে শর্মিলা। পরিকল্পনা এমনভাবে করা হয় যে, যতক্ষণে এই ঘটনা পুলিশ জানতে পারবে, ততক্ষণে আদিত্য মুম্বইয়ে। শর্মিলাকে খুনে আদিত্যর সঙ্গ দেয় নিশা।
আরও পড়ুন: Tritiyo: সম্পর্কের টানাপোড়েনে জড়িয়ে খুনের রহস্য, মুক্তি পেল 'তৃতীয়'-র ট্রেলার
এই খুনের তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে আসেন ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসার নলিনী কুণ্ডু। আর তাঁর সঙ্গী অ্যাসিসট্যান্ট মুস্তাক। শর্মিলার খুনের খুব আদিত্যকে দেয় নলিনী। সে খবরে আদিত্য না চমকালেও ইনস্পেক্টর নলিনী যখন তাকে জানান যে, শর্মিলা তখনও মারা যায়নি, সে কোমায় রয়েছে, তাতেই চমকে যায় আদিত্য। তার আচরণেও নানা বদল নজরে আসে। আর সেই আচরণ নজর এড়ায়নি ইনস্পেক্টর নলিনী কুণ্ডুর।
তদন্ত চলতে থাকে। শর্মিলার শারীরিক অবস্থার মাঝে কিছুটা উন্নতি হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। নলিনীকে কিছু জানাতে পারার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। এবার গল্প কোন দিকে মোড় নেবে? শর্মিলার খুনি যে আসলে তার স্বামী আদিত্যই, তা কি জানতে পারবে নলিনী কুন্ডু? নাকি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেঁচে যাবে আদিত্য? সেই উত্তর পাওয়া যাবে সিরিজে।
View this post on Instagram