(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Nusrat Jahan Update: হালকা রঙের শাড়ি-টিপে স্নিগ্ধ নুসরত, ইতিবাচক বার্তা ছড়াচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়
Nusrat Jahan: রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণ নিয়ে লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের। লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
কলকাতা: প্যাস্টেল শেডের শাড়ি, কপালে ছোট্ট টিপ, সামান্য মেক-আপ হাতে কফি কাপ। ফের নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় স্নিগ্ধ রূপে মন ভাল করা ছবি পোস্ট করলেন অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)।
আপাতত দিল্লিতে রয়েছেন নুসরত জাহান। যোগদান করছেন অধিবেশনে। তবে এত ব্যস্ততার মধ্যেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত পোস্ট তিনি করেই চলেছেন। সেই সঙ্গে বিশেষ ক্যাপশন। আজকের ছবিগুলি পোস্ট করে তিনি বুদ্ধদেবের উক্তি লিখেছেন। ক্যাপশনে নুসরত লেখেন, 'তুমি যা ভাবো তাই তৈরি হও, তুমি যা অনুভব করো সেটাকেই আকর্ষণ করো, তুমি যা কল্পনা করো সেটাই সৃষ্টি করো।' বিশেষ কারও উদ্দেশে এই বার্তা? না কি নিজেকেই ইতিবাচক ভাবনায় ভরিয়ে রাখার উদ্যোগ? তা স্পষ্ট না হলেও ছবিতে প্রশংসার বন্যা অনুরাগীদের।
View this post on Instagram
অন্যদিকে আজই, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণ নিয়ে লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। তিনি লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য রাখা উচিত বলেও দাবি জানিয়েছেন বসিরহাটের সাংসদ।
লোকসভায় নুসরত বলেন, ‘আমরা সবাই জানি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্প গড়ে তোলা হয়েছিল আর্থিক উন্নতির জন্য একটি বিপ্লবের শৃঙ্খলকে পরিচালনা করার লক্ষ্যে। এই পরিকল্পনার শুরুর কয়েক বছরে প্রধান শিল্পগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্পকে কাজে লাগিয়েছিল সরকার। তথাকথিত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্পকে একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করাও হয়েছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্পে যে বেতন দেওয়া হত, তা বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য আদর্শ ছিল। কিন্তু এখন সরকার মহারত্ন, নবরত্নের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির শেয়ার বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ করতে চাইছে। কোল ইন্ডিয়া, আইওসি, এইচপিসিএল, সেইল, গেইল, ভেল, এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণ করা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হল, লাভজনক সংস্থাগুলিকে কেন বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে? সরকার যদি বিলগ্নীকরণের পথেই হাঁটতে চায়, তাহলে অলাভজনক সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে দিতে পারে। সরকার এরকমভাবে বিলগ্নীকরণের পথে হাঁটায় কর্মীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সরকার পরিচালিত শিল্পগুলিকে নিয়ে সারা দেশ গর্বিত। সরকারের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, অন্তত পিপিপি মডেলে অলাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলিকে বিক্রি করা হোক। সম্পূর্ণভাবে বিক্রি বন্ধ করা হোক। আমি আর আমার দল লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণের বিরোধী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, তিনি সংসদে এসে জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির বিষয়ে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?’