Poila Baisakh Special: নববর্ষে রান্না থেকে মায়ের ছুটি, 'মিঠাই'-এর সেটে ১৮টা লুচি খেয়েছিলেন সৌমিতৃষা!
Poila Baisakh: ছোটবেলার নববর্ষের কথা জানতে চাইতেই, হেসে ফেলে পর্দার 'মিঠাই' বললেন, 'আমি হাতে পায়েই বড় হয়েছি কেবল। আর টিউশনের ঠিকানা বদলে হয়েছে শ্যুটিং ফ্লোর। বাড়িতে এখনও আমি ছোট্টটি'
কলকাতা: নববর্ষ মানেই পড়াশোনায় ছুটি.. এই নিয়ম ছিল না মোটেই। বছরের প্রথম দিনেও টিউশন থাকত হামেশাই, ছাড় থাকত কেবল নতুন জামা আর একটু অল্প পড়াশোনায়। টিউশন থেকে ফেরার সময় দোকানে হালখাতা, দেদার ফুচকা আর লস্যি... নববর্ষের গল্প মানেই যেন সেখানে মিশে থাকে এক রাশ ছোটবেলা। এবিপি লাইভের (ABP Live)-এর সঙ্গে ছোটবেলা থেকে বড়বেলার গল্প শেয়ার করে নিলেন জি বাংলার 'মিঠাই' ধারাবাহিকের মিঠাই ওরফে সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu)।
ছোটবেলার নববর্ষের কথা জানতে চাইতেই, হেসে ফেলে পর্দার 'মিঠাই' বললেন, 'আমি হাতে পায়েই বড় হয়েছি কেবল। আর টিউশনের ঠিকানা বদলে হয়েছে শ্যুটিং ফ্লোর। বাড়িতে এখনও আমি ছোট্টটি। বাবা-মা প্রত্যেক বছর নববর্ষে আমার জন্য নতুন জামা কিনে আনেন। এই বছরও এনেছেন, তবে আমি এখনও দেখিনি। কিন্তু ছোটবেলার নববর্ষে দোকানে দোকানে হালখাতা করতে যেতাম। এখন আর তা পারি না। ছোটবেলায় এই দিনটায় একটা অন্যরকম উত্তেজনা কজ করত। দোকানে গিয়েই দাঁড়িয়ে পড়তাম লস্যি বা ফুচকার জায়গায়। মা-ও এই দিনটা ছাড় দিতেন। ফলে দেদার ফুচকা আর লস্যি খেতাম, তারপরে মিষ্টির প্যাকেট আর ক্যালেন্ডার নিয়ে বাড়িতে। সেখানেই কাজ শেষ নয়। বাড়ি এসে কাজ হত বাক্স খুলে মিষ্টি গোনা আর ক্যালেন্ডারে কী কী ছবি দিয়েছে তা দেখা। তার মধ্যে ঠাকুরের ছবিগুলো বেছে আলাদা করে তুলে রাখা হত। সেই উত্তেজনাটা এখন আর নেই।'
সৌমিতৃষা খেতে ভালাবাসেন, সে কথা স্বীকারও করেন বার বার। তবে মায়ের হাতের খাবার ছাড়া আবার অন্য কিছু মুখে রোচে না নায়িকার। শুধু তাই নয়, মা তাঁকে নিজের হাতে রান্না করে, খাইয়ে তারপরে পাঠান শ্যুটিং ফ্লোরে। সৌমিতৃষা বলছেন, 'নববর্ষের দিনটা বাড়িতে পোলাও, মাংস রান্না করতেন মা। তবে গত কয়েকবছর আমিই বারণ করি। সারা বছর তো মায়ের খাটুনি যায় অনেক। আমি বলি এই দিনটা বাইরে থেকে ভাল খাবার কিছু আনিয়ে নিই। করি ও তাই। এই দিনটা মায়ের ছুটি। কেবল আমাদের সঙ্গে গল্প, আড্ডা। নববর্ষের দিনটা শ্যুটিং না থাকলে আমি এখনও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেই ভালবাসি।'
নতুন বছরে কী এমন কোনও অভ্যাস রয়েছে যা ছাড়তে চান সৌমিতৃষা? মিষ্টি হেসে, লাজুক গলায় নায়িকার উত্তর.. 'আমি না ভীষণ খেতে ভালবাসি। প্রথমে ভাবতাম, বাকি সবার মতো শরীরচর্চা করব, ডায়েট করব। কিন্তু আমার দ্বারা হচ্ছে না। আর এই মিঠাইয়ের সেটে সারাক্ষণ এত মিষ্টি, এত খাবার থাকে যে আমার পক্ষে ডায়েট করা কার্যত অসম্ভব। একবার, নববর্ষের দিনই শ্যুটিং হচ্ছিল ফ্লোরে। লুচি ভাজা হয়েছিল। সেদিন আমি ১৮ টা লুচি খেয়েছিলাম! ভাবতে পারছেন! এক মাস জিমও জয়েন করেছিলাম। তারপরে দেখলাম, আমার দ্বারা ওটা হবে না। আমি খাবই... আর চেষ্টা করতে চাই না ডায়েট নিয়ে...' কথার শেষেও খিলখিলিয়ে হেসে উঠলেন পর্দার 'মিঠি', 'মিঠাই' নাকি সৌমিতৃষা?
আরও পড়ুন: Noboborsho Exclusive: নববর্ষ মানেই দেদার আইসক্রিম, বাবা-মাকে কখনও নতুন পোশাক দেওয়া হয়নি পল্লবীর