R Madhavan Backs Jacqueline: আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত জ্যাকলিনের পাশে মাধবন, বললেন, 'সবাই সৎভাবেই কাজ করে'
R Madhavan: আজ মুম্বইতে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জ্যাকলিনের প্রসঙ্গ উঠলে মাধবন বলেন, 'আশা করছি জ্যাকলিন এই সমস্যা থেকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে।'
মুম্বই: আর্থিক তছরুপ মামলায় (Extortion Case) ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez)। ২০০ কোটি টাকার তছরুপের ঘটনায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrasekhar) সঙ্গে এবার অভিযুক্ত অভিনেত্রীও। আজই দিল্লির একটি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। কিন্তু এবার, সহ অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা আর মাধবন (R Madhavan)। অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর দাবি, 'কর ফাঁকি নয়, বরং ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই কাজ করেন সৎ-ভাবেই।'
আজ মুম্বইতে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জ্যাকলিনের প্রসঙ্গ উঠলে মাধবন বলেন, 'আশা করছি জ্যাকলিন এই সমস্যা থেকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে। আশা করছি এই ঘটনা দেশের খুব বড় ক্ষতি করবে না। আর হ্যাঁ, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কর ফাঁকি দেওয়ার সংখ্যা যথেষ্ট কম। প্রত্যেকে যথেষ্ট সৎভাবেই কাজ করে। আশা করি জ্যাকলিনের এই সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি মিটে যাবে।'
চেন্নাই নিবাসী সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক বছরে তাঁর থেকে ২০০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেই মামলাতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। ৩০ অগাস্ট ইডির দফতরে প্রায় ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল জ্যাকলিনকে। জ্যাকলিনের সঙ্গে কথা বলে ইডি-র হাতে আসে বহু জরুরি তথ্য । এর পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় এক বিবৃতিতে অভিনেত্রীর মুখপাত্র বলেন, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজনকে সাক্ষী হিসেবে ডাকছে ইডি। তিনি এর আগে বিবৃতি রেকর্ড করেছেন।
সুকেশ চন্দ্রশেখরকে ২০০ কোটি টাকার প্রতারণায় গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, এই ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার বহুমূল্য উপহার পেয়েছিলেন জ্যাকলিন। ইতিমধ্যেই জানা যায়, আর্থিক প্রতারণার টাকা থেকেই নাকি জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে বহুমূল্যের উপহার দিতেন সুকেশ চন্দ্রশেখ। এনিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রীকে বেশ কয়েকবার নিজেদের দফতরে ডেকে পাঠায় ইডি।
২৪ অগাস্ট তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল, চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় চেন্নাইয়ে একটি সমুদ্রমুখী বাংলো, ৮২.৫ লক্ষ নগদ টাকা এবং এক ডজন বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রায় ২০০ কোটি টাকার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং তোলাবাজির অভিযোগে তার এবং অন্যদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার একটি এফআইআর -এর ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়েছে।