Rajinikanth Health Update: অস্ত্রোপচার সফল, শীঘ্রই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরবেন রজনীকান্ত
Rajinikanth Health Update: অস্ত্রোপচার সফল, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন 'থালাইভা'। হাসপাতাল সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়ি রজনীকান্তকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে, খবর সংবাদসংস্থা আইএএনএস সূত্রে।
মুম্বই: উদ্বেগ কাটিয়ে সুখবর। ভালো আছেন তিনি। অস্ত্রোপচার সফল, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন 'থালাইভা' (Thalaiva)। হাসপাতাল সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়ি রজনীকান্তকে (Rajinikanth) হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে। তবে আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে দক্ষিণী তারকাকে, খবর সংবাদসংস্থা আইএএনএস সূত্রে।
গতকাল অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর, হাসপাতালে ভর্তি হন রজনীকান্ত (Rajinikanth)। প্রথমে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছিল, নিয়মিত চেক আপের জন্যই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। চেন্নাইয়ের কাবেরী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। আপাতত সেখানেই রয়েছেন তিনি। চিকিৎসক অরবিন্দন সেলভারাজ জানিয়েছেন, করোটিড আর্টারি রিভাসকুলারাইজেশন-এ আক্রান্ত হয়েছেন রজনীকান্ত। তবে আপাতত অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।
চিকিৎসক অরবিন্দন সেলভারাজ আরও জানিয়েছেন, শারিরীক স্বাস্থ্য বুঝেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অভিনেতার অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। চিকিৎসায় ভালোভাবেই সাড়া দিচ্ছেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁকে।
গত ২৫ অক্টোবর নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত হয়েছিল ৬৭তম জাতীয় পুরস্কার অনুষ্ঠান। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে সেখানেই দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় অভিনয় জগতের দিকপাল সুপারস্টার রজনীকান্তকে (Rajinikanth)। উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু (M. Venkaiah Naidu) হাত থেকে পুরস্কার নিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রজনীকান্ত। তাঁকে ভিডিওবার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মোহনলাল থেকে অমিতাভ বচ্চন। ভরা মঞ্চে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার পর রজনীকান্ত তা উৎসর্গ করেছিলেন নিজের গুরুকে।
৬৭তম জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সুপারস্টার রজনীকান্তের স্ত্রী লতা এবং জামাই ধনুষ, যিনি নিজেও 'অসুরন' ছবির জন্য সেরা অভিনেতার বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার পরই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রজনীকান্ত। বলেন, 'আজকের এই পুরস্কার আমি আমার গুরু কে বালাচন্দর স্যরকে উৎসর্গ করছি। আমাকে আজ এই পুরস্কারে সম্মানিত করার পিছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁকে এবং আমার দাদা সত্যনারায়ণ রাও গায়কোয়াড়, যিনি আমার পিতৃতুল্যও বটে, আজ তাঁদেরকে খুব মনে পড়ছে। সত্যনারায়ণ রাও আমাকে জীবনের মূল্য বুঝিয়েছিলেন এবং আধ্যাত্মিকতা আমার মধ্যে ঢুকিয়েছিলেন।'