'বাড়ির লক্ষ্মীদের' নিয়ে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন ঋতাভরীর
মা শতরূপা সান্যাল ও দিদি চিত্রাঙ্গদার সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুজোয় সমস্ত আয়োজন করেছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী।
কলকাতা: হলুদ শাড়ির সঙ্গে নাকে নথ, ভারী গয়না। খোলা চুলে যথারীতি অপরূপা ঋতাভরী চক্রবর্তী। আর তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো। মা শতরূপা সান্যাল ও দিদি চিত্রাঙ্গদার সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুজোয় সমস্ত আয়োজন করেছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা ঋতাভরীর ছোট্ট ক্যাপশান মন ছুঁয়ে যায়। 'এফআইআর' অভিনেত্রী লিখছেন, 'মা লক্ষ্মী আর আমার বাড়ির লক্ষ্মীরা'। সঙ্গে হ্যাশট্যাগ জুড়ে দেন লক্ষ্মীপুজো ও আমার পুজো। ছবির কোলাজে ধরা পড়ে মা, দিদি ও পরিবারের সঙ্গে কাটানো ঋতাভরীর মিষ্টি মুহূর্ত। নজর কাড়ে দেবীপ্রতিমার বিশেষ গয়নাও।
ঋতাভরী বার বার নিজের জীবনে তাঁর মায়ের অবদানের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর অভিনয় থেকে শুরু করে পড়াশোনার জগৎ, সবকিছুতেই তাঁর সাপোর্ট সিস্টেম মা। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন ছবি 'এফআইআর'। শারিরীক অসুস্থতা নিয়ে ছবির শ্যুটিং করেছিলেন ঋতাভরী। শারিরীক অসুস্থতা নিয়েই এই ছবিতে কাজ করেছেন ঋতাভরী। কীভাবে সবকিছু সামলাতেন নায়িকা? এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী বলেছিলেন, 'আমার টিম যদি আমায় সবসময় সুবিধা না দিত, মাঝপথে এফআইআরের কাজ ছেড়ে দিতে হত আমায়। টানা শ্যুটিং করলেই অসুস্থ হয়ে পড়তাম। কিন্তু আমার টিম সবসময় আমার কথা ভেবে ছবির শিডিউল ঠিক করত। এমনকি বার বার আমার জন্য রিশিডিউলও করতে হয়েছে শ্যুটিং। তবে আমায় সবরকমভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করতেন সবাই। আমি এতটাই অসুস্থ ছিলাম, এই প্রথম গোটা শ্যুটিং-এ মা আমার সঙ্গে ছিল। ১২ বছরে আগে কখনও এরকম হয়নি। শ্যুটিংয়ের মধ্যেই মায়ের জন্মদিন পড়েছিল। আমারই এক বন্ধুর বাড়িতে কেক কেটে উদযাপন হল। ছবির সব্বাই সেদিন এসেছিল। আড্ডা.. খাওয়া.. গল্প...। সবার সঙ্গে সেদিনই প্রথম বন্ধুত্ব হল।'
ঋতাভরীর পোস্টে তাঁকে লক্ষ্মীপুজোর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগীরা। অন্যান্য সমস্ত তারকাদের মধ্যেও ঋতাভরীর নারীবাহিনীর আয়োজন করা লক্ষ্মীপুজো নজর কাড়ল নেটিজেনদের।