Rituparno Ghosh: দেখতে দেখতে ১০, আজ ঋতু বিদায়ের প্রখর রোদে শহরের চোখে 'সানগ্লাস'
Rituparno Ghosh Death Anniversary:দেখতে দেখতে ১০ বছর পার। ২০১৩ সালে ঠিক আজকের দিনেই আচমকাই বিদায় নিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ।
কলকাতা: দেখতে দেখতে ১০ বছর পার। ২০১৩ সালে ঠিক আজকের দিনেই আচমকাই বিদায় নিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। যেতে হয় চিরতরে সবাইকেই একদিন, তবে তাঁর বিদায়ের দিনটা এসেছিল বড়ই আগে। একরাশ কালোমেঘ, একবুক অভিমানকে আড়ালে আবডালে রেখে, মুখে সোনা রোদের হাসি নিয়েই চিরবিদায় নিয়েছিলেন এই কিংবদন্তি পরিচালক।
রঙে হোক কিংবা শব্দে, তার ছবি নামকরণেও ছিল তুলির টান। 'দোসর' ছবি বানিয়ে তিনি এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন। সাদা কালো ছবি থেকে মনের গভীরে কী রঙ ছড়ায়, কোথায় দাঁড়িয়ে সম্পর্ক, তার ফ্রেমে তুলে ধরেছিলেন। বিদেশ বিভুঁইয়ে শ্যুটিং নয়, বরং এশহরের অলিগলিতে বা কখনও উত্তরবঙ্গের নিবীড় ছায়াতলেই তাঁর ছবির বুনন ধরা পড়ত। সম্পর্কের খুঁটিনাটি বিষয়, যা আপাত অর্থে খেয়াল করা হয় না, সেই ডিটেলিংগুলি বরাবরই প্রাধান্য পেত তাঁর ছবিতে।
কেন ফেরা যায় না, অথবা না ফিরেও কি থেকে যাওয়া যায় ? এই সব প্রশ্ন উত্তরের মধ্য দিয়েই তাঁর ছবির চরিত্ররা এগিয়ে চলেছে। ছবিতে গানের যেভাবে ভাল পিকচারাইজেশনের খুবই প্রয়োজন হয়ে থাকে, ঠিক তেমনভাবেই বাঙালি কবিদের কবিতা তাঁর ছবিতে কোনও অমোঘ টানে অদ্ভুতভাবে সিঙ্ক্রোনাইজড করেছে বরাবর। পাশাপাশি তাঁর লেখনিতেও উঠে এসেছে, পাশে বসে গল্প বলার মতো সাবলীলতা সম্পাদকীয়তে।
কখনও ছবি এসে একটা কবিতায় পুরো কথা বলে দিয়েছে। আবার কখনও ছেলের মৃত্যু হয়েছে, মানসিক ভারসাম্য কিছুটা হারানো মা খেতে চাইছে চাউমিন। এবং বিন্দুমাত্র বকা না নিয়ে, তাঁর ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিয়েছেন পুত্রবধূ। কখনও ছবির ভিতর ছবি। পরিচালক অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েছেন। এদিকে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে একাকী পাহাড়ের দিনগুলিতে ওষুধ খেতে গিয়ে স্ত্রীকেই ফোন করতে হয়েছে। অনুভূতি নাকি অভ্যেষ ? কোনটা সম্পর্কে প্রায়োরিটি রেখেছে ? বরাবরের ওঠা এই প্রশ্নগুলি রেখে গেছে সৃষ্টিগুলিতে।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
অপর্ণা সেন, কঙ্কণা সেনশর্মা, দীপঙ্কর দে এরা তিনজনই বারবার ঋতুপর্ণ ঘোষের একাধিক ছবিতে ফিরে এসেছেন। তবে কখনই কোনও গল্পের ছায়া অন্য গল্পে পড়েনি। তবে তাঁর ছবিতে বারবারই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা একেবারে অচেনা চরিত্রে ধরা দিয়েছেন। আবার টলিপাড়ায় অনেকেই অপেক্ষা করে গিয়েছেন তাঁর একটা ফোনের জন্য। তবে শুধু টলি পাড়াতেই নয়, বলিউডের একের পর এক হেভিওয়েট অভিনেতা অভিনেত্রীরাও মুখিয়ে থাকতেন তার ছবিতে অভিনয় করার জন্য। অ্যাড হোক , কিংবা আবহমানের মতো একটা লম্বা ফ্রেম, সত্যিই যে তাঁকে বাধা যায় না, রঙে-রসে-ঋতুতে তা বারবার জানান দিয়ে গিয়েছেন 'ঘোষ এন্ড কোম্পানি।'