Salman Khan: লাদাখে 'ব্যাটেল অফ গালওয়ান'-এর শ্যুটিং করতে গিয়ে আহত সলমন খান, পিছিয়ে গেল শ্যুটিং
Salman Khan News: জানা যাচ্ছে, লাদাখে শ্যুটিংয়ের সময় সেখানকার তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১০ ডিগ্রিরও নীচে। তার ওপরে সেখানে অক্সিজেনের মাত্রা ভীষণ কম ছিল

কলকাতা: নতুন সিনেমার শ্যুটিং করতে গিয়ে আহত হয়েছে অভিনেতা সলমন খান (Salman Khan)। আপাতত 'ব্যাটেল অফ গালওয়ান' (Battle of Galwan) সিনেমার শ্যুটিং করছিলেন তিনি। লাদাখে চূড়ান্ত ঠাণ্ডার মধ্যে শ্যুটিং শেষ করেছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, লাদাখে শ্যুটিং করতে গিয়ে অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন সলমন। লাদাখের শ্যুটিং নাকি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল তাঁর জন্য। এরপরে, বাকি সিনেমার শ্যুটিং হবে মুম্বইতে। তবে লাদাখে শ্যুটিং করার পরে, তাঁর কিছুটা বিশ্রামের প্রয়োজন। সেই কারণে আপাতত একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন সলমন খান। খুব তাড়াতাড়িই তিনি ফের এই সিনেমার শ্যুটিং শুরু করবেন।
জানা যাচ্ছে, লাদাখে শ্যুটিংয়ের সময় সেখানকার তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১০ ডিগ্রিরও নীচে। তার ওপরে সেখানে অক্সিজেনের মাত্রা ভীষণ কম ছিল। তার মধ্যে, টানা ৪৫ দিন থেকে শ্যুটিং করেছে সলমন খান আর তাঁর টিম। এর ফলে, অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সলমন খানের দলে ১৫ জন ছিলেন। জানা যাচ্ছে, মুম্বইতে যে অংশের শ্যুটিং হবে, সেটা গল্পের আবেগের দিকটা। তবে আপাতত বন্ধ থাকবে শ্যুটিং। কিছুদিন পর থেকেই ফের শুরু হবে 'ব্যাটেল অফ গালওয়ান'-এর শ্যুটিং।
প্রসঙ্গত, এই সিনেমার শ্যুটিং করার সময় ও কড়া নিরাপত্তায় ছিলেন সলমন খান। তাঁর বাড়িতে গুলি চলার পর থেকেই সলমনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তাঁর শ্যুটিং সেটেও রাখা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তা। এরপরে মুম্বইতেও তিনি যখন শ্যুটিং করবেন, তখনও তিনি কড়া নিরাপত্তাতেই থাকবেন। তাঁর সেটে আধার কার্ড ছাড়া কোনও ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। তাঁকে চতুর্থ স্তরীয় নিরাপত্তা বলয় ঘিরে রাখে সবসময়। সিনেমার প্রচারের সময় ও কড়া নিরাপত্তা বলয় বজায় রাখা হয়।
১৯৯৮ সালে 'হাম সাথ সাথ হ্যায়' ছবির শ্যুটিং চলাকালীন সলমন এবং তাঁর সহ-অভিনেতা সেফ আলি খান, তব্বু, সোনালি বেন্দ্রে এবং নীলম সকলেই অভিযুক্ত হয়েছিলেন যোধপুরের কাছে একটি জঙ্গলে কৃষ্ণসার হরিণ মারার অপরাধে। সেই সময় থেকেই গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের কাছ থেকে খুনের হুমকি পেয়ে আসছেন সলমন খান। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে কৃষ্ণসার হরিণকে পবিত্র এবং ঐশ্বরিক বলে মানা হয়।
গত বছর এপ্রিল মাসে দুই অজানা ব্যক্তি বান্দ্রায় তাঁর বাড়ির সামনে এসে নাগাড়ে গুলিবর্ষণ করে। তাদের পরে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ এবং তদন্তে জানা যায় এই ঘটনা পরিকল্পনা করেছিলেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই অনমোল বিষ্ণোই। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকী খুন হন আর এই ঘটনায় লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং স্বীকার করে সলমনের নিকটস্থানীয় হিসেবে তাঁকে তারাই হত্যা করেছে।






















