Shilpa Shetty: কোটি কোটি টাকা প্রতারণার মামলা, FIR দায়ের! তার মধ্যেই শিল্পা শেট্টির বড় পদক্ষেপে অবাক অনুরাগীরা
Shilpa Shetty News: শিল্পা জানিয়েছেন, এই রেস্তোরাঁর বিশেষত্ব হল, যে সমস্ত খাবারগুলো ঘরের কথা মনে করিয়ে দেয়, মায়ের হাতের স্বাদের কথা মনে করিয়ে দেয়, সেই সমস্ত খাবারগুলিই পাওয়া যাবে এই রেস্তোরাঁয়।

কলকাতা: সমস্যা যেন কাটছে না শিল্পা শেট্টি (Shilpa Shetty) এবং তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রা (Raj Kundra)-র। একে তাঁদের মাথায় কোটি কোটি টাকা তছরুপের মামলা, তার ওপর সেই মামলায় যুক্ত হয়েছে নতুন ধারা। সদ্যই এই মামলায় নতুন করে একটি FIR দায়ের করা হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। তবে ব্যক্তিগত জীবনে কিন্তু এগিয়ে যাওয়া থেকে থামছেন না শিল্পা শেট্টি। আইনি মামলায় যতই তিনি জড়িয়ে পড়ুন না কেন, কাজের ক্ষেত্রে কিন্তু নিজের মতোই ব্যস্ত তিনি।
সদ্যই শিল্পা শেট্টির ব্যাস্টিয়ন রেস্তোরাঁয় হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগ, সেখানে তল্লাশি চলে। তবে ইতিমধ্যেই নতুন একটি রেস্তোরাঁ উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করা সবাইকে চমকে দিলেন শিল্পা। আজ, কয়েক ঘণ্টা আগেই শিল্পা শেট্টি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে নিয়েছেন তাঁর নতুন রেস্তোরাঁ খোলার খবর। একদিকে যখন একের পর এক মামলায় জড়িয়ে পরা, রেস্তোরাঁয় ইডি হানা, তার মধ্যেই নতুন রেস্তোরাঁ খোলার সুখবর জানালেন শিল্পা।
অভিনেত্রীর নতুন রেস্তোরাঁর নাম, 'অম্মা কাই'। শিল্পা জানিয়েছেন, এই রেস্তোরাঁর বিশেষত্ব হল, যে সমস্ত খাবারগুলো ঘরের কথা মনে করিয়ে দেয়, মায়ের হাতের স্বাদের কথা মনে করিয়ে দেয়, সেই সমস্ত খাবারগুলিই পাওয়া যাবে এই রেস্তোরাঁয়। পাশাপাশি থাকবে ব্যাস্টিয়নের জনপ্রিয় সমস্ত মেনুগুলি ও। শিল্পার এই পদক্ষেপে যেমন অনেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তেমনই অনেকে বেশ অবাক হয়েছেন যে, এতরকম সমস্যা থাকার কারণেও শিল্পা কীভাবে নতুন রেস্তোরাঁ খোলার জন্য সব কিছু সামলে নিলেন? অনুরাগীরা অবশ্য খুশি শিল্পার নতুন পদক্ষেপে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এই রেস্তোরাঁয় কোনও বুকিং নেই, সরাসরি যে কেউ গিয়ে খাবার খেতে পারবেন।
ঠিক কী অভিযোগ শিল্পা শেট্টি আর রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে? শিল্পা শেট্টি ও তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রার নামে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্যবসা সংক্রান্ত একটি বিষয়ে তাঁরা নাকি ৬০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপে জড়িত রয়েছেন। ব্যবসায়ী দীপক কোঠারি অভিযোগ করেছেন যে, শিল্পা এবং রাজ তাঁর সঙ্গে ৬০ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তিনি দাবি করেছেন যে, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে দেওয়া অর্থ আসলে ব্যক্তিগত খরচে নষ্ট করা হয়েছে। পরে, রাজ দাবি করেন যে, ৬০ কোটি টাকার জালিয়াতির কিছু অংশ অভিনেত্রী বিপাশা বসু এবং নেহা ধুপিয়াকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।






















