Srijit Mukherji: আমি ফরমায়েশি ছবি করি না, করব না: সৃজিত
Srijit Mukherjee News: এই ছবিতে সৃজিতের নায়িকা কৌশানী মুখোপাধ্যায় । এই প্রথম কৌশানীর সঙ্গে কাজ করছেন সৃজিত।

কলকাতা: তাঁর সিনেমার নাম শুনে অনেকেই মনে করেছিলেন, এবার বোধহয় তাঁর পোষ্য়দের পর্দায় দেখা যেতে চলেছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherji)-র পোষ্য যে এক গুচ্ছ সাপ, এ কথা সবারই জানা। সেই কারণেই, 'কিলবিল সোস্যাইটি' (Killbill Socialty)-র নাম শুনে অনেকে মনে করেছিলেন, পোষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বোধহয় রাখা হয়েছে সিনেমার নাম। সাক্ষাৎকারের প্রথম প্রশ্নই রাখা হয়েছিল ছবির নাম নিয়েই। প্রশ্ন শুনে সৃজিত মুখোপাধ্যায় হেসে ফেলে বললেন, 'নাহ্.. আমার পোষ্যদের দেখা যাবে না। এই ছবি এমন একটা গল্প নিয়ে তৈরি যারা খুন করে আর তারপরে বিল ধরায়। অর্থাৎ খুন করার পারিশ্রমিক। সেই থেকেই ছবির নাম 'কিলবিল'।'
উত্তরটা আরও স্পষ্ট হল তারপরেই। 'কিলবিল সোস্যাইটি'-র গল্প অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জীবন থেকে অনুপ্রাণিত। একটি সাক্ষাৎকারে একবার অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেছিলেন, তিনি নাকি একটা সময়ে মরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আত্মহত্যা করার সাহস জোগাড় করতে পারছিলেন না। সেই সময়ে অ্যাঞ্জেলিনা একজন ভাড়াটে খুনির কাছে যান। চুক্তি হয়, ওই খুনি অ্যাঞ্জেলিনাকে খুন করবে, বদলে পাবে টাকা। কিন্তু ওই খুনি অ্যাঞ্জেলিনাকে বলে, আরও একটা মাস সময় নিতে। একটা মাস পরেও যদি অ্যাঞ্জেলিনার মরতে ইচ্ছে করে, তবেই তিনি তাঁকে মারবেন। এক মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত বদলে যায় অ্যাঞ্জেলিনার। এই গল্পই আকৃষ্ট করেছিল সৃজিতকে। পরিচালকের কথায়, 'হেমলক সোস্যাইটি'- র পরে 'কিলবিল সোস্যাইটি'- কে আনতে এতটা সময় লাগার কারণ পছন্দ মতো গল্প। আমি ফরমায়েশি ছবি বানাই না, বানাব না। আমি অপেক্ষা করছিলাম একটা ভাল গল্পের জন্য। সেটা যখন পেলাম, তখনই 'কিলবিল সোস্যাইটি'-র পরিকল্পনা শুরু। স্রষ্টা যখন সৃষ্টি করতে চাইবেন, তখনই তো তৈরি হবে নতুন গল্প।'
এই ছবিতে সৃজিতের নায়িকা কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Kaushani Mukherjee)। এই প্রথম কৌশানীর সঙ্গে কাজ করছেন সৃজিত। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে পরিচালক বলছেন, 'আমি প্রথমে ভেবেছিলাম কৌশানীর জন্য আমায় অনেকটা খাটতে হবে। ও যে ধারার ছবিতে অভিনয় করে অভ্যস্ত, সেটা ভাঙতে হবে। তবে যা ভেবেছিলাম, তার থেকে ৩০ শতাংশও খাটতে হয়নি কৌশানীর জন্য। ও ভীষণ তাড়াতাড়ি সবটা শিখে নিতে পারে। দুর্দান্ত কাজ করেছে।' আর পরমব্রতর লুকের পিছনে কী পরিকল্পনা ছিল সৃজিতের? পরিচালক বলছেন, ' যেহেতু এটা 'হেমলক সোস্যাইটি'-র সিক্যুয়াল, সেই কারণে সেই গল্পের সূত্র রাখতেই হত। 'হেমলক সোস্যাইটি'-র একেবারে শেষে দেখা গিয়েছিল পরমব্রতর মাথার চুল একেবারে ছোট করে কাটা। ও একটা কঠিন রোগে আক্রান্ত। এত বছর পরে 'কিলবিল সোস্যাইটি' আসছে। এতগুলো বছর পেরিয়ে পরমব্রতর রোগটা আরও গুরুতর আকার নিয়েছে। সেই সূত্রিতা বজায় রাখতেই এই লুক।'
'কিলবিল সোস্যাইটি' তৈরি করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ কী নিতে হয়েছে সৃজিতকে? পরিচালক বলছেন, 'হেমলক সোস্যাইটি' মানুষের যতটা ভাল লেগেছিল, এত বছর পরে ফিরে এসে 'কিলবিল সোস্যাইটি'-কে সেই একই ভাবে ভাল লাগানো। এছাড়া পরিচালক হিসেবে এই ছবিতে কাজ করে আমি ভীষণ খুশি। এবার শুধু জানার অপেক্ষা দর্শকদের কেমন লাগল।'
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
