Suhotra Mukhopadhyay: প্রেম বা ব্যক্তিগত জীবন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে আমি বিশ্বাসী নই: সুহোত্র
Suhotra Mukhopadhyay on Web Series: এই সিরিজে, নিজের চরিত্রকে তাঁর অভিনীত সবচেয়ে কঠিন তিনটি ছবির মধ্যে রাখতে চান সুহোত্র
তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: ওটিটি থেকে বড়পর্দা, নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে পরিচালকদের অন্যতম পছন্দ হয়ে উঠেছেন তিনি। 'একেনবাবু', 'গোরা', 'ব্যোমকেশ'-র সঙ্গীই হোক বা 'ডাকঘর'-এর নিতান্ত সরল এক প্রেমের গল্প.. সব জায়গাতেই সমান, সাবলীল অভিনয় করে মন কেড়েছেন তিনি। আর এবার, তাঁর সেই তালিকায় নতুন সংযোজন, একটি 'পাশবালিশ'!
সুহোত্র মুখোপাধ্যায় (Suhotra Mukhopadhyay)। তাঁর নতুন ওয়েব সিরিজ প্রকাশ্যে আসছে আগামীকাল। নাম, 'পাশবালিশ'! ট্রেলারেই জানানো হয়েছিল, এই ছবিতে রোমান্স রয়েছে অন্যদিকে রয়েছে রহস্য-রোমাঞ্চও। সেই সিরিজের গল্প থেকে শুরু করে ক্যামেরার পিছনের গল্প, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সুহোত্র।
এই সিরিজে, নিজের চরিত্রকে তাঁর অভিনীত সবচেয়ে কঠিন তিনটি ছবির মধ্যে রাখতে চান সুহোত্র। তাঁর কথায়, 'এই চরিত্রটার জন্য আমার গলার স্বর, কথা বলার ধরণ সবই বদলে ফেলতে হয়েছে। চরিত্রটায় বিভিন্ন শেডস্ রয়েছে, যার জন্য এই চরিত্রটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। যেহেতু গল্পের মধ্যে থ্রিলারের মালমশলা রয়েছে তাই সবটা খোলসা করে বলতে পারছি না। তবে চরিত্রটার মধ্যে চমক রয়েছে, আর হ্যাঁ, এমন চরিত্রের জন্য যে কোনও অভিনেতাই অপেক্ষা করবেন।'
বড়পর্দা ও ছোটপর্দা, দুটি মাধ্যমেই অভিনয় করেছেন সুহোত্র। তবে অভিনেতা হিসেবে, কোন মাধ্যমে বেশি সাবলীল তিনি? সুহোত্র বলছেন, '২টো জায়গার দুটো আলাদা আলাদা ম্যাজিক রয়েছে। সিনেমার স্কিনে বিশাল মুখ, সমস্ত আবেগ বড় সূক্ষভাবে ধরা পড়ে। কিন্তু আবার ওটিটির মধ্যে এমন জোর আছে যে একটা বিশাল গল্প এক নিঃশ্বাসে দেখে ফেলা যায়। তবে হ্যাঁ, ওটিটিতে শ্যুটিংয়ের সময় বাঁধা, ১৪ ঘণ্টার বেশি কাজ হয় না। সিনেমার ক্ষেত্রে ২৫-২৬ ঘণ্টাও শ্য়ুটিং হওয়ার নজির রয়েছে। সেইদিক থেকে ওয়েব সিরিজ আমার কাছে স্বস্তির জায়গা। তবে বিশাল স্ক্রিনের ম্যাজিকের একটা অন্যরকম মোহ রয়েছে।'
'পাশবালিশ'-এর শ্যুটিংয়ের সময় তো ফ্লোরে ইশা সাহা (Isha Saha), সৌরভ দাসের (Sourav Das) মত সমবয়সী অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ছিলেন। কীভাবে কাটত সময়? সুহোত্র বলছেন, 'আমাদের শ্যুটিংয়ের অধিকাংশ অংশই শ্যুটিং হয়েছে ডুয়ার্সে। কোরকদা (Korak Murmu) ভীষণ শান্ত একজন পরিচালক। সেটা যাই হয়ে যাক, উনি জানেন ওঁকে ঠিক কী কী করতে হবে। শট না থাকলে আমরা মাঝে মাঝেই সবাই একসঙ্গে বসে আড্ডা দিতাম। একদিন তো গাড়ি করে সারারাত জঙ্গলে ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম। বেশ ভালই কেটেছিল সব মিলিয়ে।'
একাধিক অভিনেত্রীদের বিপরীতে কাজ করেছেন সুহোত্র, তবে তাঁর কাজ করার ইচ্ছা, এমন নায়িকাদের সংখ্যা অনেক লম্বা। সুহোত্র বলছেন, 'আমি দিতিপ্রিয়া আর ইশার সঙ্গে কাজ করলাম। ওদের দুজনের সঙ্গে কাজ করতেই ভাল লাগে। ইশা খুব চঞ্চল আর দিতিপ্রিয়া ভীষণ মিষ্টি। স্বস্তিকাদির (Swastika Mukherjee) সঙ্গে আমি আগেও কাজ করেছি, আবার কাজ করতে চাই সুযোগ পেলে। আর হ্যাঁ, অনন্যাদি আর শ্রুতির সঙ্গেও কাজ করার ইচ্ছা আছে।'
সুহোত্রর অনুরাগীদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা তো বেশ বেশি। সবাই চায়, সুহোত্রর প্রেমিকার কথা জানতে। একটু হেসে অভিনেতার উত্তর, 'আসলে প্রেম খুবই ব্যক্তিগত অনুভূতি আমার কাছে। কখনও যদি প্রেম করি, সেটা লুকোব না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রচার আমি পছন্দ করি না। ওখানে কেবল কাজের কথাই পোস্ট করি।'
রোমাঞ্চ সিরিজের নাম পাশবালিশ কেন? সুহোত্র বলছেন, 'আপাতদৃষ্টিতে বললে, পাশবালিশ এমন একটা জিনিস, যেটা নিঃশর্তে আমাদের পাশে থাকে। আমাদের সিরিজে এই পাশে থাকার বিষয়টাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।' সুহোত্রর জীবনে কি এমন মানুষ আছে? অভিনেতা বলছেন, 'আসলে কোনও একজন মানুষের সঙ্গে সব অনুভূতি শেয়ার করা মুশকিল। আমার কিছু বন্ধু রয়েছে, দাদা আছে। সবার সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক।'
আরও পড়ুন: Indraneil on Feluda: অভিনয় একটা দুর্ভাগ্যজনক পেশা, অভিনেতাকে যে কেউ, যা-তা বলতে পারে: ইন্দ্রনীল