এক্সপ্লোর
Advertisement
সুশান্তের শরীরে বিষক্রিয়া হয়নি, বলছে এইমস রিপোর্ট, তবে কেন অ্যাম্বুল্যান্স চালকের এমন দাবি!
তিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল কোনও সূত্র না খুঁজে পেলেও, এখনও সুশান্তকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি করে চলেছেন অভিনেতার অ্যাম্বুল্যান্স চালক। এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, আমি নিজের চোখে যা দেখেছি, তাই বলেছি।
মুম্বই: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু কি আত্মহত্যা? নাকি খুন? গত ১৪ জুন থেকেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছে সারা দেশ। মুম্বই পুলিশ প্রথম থেকে সুশান্তের মৃত্যুকে আত্মহত্যার ঘটনা ধরে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল। পরে বিজেপি সাংসদ নারায়ণ রাণে, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, এবং সুশান্তের কয়েকজন প্রাক্তন সহযোগী দাবি করছিলেন, সুশান্তকে খুন করা হয়েছে। সুশান্তের দেহ যে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়, তার চালকও সেই সময় দাবি করেছিলেন সুশান্তকে মেরে ফেলা হয়েছে। অভিনেতা ঘনিষ্ঠ বেশ কিছুজনই এই দাবি করেন। তবে এখনও পর্যন্ত এই দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণই মেলেনি।
তিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল কোনও সূত্র না খুঁজে পেলেও, এখনও সুশান্তকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি করে চলেছেন অভিনেতার অ্যাম্বুল্যান্স চালক। এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, আমি নিজের চোখে যা দেখেছি, তাই বলেছি। এখন তদন্তে ড্রাগ-অ্যাঙ্গেল সামনে এসেছে। পরে খুনের বিষয়টিও গোপন থাকবে না। যদি কেউ ঝুলে আত্মহত্যা করেন, তাহলে তাঁর পা ভাঙে কী করে?
এরপর তিনি দাবি করেন, পোস্টমর্টেম যে ঘরে হয়, সেখানে আলো অত্যন্ত কম ছিল। তাই সেখানে কী হয়েছে বলা মুশকিল।
মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে করা সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, গলায় ফাঁসের জেরে শ্বাসরোধ হয়ে সুশান্তের মৃত্যু হয়। তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর দিল্লির এইমসের ফরেন্সিক টিমের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট চায় সিবিআই। সেই রিপোর্টই সোমবার রাতে সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছে এইমসের ফরেন্সিক টিম। সূত্রের দাবি
সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সুশান্তের শরীরে কোনও বিষ পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ বিষক্রিয়ায় সুশান্তের মৃত্যু হয়নি। সূত্রের আরও দাবি
সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিও তাদের রিপোর্ট সিবিআই-এর কাছে জমা দিয়েছে। CFSL-এর রিপোর্টেও সুশান্তকে খুনের কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুর্ননির্মাণের পর CFSL এর ধারনা, আংশিক ঝুলন্ত পরিস্থিতির জেরেই সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে। সিংহভাগক্ষেত্রেই আত্মহত্যার ঘটনাতেই ‘পার্শিয়াল হ্যাঙ্গিং বা আংশিক ঝুলন্ত পরিস্থিতি’র তত্ত্ব সামনে আসে। এরইসঙ্গে রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার কাপড়ই ফাঁসির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে।
বিনোদনের (Entertainment) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement