Tarun Majumdar Death: 'বাবাকে হারালাম', তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে গলা বুজে এল দেবশ্রীর
Tarun Majumdar Death: 'আমি আমার বাবাকে হারালাম', তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে গলা বুজে এল দেবশ্রী রায়ের। বিস্তারিত জানুন।
কলকাতাঃ 'আমি আমার বাবাকে হারালাম', তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে গলা বুজে এল দেবশ্রী রায়ের।উল্লেখ্য, ১৪ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএমে পরিচালক তরুণ মজুমদার। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল বর্ষীয়ান পরিচালককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। এদিকে এদিন সকালে পরিচালকের মৃত্যুর খবর আসে। এদিন তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন 'ভালোবাসা ভালোবাসা' ছবির নায়িকা দেবশ্রী রায়।
আরও পড়ুন, শহর ছেড়ে উত্তম-সমিতদের দেশে পাড়ি তরুণ মজুমদারের, ফিরে দেখুন প্রিয় পরিচালকের ফ্রেমটা
আমি আমার বাবাকে হারালাম'
দেবশ্রী রায় জানিয়েছেন,' ওনার দেওয়া নাম, উনি তৈরি করেছেন, কত শিল্পীকে গড়েছেন উনি। তারমধ্যে আমিও একজন। দেবশ্রী নাম, শিক্ষা সবই ওনার থেকে পাওয়া। একটু একটু করে শিল্পীকে তৈরি করেন। যেমন মূর্তি তৈরি করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। উনি সেই অভিনয়কে প্রাণ দিয়েছেন। ' সাল ১৯৭১, তরুণ মজুমদারের ছবি কুহেলিতে রাণুর চরিত্রে কাজ করলেন দেবশ্রী রায়। সাল ১৯৮৫। তখন সবে ২০ পেরিয়ে ২৩ এর পথে দেবশ্রী রায়। আর সেই বছরই যে, দেবশ্রীকে আপন করে নেবে সারা বাংলা, তা তিনি তখনও জানতেন না। কারণ সেই বছরই মুক্তি পায় 'ভালোবাসা ভালোবাসা'। একদিকে তাপস পাল, অন্য দিকে উৎপল দত্ত, মাধবী মুখোপাধ্যায়, একের পর এক রত্ন খচিত শিল্পীরা এই ছবিতে ছিলেন। আর তেমনই গল্প, মন ছোয়া গান। সব মিলিয়ে, ইন্ড্রাস্ট্রিতে দেবশ্রীর পাকা ভিত গড়ে দেন তরুণ মজুমদার। আর সেকথা অকপটে এদিন স্বীকারও করেছেন দেবশ্রী রায়। তিনি বলেছেন,' আমার বাবা চলে গেল, এটাই বলতে পারি এই মুহূর্তে।'
উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি, ‘ভালবাসা ভালবাসা’ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
প্রসঙ্গত, ১৯৩১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তরুণ মজুমদার। রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র পরিচালনাই পেশা হিসেবে বেছে নেন স্কটিশচার্চ কলেজের এই প্রাক্তনী। শচীন মুখোপাধ্যায় ও দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে যাত্রিক গোষ্ঠীতে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। প্রথম ছবি উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত ‘চাওয়া-পাওয়া’। এরপর একের পর এক হিট ছবি তরুণ মজুমদারের ঝুলিতে। ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শুধু ছবিই নয়, উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি। উল্লেখ্য, ১৪ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএমে পরিচালক তরুণ মজুমদার। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল বর্ষীয়ান পরিচালককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। এদিন সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে জীবনাবসান হয় তরুণ মজুমদারের।