Zubeen Garg: সারারাত মদ্যপান, ঘুমোতে না দিয়ে ওরা খিঁচুনির রোগী জুবিনকে জোর করে....এবার আরও মারাত্মক দাবি
'সারা রাত মদ্যপান করে পার্টি করছিলেন। তোমরা এও জানতে জুবিন একজন খিঁচুনি রোগী। তোমরা এটা কীভাবে করতে পারো'

জুবিন গর্গের মৃত্যুতে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি সামনে আসছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, জুবিনের ব্যান্ডের সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী নাকি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, সিঙ্গাপুরে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল গায়কের উপর, আর তার জেরেই নাকি মৃত্যু হয়েছে গায়কের। এবার এত আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি। জুবিন গর্গের আরেক ব্যান্ডমেট পার্থ প্রতিম গোস্বামী জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং সহকর্মী শেখর জ্যোতি গোস্বামীর দিকে অবহেলা এবং অসাবধানতার অভিযোগ তুললেন। তাঁর দাবি, জুবিন গর্গের খিঁচুনি সমস্যা আছে জানা সত্ত্বেও, তারা সারা রাত মদ্যপান করে । পার্টি করে। তাঁরাই গায়ককে ঘুমাতে দেননি। তারপরে তাদের সাঁতার কাটতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। পার্থ প্রতিম গোস্বামীর মতে, সিদ্ধার্থ এবং শেখরই জুবিনকে বিশ্রাম নিতে দেননি। তাদের আনন্দ-ফূর্তির বলি হয়েছেন জুবিন। এই ভুলকে ক্ষমার অযোগ্য বলছেন পার্থ।
পার্থ প্রতিম গোস্বামীর মূলত অভিযোগ তুলেছেন জুবিন গর্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মার দিকে। শেখরকেও একই বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। বলেন, 'তোমরা দুজন, যারা ছায়ার মতো জুবিনের কাছে থাকো, এমন একজনকে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে নিয়ে গিয়েছিলে, যিনি ঘুমাননি । সারা রাত মদ্যপান করে পার্টি করছিলেন। তোমরা এও জানতে জুবিন একজন খিঁচুনি রোগী। তোমরা এটা কীভাবে করতে পারো'
এদিকে আবার শেখর জ্যোতি গোস্বামীর অভিযোগের তির জুবিনের ম্যানেজার ও অনুষ্ঠানের আয়োজকের দিকে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এই শেখর দাবি করেছেন, জুবিনকে বিষ দিয়েছিলেন তাঁর ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠানের আয়োজক শ্যামকানু মহান্ত। শেখর দাবি করেন,ম্যানেজার শর্মা নাকি সন্দেহজনক আচরণ করছিলেন যখন জুবিন জলের তলায় ছিলেন। তাঁর দাবি,যখন জুবিন সাঁতার কাটার সময় শ্বাস পারছিলেন না, তখন শর্মা চিৎকার করে বলেন, "জাবো দে, জাবো দে" অর্থাৎ ওকে ছেড়ে দিন। গায়কের মুখ এবং নাক থেকে ফেনা বের হতে শুরু করে। তখন ম্যানেজার দাবি করে ওটা কেবল অ্যাসিড রিফ্লাক্স! অন্যদের উদ্বিগ্ন না হতে বলেন। তাঁর দাবি, জুবিন দক্ষ সাঁতারু ছিলেন। অন্য কারণ ছাড়া তার ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা কমই। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর কারণ মূলত ভিসেরা রিপোর্ট থেকে জানা যেতে পারে। ১০ অক্টোবর তা সামনে আসতে পারে।























