বন্দনার দাবি ছিল, এটিএমের ত্রুটিতে টাকা বেরোয়নি। তাই তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। কিন্তু ব্যাঙ্ক, পিন নম্বর অন্য কারুর সঙ্গে ভাগ করা সংক্রান্ত নিয়ম দেখিয়ে তা ফেরত দিতে অস্বীকার করে।
2/8
প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলা চলার পর শেষপর্যন্ত হেরে যান বন্দনা। নিজের কার্ড অন্য কাউকে দেওয়াই মামলায় হারের কারণ। ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, নিজের পাসওয়ার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য ও কার্ড অন্য কাউকে দেওয়া যায় না। অ্যাকাউন্ট গ্রাহকই একমাত্র তা ব্যবহার করতে পারেন। ছবি- গুগল ফ্রি ইমেজ
3/8
এরপর বন্দনা ও রাজেশ আইনি উপায় অবলম্বন করেন। এরইমধ্যে বন্দরা আরটিআই-এর মাধ্যমে ক্যাশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট বের করেন। ২০১৩-র ১৬ নভেম্বর মেশিন থেকে ২৫ হাজার টাকা বেরিয়েছিল কিনা, তা জানতেই ওই রিপোর্ট। ওই রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয়। ছবি- গুগল ফ্রি ইমেজ
4/8
বন্দনা ব্যাঙ্কিং লোকপাল ও ক্রেতাসুরক্ষা মঞ্চে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর ওই এটিএমের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। ফুটেজে রাজেশকে দেখা গেলেও অ্যাকাউন্টের মালিক বন্দনাকে দেখা যায়নি। এটিএম কার্ড হস্তান্তরযোগ্য নয়-এই নিয়ম দেখিয়ে বন্দনার অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়। ক্রেতাসুরক্ষা আদালত বলে, বন্দনার উচিত ছিল স্বামীকে সেল্ফ চেক ও একটি অথোরাইজেশন লেটার (সম্মতিসূচক পত্র) দেওয়া । এটিএম কার্ড ও পিন বলে দেওয়া কখনওই ঠিক হয়নি।ছবি- গুগল ফ্রি ইমেজ
5/8
এই ঘটনার পর রাজেশ স্টেট ব্যাঙ্কের কাস্টোমার কেয়ারে ফোন করে পুরো ঘটনার কথা জানান। রাজেশকে বলা হয়, এটিএমে গোলমালের কারণে এমনটা কখনও কখনও হয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরত আসবে। কিন্তু টাকা ফেরত না আসায় রাজেশ ও বন্দনা ব্যাঙ্কে সে কথা জানান। কিন্তু অ্যাকাউন্টের মালিকের দ্বারা কার্ড ব্যবহার না হওয়ার কারণ দেখিয়ে টাকা ফেরত দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়। ব্যাঙ্কের এই জবাব শুনে রাজেশ ও বন্দনা অবাক হয়ে যান। ছবি- গুগল ফ্রি ইমেজ
6/8
২০১৩ সালের এই ঘটনা। অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন বন্দনা। বাড়ি থেকে বেরোনোর উপায় ছিল না। তাই স্বামীকে এটিএম কার্ড দিয়েছিলেন ২৫ হাজার টাকা তুলে আনতে।রাজেশ স্ত্রীর এটিএম কার্ড নিয়ে টাকা তুলতে যান। কিন্তু কার্ড ‘সোয়াইপ’ করার পরে শুধু একটি স্লিপ বেরিয়ে আসে যন্ত্র থেকে। টাকা বেরোয় না। অথচ টাকা কেটে যায় অ্যাকাউন্ট থেকে। টাকা তোলার মেসেজ চলে আসে মোবাইলে। ছবি- গুগল ফ্রি ইমেজ
7/8
আসলে বেঙ্গালুরুতে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে যে দম্পতিকে তার মূল্য চোকাতে হয়েছে। স্ত্রীর কার্ড স্বামী ব্যবহার করেছিলেন। আর এই কারণেই বড়সড় লোকসানের মুখে পড়তে হল তাঁদের। রাজেশ নামে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী বন্দনার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। এটিএম থেকে টাকা হাতে পাননি রাজেশ। কিন্তু অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে যায়। ছবি- গুগল ফ্রি ইমেজ
8/8
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক খুবই গভীর। তাই সাধারণত স্বামী ও স্ত্রীর একে অপরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও এটিএমের পাসওয়ার্ড জানা থাকে। কিন্তু জানেননি, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের এটিএম কার্ড ব্যবহার করলে পড়তে পারেন মুশকিলে। চোকাতে হতে পারে খেসারত। ছবি- গুগল ফ্রি ইমেজ