Heart Attack: রোজকার যে অভ্যাসে বদল আনলেই দূরে থাকবে হার্ট অ্যাটাক
লাইফস্টাইলে কোন কোন পরিবর্তন আনলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কলকাতা: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বর্তমানে নানা বয়সের মানুষ হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত হচ্ছেন। তার মধ্যে একটা বড় সংখ্যক মানুষ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) কিংবা যেকোনও হৃদরোগের ক্ষেত্রেই লাইফস্টাইল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের কারণেও বহু মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সাম্প্রতিককালে গায়ক কেকে থেকে সোনালী ফোগত প্রয়াত হলেন হার্ট অ্যাটাকের কারণেই। গত বছর অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্ল মারা গিয়েছেন এই রোগেই। এছাড়াও সাধারণ বহু মানুষ রোজ এই রোগে আক্রান্ত হন। জনপ্রিয় কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবও হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কারণে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লাইফস্টাইলে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসলেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। লাইফস্টাইলে কোন কোন পরিবর্তন আনলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে যে অভ্যাসগুলি বদলানো দরকার-
১. ধূমপান। স্বাস্থ্যের বহু ক্ষতি করে এই মারাত্মক ক্ষতিকর অভ্যাস। তামাক সেবন অবশ্যই বন্ধ করে দেওয়া দরকার সুস্থ থাকার জন্য।
২. যাঁরা ধূমপান করেন না, তাঁরা ধূমপানের ধোঁয়া থেকে দূরে থাকুন। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের মত, প্যাসিভ স্মোকারদেরও শরীরে নানা ক্ষতি হয়।
৩. প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করছেন? কিন্তু সঠিক নিয়ম মেনে করছেন তো? কারণ, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, শরীরচর্চা করার পরও অত্যধিক শরীরচর্চা করার কারণে বহু মানুষ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৬০ মিনিট শরীরচর্চাই যথেষ্ট সুস্থ থাকার জন্য।
৪. প্রতিদিন অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। হার্ট অ্যাটাক দূরে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন - Healthy Eating: রোজ পুষ্টিকর খাবার খেলে কী কী উপকার পাবেন?
৫. সুস্থ থাকতে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম খুবই জরুরি। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি।
৬. কাজের চাপে কিংবা অন্য কোনও কারণে স্ট্রেস দেখা দেয়। এই স্ট্রেস শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্রাণায়াম এবং আরও নানা উপায়ে কমিয়ে ফেলুন স্ট্রেস।
৭. রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিনা তা জানা খুবই জরুরি। নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে এগুলি পরীক্ষা করান।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )