Typhoid: ফের প্রাণঘাতী হয়ে ফিরতে পারে টাইফয়েড! 'ব্যর্থ হচ্ছে' একের পর এক ওষুধ, ভয় ধরানো দাবি গবেষণায়
এখন আবার টাইফয়েড ঘটানো ব্যাকটেরিয়াটিকে আর কাবু করতে পারছে না কোনও অ্যান্টিবায়োটিক। এমনটাই দাবি গবেষণায়।

টাইফয়েড। একটা সময় ছিল প্রাণঘাতী অসুখ। এখন অবশ্য বিভিন্ন ওষুধের গুণে সহজেই নিরাময় হয় এই অসুখের। সাম্প্রতিক একটি UK Health Security Agency (UKHSA) র রিপোর্ট বলছে , টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েড আবার ভয়ঙ্কর হয়ে ফুরে আসতে পারে। সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য হারে এই দুই অসুখের দাপট বেড়েছে যুক্তরাজ্য, ওয়েলস ও আয়ারল্যান্ডে উত্তরাঞ্চলে। তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে এই সব জায়গায় টাইফয়েড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০২, যা কিনা ২০২৩ এর থেকে ৮ শতাংশ বেড়েছে। এটি এখনও পর্যন্ত বাৎসরিক সর্বোচ্চ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। এই অসুখ ছড়ায় স্যালমোনেলা ( Salmonella bacteria ) থেকে। খাবার ও জলের মাধ্যমেই সবথেকে বেশি ছড়ায় এই অসুখ। চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, টাইফয়েড আর প্যারাটাইফয়েডের এমন বাড়বাড়ন্ত ঘটেছে যে, এই সব অসুখ আর প্রচলিত ওষুধে সারছে না। এগুলি drug-resistant হয়ে গিয়েছে। UKHSA dataয় এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
এক সময় টাইফয়েড ছিল প্রাণঘাতী। এখন আবার টাইফয়েড ঘটানো ব্যাকটেরিয়াটিকে আর কাবু করতে পারছে না কোনও অ্যান্টিবায়োটিক। এমনটাই দাবি গবেষণায়। বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে,বিশ্বে প্রতি বছর, টাইফয়েড এবং প্যারাটাইফয়েড A জ্বরে আক্রান্ত হয় ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ । মারা যায় প্রায় দেড় লক্ষের কাছাকাছি মানুষ। অনুন্নত দেশগুলিতে এই পরিসংখ্যান রীতিমতো ভয় ধরানো। আর এখন অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়ে গেলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে, যে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি দিয়ে টাইফয়েডের চিকিৎসা হয়, সেগুলি আর তেমনভাবে কাজ করছে না। টাইফয়েডে কয়েকটি স্ট্রেন অত্যন্ত মারাত্মক। বিশ্বব্যাপী উদ্বেগজনক গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এই স্ট্রেনগুলির বাড়বাড়ন্ত বেশি। তবে উন্নত দেশগুলিতেও টাইফয়েডে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে রোগভোগও। অর্থাৎ সহজে কাবু হচ্ছে না কয়েকটি স্ট্রেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ জেসন অ্যান্ড্রুজ এই এস টাইফির বেশি প্রতিরোধী স্ট্রেনগুলি নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে গবেষকরা একথাও মেনে নিয়েছেন, এই নিয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে গেলে দরকার আরও বিস্তৃত গবেষণা। তাই এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।





















