(Source: Poll of Polls)
Bipolar disorder : বাইপোলার ডিসঅর্ডারে মৃত্যুর আশঙ্কা ধূমপানের থেকেও বেশি !
Bipolar disorder death risk: বাইপোলার ডিসঅর্ডার আদতে একটি জটিল মানসিক সমস্যা। আর এর জেরেই মৃত্যুর হার অন্য বেশ কিছু রোগের তুলনায় বেশি ! সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেল এমনটাই।
কলকাতা: বিভিন্ন মানসিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম জটিল একটি সমস্যা হল বাইপোলার ডিসঅর্ডার (Bipolar disorder)। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গিয়েছে এই রোগের ভয়াবহ আরেকটি দিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জার্নাল সাইকিয়াট্রি হেলথে এই নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়। তাতেই দেখা গিয়েছে, এই রোগের কারণে মৃত্যুর হার বাড়ছে রোগীদের। বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছেন না এমন ব্য়ক্তিদের পাশাপাশি বাইপোলার ডিসঅর্ডার রয়েছে এমন ব্যক্তিদের নিয়ে সমীক্ষাটি করা হয়। তাতে দেখা যায়, বাইপোলার আক্রান্তদের মৃত্যুর আশঙ্কা (mortality risk) সাধারণদের তুলনায় চার-পাঁচ গুণ বেশি।
বাইপোলার ডিসঅর্ডার রোগটি আদতে কী?
বাইপোলার ডিসঅর্ডার একটি মানসিক সমস্যা। এই সমস্যায় রোগী কখনও বিষণ্ণ থাকেন, আবার কখনও দারুণ আনন্দে থাকেন। কখনও অবসাদের পর্ব এমনই হয় যে দিনের পর দিন ঘর থেকে বেরোতে বা বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করে না। আবার কখনও ভীষণ হাসিমজা করে কেটে যায়। মনের এই গুরুতর সমস্যাকেই বলা হয় বাইপোলার ডিসঅর্ডার।
কীভাবে গবেষণাটি করা হয়?
দুটি আলাদা দলের মধ্য়ে এই সমস্যাটি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলে। তাতে দেখা যায়, যাদের বাইপোলার সমস্যা নেই, তাদের মৃত্যুর হার কম। তুলনায় যাদের বাইপোলার রয়েছে, তাদের মৃত্যুর হার ৪-৫ গুণ বেশি। শুধু তাই নয়, বাইপোলার ডিসঅর্ডারের সঙ্গে অন্য রোগেরও তুলনা করা হয়েছে। যেমন ধূমপানে মৃত্যুর সঙ্গে তুলনা করে বাইপোলারের ভয়াবহতা দেখিয়েছেন গবেষকরা। যে দলটি ধূমপান করে, তাদের মৃত্যুর হার যে দলটি ধূমপান করে না, তাদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। অন্যদিকে যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি তাদের মৃত্যুর হার ৬০ বছরের কম বয়সিদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। ফলে এই দুই তুলনামূলক পরীক্ষার নিরিখেও বাইপোলার ডিসঅর্ডার রোগটি ভয়াবহ।
কী বলছেন গবেষক
এই গবেষণার অন্যতম প্রধান গবেষক ও ডেটা ম্যানেজার অ্যানাসটাসিয়া ওকাম সংবাদমাধ্যম এএনআই-কে বলেন, বাইপোলার ডিসঅর্ডার দীর্ঘদিন ধরেই অকালমৃত্যুর অন্য়তম বড় কারণ (Bipolar disorder death)। এর আগেও বিজ্ঞানীদের লেন্সে বারবার উঠে এসেছে এই রোগের নাম। তবে মানসিক সমস্যা বলে এই সমস্যাকে অন্যান্য রোগের থেকে আলাদা করে দেখা হয়নি। বরং আর পাঁচটা রোগের তুলনায় এই রোগ কতটা বেশি ভয়ের তা খতিয়ে দেখেছে গবেষণা।
অন্যতম সবচেয়ে দীর্ঘ পরীক্ষা
মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে বাইপোলার ডিসঅর্ডার নিয়ে সবচেয়ে দীর্ঘ পরীক্ষাটি হয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে এই পরীক্ষাটি শুরু হয়। পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করেন ১১২৮ জন। এর মধ্যে ৮৪৭ জনের বাইপোলার ডিসঅর্ডার ছিল। দেখা গিয়েছে, সমস্যাটি ধরা পড়ার পর দুজন বাদে ৫৬ জনই মারা গিয়েছেন অল্প সময়কালের মধ্যে। রোগ ধরা পড়ার ১০ বছরের মধ্যে মৃত্যুর হয়েছে রোগীদের। যার ভিত্তিতে রোগটির ভয়াবহতা খতিয়ে দেখেছেন গবেষকরা।
আরও পড়ুন:Sickle cell disease: সিকল সেল অ্যানিমিয়া রোগীদের জোড়া বিপদ ! কেন এমনটা বলছেন বিজ্ঞানীরা
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )