FSSAI On Fruits Juice: ‘১০০% ফলের রস’ প্যাকেট থেকে মুছতে হবে ভুয়ো দাবি, ফ্রুট জুস সংস্থাদের নির্দেশ FSSAI-র
FSSAI On Fruit Juice Claims: প্যাকেট খুললেই নাকি ১০০ শতাংশ ফলের রস। যে দাবি আদতে ভুয়ো। ফ্রুট জুস নির্মাতাদের এবার বিশেষ নির্দেশ এফএসএসএআই।
FSSAI On Fruits Juice: ফ্রুট জুস বাচ্চাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। সে লিচি ড্রিঙ্কই হোক বা ম্যাঙ্গো ও অরেঞ্জ জুস। অনেক সংস্থাই দাবি করে থাকে, তাদের ফ্রুট জুস ১০০ শতাংশ বিশুদ্ধ। অর্থাৎ এর মধ্যে কোনও ভেজাল নেই। পাশাপাশি বলা হয়, জুস তৈরির সময় পুরোপুরি ফলের রসই ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু FSSAI-এর সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই ফ্রুট জুসগুলির মধ্যে বিপুল মাত্রায় রাসায়নিক রয়েছে। পাশাপাশি ভেজালের পরিমাণও নেহাত কম নয়। এই অবস্থায় ফ্রুট জুসগুলির বয়ানে (100 percent fruit juice claim) বদল আনার নির্দেশ (FSSAI Order) দিল খাদ্য সুরক্ষা দফতর।
ঠিক কী নির্দেশ খাদ্য সুরক্ষা দফতরের ?
খাদ্য সুরক্ষা দফতরের নির্দেশ (FSSAI On Fruit Juice Claims) অনুযায়ী, ফ্রুট জুসের মধ্যে যে ১০০ শতাংশ ফলের রস নেই, তা জানাতে হবে গ্রাহকদের। এর জন্য প্যাকেটের গায়ের থেকে ‘১০০ শতাংশ ফলের রস’ এই দাবিটি তুলে নিতে হবে। পাশাপাশি যেখানে প্যাকেটের ভিতরে থাকা উপাদান সম্পর্কে বিশদ তথ্য থাকে, সেখানেও সঠিক তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
কেন এই নির্দেশ দিল FSSAI ?
বর্তমানে ফ্রুট জুস তকমা দিয়ে যে জুসগুলি বাজারে বিক্রি হয়, সেগুলি ঠাণ্ডা পানীয়র থেকে কিছুটা আলাদা প্রকৃতির হয়। এগুলির মধ্যে অ্যাসিডের মতো গেঁজা হয় না অর্থাৎ প্রেসারাইজড কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে না। কার্বনেটেড ওয়াটারের মতো নয় বলে অনেক ক্রেতাই ভাবেন সংস্থার ‘১০০ শতাংশ ফলের রস’ দাবি সত্যি। কিন্তু আদতে তা নয়। কার্বনেটেড ওয়াটার না হলেও এর মধ্যে ভেজাল মেশানো হয়ে থাকে। বেশ কিছু ফলের রসের নমুনা পরীক্ষা করে সেই প্রমাণ পেয়েছে FSSAI।
কী কী মেশানো হয়ে থাকে ফলের রসে ?
- HFCS - সবচেয়ে পরিচিত ভেজালটি হল হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ বা HFCS। ধরা যাক ম্যাঙ্গো বা অরেঞ্জ বা লিচি জুস কিনছেন। এতে আম, কমলালেবু বা লিচুর রসের সঙ্গে মেশানো থাকতে পারে এই HFCS।
- অ্যাসিডিটি রেগুলেটর - খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সময় এই বিশেষ জিনিসটি মেশানো হয় পরিমাণ বুঝে। খাবারের স্বাদ যাতে দীর্ঘদিন একইরকম রাখা যায়। তার জন্য এই পন্থা। টাটকা তাজা ও রাসায়নিকবিহীন ফলের রস বেশিদিন টেঁকে না।
- অ্যাডেড সুগার - ফলের নিজস্ব স্বাদ অনেক ক্ষেত্রেই অ্যাডেড সুগার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে বাজারের মতো আম মিষ্টি না টক তা বোঝার উপায় থাকে না।
- ফ্লেভার - ফ্লেভার দিয়ে ফ্রুট জুসের মধ্যে নির্দিষ্ট ফলের স্বাদ আনা হয়। এতে ফলটি পচা অবস্থায় রস তৈরি করা হলেও তা বোঝার কিন্তু উপায় থাকে না।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Spice Adulteration Checking Tips: ভারতের ১১১ মশলা নিষিদ্ধ করল FSSAI, আপনার মশলা নিরাপদ ? পরখ করুন এভাবে
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )