Hair Care Tips: চুলের স্বাস্থ্যের সার্বিক খেয়াল রাখে 'কেরাটিন', কোন কোন খাবার এই প্রোটিনের উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে?
Keratin: কেরাটিন এক ধরনের প্রোটিন যা চুলের একাধিক সমস্যা দূর করার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে। কোন কোন খাবার খেলে কেরাটিন উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে? দেখে নিন একনজরে।
Hair Care Tips: কেরাটিন (Keratin) হল এক ধরনের প্রোটিন (Protien)। এই প্রোটিন চুলের (Hair Care) পাশাপাশি খেয়াল রাখে ত্বকের স্বাস্থ্যেরও। চুল এবং ত্বক উভয়ের ভাল থাকার পিছনেই প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি এবং প্রোটিন ঠিক মাত্রায় বজায় থাকা। বিশেষ করে চুলের একাধিক সমস্যা দেখা দেয় এই কেরাটিন প্রোটিনের ঘাটতি হওয়ার ফলেই। তাই কেরাটিনের মাত্রা সঠিক ভাবে বজায় রাখার জন্য আপনাকে বেছে নিতে হবে এমন কিছু খাবার যেগুলি কেরাটিনের উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। আর খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসের সঙ্গে যে চুলের স্বাস্থ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে সেকথা আজকাল প্রায় সকলেরই জানা। এবার দেখে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার কেরাটিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
সূর্যমুখী ফুলের বীজ
সূর্যমুখীর বীজ কেরাটিন উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। আর চুলের সঠিক বৃদ্ধির জন্য কেরাটিন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সূর্যমুখী ফুলের বীজে বায়োটিন নামে একটি উপাদান থাকে। এই বায়োটিন কেরাটিনের উৎপাদনের বৃদ্ধি করে। আর তার ফলে চুল সঠিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ চুল লম্বায় বাড়তে পারে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। ওজন কমাতে সাহায্য করে এই সবজি। চুলের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে। কেরাটিন উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। আর তার ফলে চুল সঠিক মাত্রায় লম্বায় বৃদ্ধি পায়। মিষ্টি আলুর মধ্যে প্রোভিটামিন এ ক্যারোটিনয়েডস যেমন বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। এই উপাদান ভিটামিন এ এবং কেরাটিনে রূপান্তরিত হয়। চুলের বৃদ্ধিতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে এই খাবার।
স্যামন মাছ
কেরাটিন উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে স্যামন মাছ। তাই যাঁদের চুল সঠিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে না তাঁরা কেরাটিন উৎপাদনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য পাতে রাখতে পারেন স্যামন মাছ। প্রোটিন সমৃদ্ধ স্যামন মাছে রয়েছে বায়োটিন। এছাড়াও রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সমস্ত উপকরণ চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। চুল পড়ার সমস্যা কমায়। চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে ঘনত্ব বাড়ে চুলের।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ যে চুলের জন্য ভাল তা অনেকেই জানেন। চুলের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার জন্য ঘরোয়া টোটকা হিসেবে অনেকেই চুলে পেঁয়াজের রস লাগান। এছাড়াও মাথার তালুতে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলেও নতুন চুল গজায় এবং চুল পড়ার সমস্যা কমে। ছোট ছোট পেঁয়াজ যাকে অনেকে ছাঁচি পেঁয়াজ বলেন, এগুলির রস চুলে এবং স্ক্যাল্পে লাগাতে পারলে আপনি উপকার পাবেন। কেরাটিন উৎপাদনের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। ফলে চুল সঠিক মাত্রায় বাড়বে।
ডিম
বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলে থাকেন চুলে ডিম লাগানোর পরিবর্তে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য বরং ডিম খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। কুসুম বাদ দিয়ে ডিম খাবেন না। পুরো ডিম খেলে তবেই তা কাজে লাগবে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে। ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন থাকে। এই উপকরণ কেরাটিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। আর কেরাটিন সঠিক মাত্রায় বজায় থাকলে তবেই চুল লম্বায় বৃদ্ধি পাবে। অতএব চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য পাতে রাখুন ডিম।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন- ভুল করেও এই ফলগুলি খাওয়া উচিত নয় ডায়াবেটিসের রোগীদের, কোন কোন ফল খাবেন ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।