Brain Disease: কম বয়সেই স্ট্রোক, আষ্টেপৃষ্টে ধরছে মস্তিষ্কের রোগ, এই ১৭ টি সমস্যাই নিঃশব্দ ঘাতক, জানাল হাভার্ড
World Brain Day : ব্যাধিগুলি কিন্তু হঠাৎ হানা দেয় না, দেখা যাবে বহু বছর ধরেই শরীরে ধীরে ধীরে বাসা বাঁধে এসব রোগ।

আজ ওয়ার্ল্ড ব্রেন ডে। প্রতি বছর ২২ জুলাই স্নায়বিক ব্যাধি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে দিনটি উদযাপন করা হয়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য নিয়ে চর্চা করা হয় এই দিনে। হার্ভার্ড-অনুমোদিত ম্যাস জেনারেল ব্রিগহামের একটি নতুন পর্যালোচনায় এমন ১৭টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যহানির জন্য দায়ী। সারা বিশ্ব জুড়েই তরুণদের মধ্যে ব্রেন স্ট্রোক সহ বিভিন্ন অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে। আর মস্তিষ্কের অসুখ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘাতক। হাভার্ডের গবেষকরা মনে করছেন, এর জন্য দায়ী নির্দিষ্ট কয়েকটি কারণ। সেগুলিকে চিনে নিতে পারলেই অনেকটাই সুরক্ষিত থাকা যায়। গবেষণা বলছে, এখন ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যেই বহু মানুষ প্রাথমিক ডিমেনশিয়া, স্ট্রেস এবং স্ট্রোকের মতো মস্তিষ্ক-সম্পর্কিত ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এই ব্যাধিগুলি কিন্তু হঠাৎ হানা দেয় না, দেখা যাবে বহু বছর ধরেই শরীরে ধীরে ধীরে বাসা বাঁধে এসব রোগ।
- উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা মস্তিষ্কের টিস্যুতে রক্ত সরবরাহকারী ছোট রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
- এছাড়া সতর্ক থাকতে হবে গুরুতর কিডনি রোগ নিয়ে। শরীরে টক্সিন জমা এবং তরলের ভারসাম্যহীনতা মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলির ক্ষতিকে ত্বরান্বিত করে।
- ডায়াবেটিসও পরোক্ষভাবে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
- প্রি-ডায়াবেটিস স্টেজে রক্তে শর্করার পরিমাণ সামান্য বেশি হলেও মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। স্মৃতিক্ষয় শুরু করতে পারে।
- অতিরিক্ত এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল প্লাক তৈরিতে সাহায্য করে, যা স্ট্রোক এবং মিনি-স্ট্রোকের কারণ হতে পারে
- এছাড়া অতিরিক্ত ওজন ও পেটের চর্বিও নিউরনের ক্ষয় এবং মস্তিষ্কের দুর্বল কার্যকারিতার সঙ্গে সম্পর্কিত।
- গবেষকরা নিকোটিনকেও ঘাতক হিসেবে মনে করছেন। নিকোটিন মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয় এবং রক্তনালীগুলির ক্ষতি করে।
- এছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপানও মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারের ক্ষতি করে। মেজাজ ও স্মৃতিশক্তির ক্ষতি করে।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
- বসে-বসে কাজ যাঁদের, তাঁদেরও মস্তিষ্কের অসুখের ঝুঁকি বেশি।
- র্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।
- দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে। মেজাজ খারাপ করে।
- শ্রবণশক্তি হ্রাস হওয়ার সমস্যাকে অনেকেই হালকা ভাবে নেন। দীর্ঘস্থায়ী শ্রবণের সমস্যা চিন্তাভাবনা এবং স্মৃতিশক্তির ক্ষতি করে।
- দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যথা মনোযোগ নষ্ট করে।
- সামাজিক মেলামেশার অভাবও মানসিক স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস করে এবং বিষণ্নতা এবং ডিমেনশিয়ার কারণ হয়ে ওঠে।
- জীবনের কোন স্পষ্ট লক্ষ্য বা অর্থ না থাকলে মানসিক অবক্ষয় ঘটে।
- দীর্ঘস্থায়ী মেন্টাল স্ট্রেসের চিকিৎসা না-হলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।






















