(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Non Veg Food: অফিসের লাঞ্চে 'নন-ভেজ', টিফিনবক্সে আপনার খাবার সুরক্ষিত থাকছে তো?
Health Tips: টিফিনবক্সে খাবার একদম ঠান্ডা করে ভরতে হবে। স্টিল বা কাচের পাত্র ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। প্লাস্টিকের টিফিনবক্স এড়িয়ে চলুন। এর ফলে ভাল থাকবে খাবারের গুণমান।
Non Veg Food: আমিষ পদ ছাড়া খাবার (Non Veg Food) মুখে রোচে না বেশিরভাগ বাঙালির। কথাতেই আছে মাছে ভাতে বাঙালি। আর তাই অনেকেরই অফিসের লাঞ্চেও (Office Luchbox) অন্তত একটা আমিষ পদ (Non Vegeterian Items) হলেই ভাল হয়। নিদেনপক্ষে একটু মাছের (Fish) ঝোল আর ভাত। যদি বাহারি মাছ কিংবা মাংস (Meat) অথবা ডিমের (Eggs) সুস্বাদু পদ হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। বাড়ি হোক বা অফিস, দুপুরে খাওয়া হয় একদম পরিপাটি, তৃপ্তির। কিন্তু দিনের পর দিন টিফিন বাক্সে আমিষ পদ ভরে অফিসে নিয়ে গিয়ে যে খাবার খাচ্ছেন তা কি আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত? টিফিনবক্সে কতক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকে কোন ধরনের আমিষ পদ? কত তাপমাত্রায় কোন ধরনের আমিষ পদ কত সময় রেখে খাওয়া যায়? এইসব তথ্য একটু জেনে রাখা ভাল। তাহলে সুস্থ থাকতে পারবেন আপনি। আর সবসময়েই খাবার ভালভাবে গরম করে খাওয়া জরুরি। ফ্রিজের খাবার সরাসরি কখনই খাবেন না। এতে শরীর বেশি খারাপ হয়।
- বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস- এই তাপমাত্রার মধ্যে আমিষ খাবারে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ দ্রুত হারে বাড়তে পারে। তাই ভালভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
- মাংস, ডিম এবং সামুদ্রিক খাবারে পুষ্টি উপকরণের পাশাপাশি থাকে আর্দ্রভাবে যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অতএব এইসব খাবারে অত্যধিক হারে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে তা একপ্রকার দূষিত হয়ে যায়।
- আমিষ জাতীয় খাবার যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা রুম টেম্পারেচারে ফেলে রাখা হয় তখন তা ক্রমশ বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আর এই খাবার খেলে আপনার শরীর খারাপ হবে অবধারিত ভাবে।
- বিশেষ করে সমস্যা দেখা দেয় গরমকালে। একে তো উষ্ণ আবহাওয়া, রুম টেম্পারেচার ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশিই থাকে বেশিরভাগ সময়ে। আর এই তাপমাত্রায় দীর্ঘক্ষণ আমিষ খাবার রাখলে তা সহজে নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
- টিফিনবক্সে গরম খাবার ভরলে তা যেমন চট করে নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তেমনই হাফ বয়েল ডিম, সামান্য স্যতে করা মাছ, মাংস এইসব খাবার রাখলেও তা সহজে খারাপ হয়ে যেতে পারে। এই তালিকায় কিছু ডেয়ারি প্রোডাক্টও রয়েছে। তাই অফিসে টিফিনে এই জাতীয় খাবার নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সাবধান থাকুন। মূলত এই ধরনের আমিষ পদ রান্নার পরেই খেয়ে নেওয়া ভাল।
কী কী সতর্কতা নেবেন (আমিষ পদের জন্য)
- টিফিনবক্সে খাবার একদম ঠান্ডা করে ভরতে হবে। স্টিল বা কাচের পাত্র ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। প্লাস্টিকের টিফিনবক্স এড়িয়ে চলুন। এর ফলে ভাল থাকবে খাবারের গুণমান।
- সম্ভব হলে খাবার প্যাক করার ২ ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে নিন। যদি এমন জায়গায় খাবার রাখেন যেখানে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাহলে এক ঘণ্টার মধ্যেই খেয়ে নেওয়া শ্রেয়।
- সাধারণত অফিসে এই জাতীয় সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই খাবার ঠান্ডা করে বক্সে ভরুন। অফিসে ফ্রিজ থাকলে সেখানে রেখে দিন। তা না হলে এয়ার কন্ডিশনার রয়েছে এমন জায়গায় রাখুন টিফিনবক্স। এত সুযোগ-সুবিধা না থাকলে নিদেনপক্ষে ব্যাগ থেকে বের করে রাখুন বক্স।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন- এক বছরের বেশি বয়সী বাচ্চাদের নিয়মিত মধু খাওয়ালে কী কী উপকার পাওয়া যাবে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।