Screen Time Reduce: সহজে 'স্ক্রিন টাইম' কমাবেন কীভাবে? কোন কোন টিপস মেনে চললে অল্প দিনেই মিলবে ফল?
Healthy Lifestyle Tips: মেসেজ নয়, ফোনে কথা বলার অভ্যাস বাড়িয়ে তুলুন। ফোনে নয়, বই পড়ুন হার্ড কপি হিসেবে। দুটো সময়ে ফোন সঙ্গে রাখবেন না। এক খেতে হবে। দুই ঘুমোতে যাওয়ার সময়।

Screen Time Reduce: স্ক্রিন টাইম কমানোর জন্য সহজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারলেই আপনি উপকার পাবেন। আজকাল ছোট থেকে বড়, প্রায় সকলেই দিনের অনেকটা সময় মোবাইলে কাটান। ওয়েব সিরিজ, সোশ্যাল মিডিয়া- কোনও একটার নেশা তো রয়েইছে। আর এই নেশার জেরেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায় মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। স্বাভাবিকের তুলনায় স্ক্রিন টাইম বেড়ে গেলে আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে অনেক সমস্যা। চোখে অসুবিধা হতে পারে, রাতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও একনাগাড়ে অনেকক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিংয়ের কারণে মানসিক চাপ, স্ট্রেস বাড়তে পারে। দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যাও। তাই স্ক্রিন টাইম কমানো অত্যন্ত জরুরি। বাচ্চাদের পাশাপাশি বড়দের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য।
এবার দেখে নেওয়া যাক স্ক্রিন টাইম কমানোর জন্য আপনি কী কী করতে পারেন
- সোশ্যাল মিডিয়া ডিটক্স খুবই জরুরি বিষয়। কিন্তু তাই বলে একদিনে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। এরকম করতে চাইলে আদতে লাভ হবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় সব অ্যাকাউন্ট একদিনে ইন-অ্যাক্টিভ না করে, ধীরে ধীরে একটা একটা করে অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিন। আপনি ফোনে যেসব অ্যাপ ব্যবহার করেন, সেগুলি একদিনে একসঙ্গে ডিলিট না করে, ধীরে ধীরে একটা একটা করে অ্যাপ ডিলিট করুন। বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, অ্যাপের ব্যবহার ধীরে ধীরে কমাতে হবে, একসঙ্গে তাড়াহুড়ো করে নয়।
- স্ক্রিন টাইম কমাতে চাইলে, নিজের অন্যান্য শখ-শৌখিনতাকে প্রাধান্য দিন। ছবি আঁকা, গানের রেওয়াজ, অন্যান্য যেকোনও শখ বা অভ্যাস যা আপনার রয়েছে, সেগুলিতে মনযোগ দিন। তাহলে দেখবেন ফোনের দিকে সেভাবে নজর যাচ্ছে না। বারংবার সোশ্যাল মিডিয়া খুলে স্ক্রল করছেন না। ওয়েব সিরিজে বুঁদ হয়ে থাকছেন না।
- যাঁরা স্ক্রিন টাইমিং কমানোর অভ্যাস করছেন, মানে শুরু করছেন, তাঁরা প্রথম প্রথম সময় বেঁধে নিন। নিজেই ঠিক করুন কাজের বাইরে কতক্ষণ ফোন ঘাঁটবেন। কতক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটবেন, কতক্ষণ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ওয়েব সিরিজ কিংবা সিনেমা দেখবেন সেই সময় নিজেই নিজেকে বেঁধে দিন এবং অতি অবশ্যই সংযম রেখে তা মেনে চলার চেষ্টা করুন।
- মেসেজ নয়, ফোনে কথা বলার অভ্যাস বাড়িয়ে তুলুন। ফোনে নয়, বই পড়ুন হার্ড কপি হিসেবে। বাগান করার শখ থাকলে সেদিকে মন দিন। দুটো সময়ে ফোন সঙ্গে রাখবেন না। এক খেতে হবে। দুই ঘুমোতে যাওয়ার সময়।






















