Heart Attack : ভারতে এই ৪টি কারণে ৯৯ শতাংশ মানুষের হার্ট অ্যাটাক হয় ! আপনার শরীরেও এই ঝুঁকি?
সময় থাকতে শরীরের দেওয়া ওয়ার্নিং-বেল শুনে সতর্ক হতে হবে। বাঁচতে হবে এই নীরব ঘাতকের থেকে।

হৃদরোগে আক্রান্তের প্রবণতা বাড়ছে
ভারতে হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত কোভিডকালের পর এই গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষত যদি রক্তের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে, মানসিক চাপ আকাশচুম্বী হয়, তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ যদি তাদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ঝুঁকিগুলির দিকে মনোযোগ না দেন, তাহলে আগামীতে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। সময় থাকতে তাই ওয়ার্নিং-বেল শুনে সতর্ক হতে হবে। বাঁচতে হবে এই নীরব ঘাতকের থেকে।
ভারতে কেন বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা?
ভারতে হৃদরোগ এখন মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ । ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দেশে হৃদরোগে আক্রান্তের ঘটনা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। নগরায়ন, অনিয়মিত জীবনযাত্রা, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, ধূমপান এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ এর প্রধান কারণ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই সমস্যাটি কেবল স্বাস্থ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর প্রভাব বৃহত্তর ক্ষেত্রেও পড়ছে।
বিজয়ওয়াড়ার শ্রীমাথা হার্ট ক্লিনিকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ টি. সুমন কুমারের মতে, বেশিরভাগ হৃদরোগ বা ব্রেন স্ট্রোক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, হঠাৎ করে হয় না, বরং এর ঝুঁকির কারণগুলি আগে থেকেই আমাদের শরীরে বাড়তে শুরু করে । সেগুলিকে ঠিক সময় চিনে নেওয়া জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং ধূমপান, এই ভয়ঙ্কর অসুখগুলোর ঝুঁকি বাড়ায়।
শরীরে লুকিয়ে থাকা চারটি বড় বিপদ
চিকিৎসকদের মতে, বেশিরভাগ মানুষের প্রথম হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করে হয় না, বরং এর পিছনে কিছু নীরব ঝুঁকির কারণ লুকিয়ে থাকে, যেমন
উচ্চ রক্তচাপ – দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ রক্তচাপ ধমনীর দেওয়ালে চাপ দেয়। আর ব্লাড প্রেসার অনেকেই নিয়মিত নজরে রাখেন না।
কোলেস্টেরল – রক্তে উচ্চ LDL বা খারাপ কোলেস্টেরল, ধমনীতে ফ্যাট জমা করে, যা রক্তের প্রবাহে বাধা দেয়।
ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিস– উচ্চ শর্করার মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে।
ধূমপান – তামাক হৃদপিণ্ড এবং ধমনী উভয়েরই ক্ষতি করে।
এই সব কারণ ধীরে ধীরে হার্টের কলকব্জা খারাপ করতে পারে, হার্টের কাজের ক্ষতি করতে পারে।
কীভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবেন?
আশার কথা একটাই, ঝুঁকিগুলির বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যেতে পারে। এর জন্য আপনাকে আপনার খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন করতে হবে, যেমন ফল, সবুজ শাকসবজি, গোটা শস্য এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট অন্তর্ভুক্ত করুন। এছাড়াও ব্যায়াম করুন, যার মধ্যে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের হাঁটা বা যোগা করা উচিত। ধূমপান ত্যাগ করুন। তামাক সেবন বন্ধ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি তাৎক্ষণিকভাবে কমে যায়। বেশিরভাগ স্ট্রোক এবং হৃদরোগ হয় কারণ মানুষ তাদের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখে না। সময়মতো পরীক্ষা করা হলে, ডাক্তাররা প্রাথমিক পর্যায়েই চিকিৎসা শুরু করতে পারেন। বিশেষ করে ৩০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি বা যাদের পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস আছে, তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।






















