Holika Dahan 2022: হোলিকা দহনে উদযাপন শুভশক্তির
Holi 2022: দোল হোক বা হোলি। রঙের এই উৎসবের আগে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথা রয়েছে। কোথাও নাম হোলিকা দহন, কোথাও নেড়াপোড়া।
কলকাতা: ভারতীয় হিন্দু সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হোলি (holi) বা দোলযাত্রা। বসন্তের এই উৎসব সারা ভারত জুড়ে পালিত হয়। নাম ও প্রথা আলাদা হলেও উৎসবের মাহাত্ম্য এক। তবে সব থেকে বেশি উদযাপন চলে উত্তর ভারতের একটি বিশাল অংশে। সেখানে দুদিন ধরে চলে হোলি উৎসব।
দোল হোক বা হোলি। রঙের এই উৎসবের আগে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথা রয়েছে। যেটি দেশের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন নামে পালিত হয়। উত্তরপ্রদেশ বা বিহারে সেটিকে বলা হয় ছোটি হোলি বা হোলিকা দহন (holika dahan)। আর বাংলায় সেটিই পরিচিত নেড়াপোড়া বা চাঁচর নামে। নাম আলাদা হলেও যে বিশ্বাস থেকে এই আচার পালন করা হয়, তা প্রায় এক।
এই বছর হোলি শুরু হচ্ছে ১৭ মার্চে। তার আগে পালিত হবে হোলিকা দহন। কিন্তু এই আচারের পিছনে কী কারণ রয়েছে?
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, হোলিকা দহন বা নেড়াপোড়ার মাধ্যমে অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয়কে বোঝানো হয়। হোলির আগের দিনের রাতে বিভিন্ন কাঠ, গাছের ডাল বা খড় বনফায়ারের মতো করে জ্বালানো হয়। ওই প্রতিকী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অশুভের বিনাশ এবং শুভ শক্তির জয়ের উদযাপন বলা হয়। কথিত রয়েছে, দৈত্য হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ বিষ্ণুর উপাসক ছিলেন। সেই রাগে পুত্রকে মারার জন্য নানা চেষ্টা বিফলে যাওয়ায় বোন ডাকেন হিরণ্যকশিপু। প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনে ঝাঁপ দিলে পুড়ে মারা যান হোলিকা, বিষ্ণুর দয়ায় বেঁচে যান প্রহ্লাদ। তারপর নৃসিংহ অবতারে হিরণ্যকশিপুকে বধ করেন বিষ্ণু। তাকেই স্মরণ করা হয় হোলিকা দহনের মাধ্যমে।
কীভাবে করবেন হোলিকা দহন পুজো (puja)?
প্রথমেই স্নান করে নিতে হবে। স্নানের পর যেখানে পুজো হবে, সেখানে পূর্ব অথবা উত্তরমুখী হয়ে বসতে হবে।
পুজোর জন্য় প্রয়োজন, সিঁদুর, ফুল, সুপারি, তেঁতুল, আবির, নারকেল।
সঙ্গে থাকবে ধূপকাঠি,বাতাসাও, গোবরও।
ভগবান নৃসিংহকে পুজোর করার পরে হোলিকার চারপাশে ঘুরতে হবে।
আরও পড়ুন: আসছে দোল, রঙের কেমিকেলের হাত থেকে ত্বক ও চুল বাঁচাতে কী করবেন?